হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার একটি মাদ্রাসা কক্ষ থেকে গোলাম রাব্বি (১৩) নামে এক ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার গোপলারবাজার এলাকার আল-আমিন হাশিমিয়া মাদ্রাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে শিক্ষকরা। নিহত রাব্বি ওই প্রতিষ্ঠানের ইবতেদায়ি ষষ্ঠ শ্রেণি ও হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিহত গোলাম রাব্বি বাহুবল উপজেলার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা কাউসার মিয়ার ছেলে। সে মাদ্রাসা ছাত্রাবাসে অবস্থান করে পড়াশোনা করছিল।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় রাব্বিকে ঝুলে থাকতে দেখেন শিক্ষকরা। দ্রুত তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ছাত্রদের মাঝে। তবে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে মানতে নারাজ রাব্বির পরিবার। তাদের দাবি, রাব্বিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহতের বাবা কাউসার মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। সে কোনো সমস্যায় ছিল না, পরিবারেও কোনো চাপ ছিল না। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের অনেকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার একটি মাদ্রাসা কক্ষ থেকে গোলাম রাব্বি (১৩) নামে এক ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার গোপলারবাজার এলাকার আল-আমিন হাশিমিয়া মাদ্রাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে শিক্ষকরা। নিহত রাব্বি ওই প্রতিষ্ঠানের ইবতেদায়ি ষষ্ঠ শ্রেণি ও হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিহত গোলাম রাব্বি বাহুবল উপজেলার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা কাউসার মিয়ার ছেলে। সে মাদ্রাসা ছাত্রাবাসে অবস্থান করে পড়াশোনা করছিল।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় রাব্বিকে ঝুলে থাকতে দেখেন শিক্ষকরা। দ্রুত তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ছাত্রদের মাঝে। তবে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে মানতে নারাজ রাব্বির পরিবার। তাদের দাবি, রাব্বিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহতের বাবা কাউসার মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। সে কোনো সমস্যায় ছিল না, পরিবারেও কোনো চাপ ছিল না। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের অনেকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।