আদমদীঘি হাটের পাইকারি আড়তে কাঁচা মরিচের স্তূপ -সংবাদ
বগুড়ার আদমদীঘিতে কাঁচা মরিচ চাষ করে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। আলু আবাদে কৃষকদের ব্যাপক হারে লোকসানের রেশ কাটতে না কাটতে কাঁচা মরিচের দামে ব্যাপক হারে ধস নেমেছে। উপজেলার হাট বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের পাইকারি মূল্যে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে । এতে করে মরিচ চাষের খরচ না ওঠায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। কাঁচা মরিচের মূল্য না পেয়ে কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। অনেক কৃষক জমি থেকে মরিচ তোলা বন্ধ করে দিয়েছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, কৃষকরা ধানের আবাদের পর তাদের জমিতে লাভজনক ফসল হিসেবে আলু ও কাঁচা মরিচ চাষ করে অর্থনীতিকভাবে সফলতা অর্জন করে থাকেন। কিন্তু চলতি বছর অনাকাক্সিক্ষতভাবে আলুর ব্যাপক হারে দরপতনে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। এবার প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকদের ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। এ লোকসান পুষিয়ে নিতে কৃষকরা কাঁচা মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েন। বুক ভরা আশা নিয়ে গ্রামাঞ্চলে প্রায়ই কৃষকরা মরিচ চাষ করে এবার। কিন্তু কাঁচা মরিচ বাজারে তুলতেই আবারও তারা ধাক্কা খায়। কাঁচা মরিচ চাষে উৎপাদন খরচ বিক্রি করে অর্ধেক খরচ তুলতে পারছে না কৃষকরা।
উপজেলার অন্তাহার গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই সিদ্দীক জানান, কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়া খুবই জরুরি। নতুবা কৃষকদের আলুর মত কাঁচা মরিচের মত লোকসানে অর্থনৈতিক মেরুদ- ভেঙ্গে যাবে। আগামীতে চাষীরা আর এসব কাঁচা মরিচের আবাদ করবে না। একই গ্রামের কৃষক মিনহাজ হোসেন জানান, জমি থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ উত্তোলন করতে ১০ টাকা হারে মজুরি দিতে হয়। বর্তমানে পাইকারি দরে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে । বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলে কৃষকদের উৎপাদন খরচ তুলেও কিছুটা লাভ থাকবে। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ লোকসানে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে কৃষকদের সর্বনাশ হচ্ছে।
আদমদীঘি বাজারের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও আব্দুর রউফ জানায়, চলতি মৌসুমে কাঁচা মরিচ প্রচুর উৎপাদন হওয়ার কারণে মোকামে আমদানি বেশি তাই মরিচের দাম কম। তবে অল্প সময়ের মধ্যে এই বেড়ে যেতে পারে । উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী বলেন,এ বছর মরিচের ভাল ফলন হওয়ায় হাট বাজারে ব্যাপক মরিচের আমদানি হচ্ছে। এ কারণে মরিচের মূল্য অনেক কমে গেছে ।
আদমদীঘি হাটের পাইকারি আড়তে কাঁচা মরিচের স্তূপ -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
বগুড়ার আদমদীঘিতে কাঁচা মরিচ চাষ করে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। আলু আবাদে কৃষকদের ব্যাপক হারে লোকসানের রেশ কাটতে না কাটতে কাঁচা মরিচের দামে ব্যাপক হারে ধস নেমেছে। উপজেলার হাট বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের পাইকারি মূল্যে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে । এতে করে মরিচ চাষের খরচ না ওঠায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। কাঁচা মরিচের মূল্য না পেয়ে কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। অনেক কৃষক জমি থেকে মরিচ তোলা বন্ধ করে দিয়েছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, কৃষকরা ধানের আবাদের পর তাদের জমিতে লাভজনক ফসল হিসেবে আলু ও কাঁচা মরিচ চাষ করে অর্থনীতিকভাবে সফলতা অর্জন করে থাকেন। কিন্তু চলতি বছর অনাকাক্সিক্ষতভাবে আলুর ব্যাপক হারে দরপতনে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। এবার প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকদের ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। এ লোকসান পুষিয়ে নিতে কৃষকরা কাঁচা মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েন। বুক ভরা আশা নিয়ে গ্রামাঞ্চলে প্রায়ই কৃষকরা মরিচ চাষ করে এবার। কিন্তু কাঁচা মরিচ বাজারে তুলতেই আবারও তারা ধাক্কা খায়। কাঁচা মরিচ চাষে উৎপাদন খরচ বিক্রি করে অর্ধেক খরচ তুলতে পারছে না কৃষকরা।
উপজেলার অন্তাহার গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই সিদ্দীক জানান, কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়া খুবই জরুরি। নতুবা কৃষকদের আলুর মত কাঁচা মরিচের মত লোকসানে অর্থনৈতিক মেরুদ- ভেঙ্গে যাবে। আগামীতে চাষীরা আর এসব কাঁচা মরিচের আবাদ করবে না। একই গ্রামের কৃষক মিনহাজ হোসেন জানান, জমি থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ উত্তোলন করতে ১০ টাকা হারে মজুরি দিতে হয়। বর্তমানে পাইকারি দরে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে । বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলে কৃষকদের উৎপাদন খরচ তুলেও কিছুটা লাভ থাকবে। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ লোকসানে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে কৃষকদের সর্বনাশ হচ্ছে।
আদমদীঘি বাজারের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও আব্দুর রউফ জানায়, চলতি মৌসুমে কাঁচা মরিচ প্রচুর উৎপাদন হওয়ার কারণে মোকামে আমদানি বেশি তাই মরিচের দাম কম। তবে অল্প সময়ের মধ্যে এই বেড়ে যেতে পারে । উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী বলেন,এ বছর মরিচের ভাল ফলন হওয়ায় হাট বাজারে ব্যাপক মরিচের আমদানি হচ্ছে। এ কারণে মরিচের মূল্য অনেক কমে গেছে ।