পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় উপজেলায় কৃষকদের মাঝে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহ বেড়ে গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাজারে চাহিদার কথা বিবেচনা করে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি, উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বস্তা পদ্ধতিতে অতি সহজেই আদা চাষ করার কৌশল শিখিয়ে দিয়েছে। উপজেলার হাট-বাজারে আদার ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকরা আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় উদ্যোক্তা কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়। উপজেলার অনাবাদি জমি, বসতঘরের পরিত্যক্ত জমি ও ছায়াযুক্ত পতিত জমিতে ৩ হাজার ২ শত বস্তায় আদার চাষ করা হয়। আগামীবছর এই পদ্ধতিতে উপজেলায় ব্যাপক হারে আদার চাষ বাড়বে বলে কৃষি বিভাগ আশা করছে।
উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের কৃষক শাহ আলম জোমাদ্দার বলেন, বস্তায় আদা চাষ করা খুবই সহজ। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে যে কোনো কৃষক এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে পারে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা কৃষক কাজী আনিছুর রহমান বলেন, আমার খামারে বস্তায় আদার চাষ শুরু করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস আধুনিক উপায়ে আদা চাষে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও সার্বিক সহযোগিতা করছেন। সাধারণত উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আদার চাষ তেমন করা হয় না। বর্ষাকালে জমিতে পানি থাকায় আদা চাষ করা সম্ভব হয় না। ফলে বারো মাসেই যাতে আদা চাষ করা যায় সেই কৌশল ও প্রশিক্ষণ কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা সহযোগিতা করছে।
উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষি উদ্যোক্তা বাজারে চাহিদা ও দামের কথা বিবেচনা করে বসতঘরের পরিত্যক্ত জমি, অনাবাদি ও পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করছে। কৃষকরা জানায়, আগে জমিতে আদা চাষ করলে ভালো ফলন হতো না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাইয়ের কারণে আদা নষ্ট হয়ে যেত। ফলে লাভের চেয়ে লোকসান বেশি হতো। বর্তমানে বস্তায় আদা চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে খরচ কম হবে। উপজেলার অন্যান্য কৃষক এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো.জাফর আহমেদ বলেন, এই পদ্ধতিতে উপজেলার অনেক কৃষক আদা চাষ করছে। বস্তায় আদা চাষ করার জন্য কৃষকদেরকে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ২ শত বস্তায় আদার চাষ করা হয়। উপজেলার বাজারে আদার চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা আদা চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠবে। উপজেলার অনাবাদি,পরিত্যক্ত ও পতিত জমি খালি না রেখে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। উপজেলায় কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়ে আমূল পরিবর্তন আনা হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় উপজেলায় কৃষকদের মাঝে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহ বেড়ে গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাজারে চাহিদার কথা বিবেচনা করে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি, উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বস্তা পদ্ধতিতে অতি সহজেই আদা চাষ করার কৌশল শিখিয়ে দিয়েছে। উপজেলার হাট-বাজারে আদার ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকরা আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় উদ্যোক্তা কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়। উপজেলার অনাবাদি জমি, বসতঘরের পরিত্যক্ত জমি ও ছায়াযুক্ত পতিত জমিতে ৩ হাজার ২ শত বস্তায় আদার চাষ করা হয়। আগামীবছর এই পদ্ধতিতে উপজেলায় ব্যাপক হারে আদার চাষ বাড়বে বলে কৃষি বিভাগ আশা করছে।
উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের কৃষক শাহ আলম জোমাদ্দার বলেন, বস্তায় আদা চাষ করা খুবই সহজ। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে যে কোনো কৃষক এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে পারে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা কৃষক কাজী আনিছুর রহমান বলেন, আমার খামারে বস্তায় আদার চাষ শুরু করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস আধুনিক উপায়ে আদা চাষে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও সার্বিক সহযোগিতা করছেন। সাধারণত উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আদার চাষ তেমন করা হয় না। বর্ষাকালে জমিতে পানি থাকায় আদা চাষ করা সম্ভব হয় না। ফলে বারো মাসেই যাতে আদা চাষ করা যায় সেই কৌশল ও প্রশিক্ষণ কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা সহযোগিতা করছে।
উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষি উদ্যোক্তা বাজারে চাহিদা ও দামের কথা বিবেচনা করে বসতঘরের পরিত্যক্ত জমি, অনাবাদি ও পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করছে। কৃষকরা জানায়, আগে জমিতে আদা চাষ করলে ভালো ফলন হতো না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাইয়ের কারণে আদা নষ্ট হয়ে যেত। ফলে লাভের চেয়ে লোকসান বেশি হতো। বর্তমানে বস্তায় আদা চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে খরচ কম হবে। উপজেলার অন্যান্য কৃষক এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো.জাফর আহমেদ বলেন, এই পদ্ধতিতে উপজেলার অনেক কৃষক আদা চাষ করছে। বস্তায় আদা চাষ করার জন্য কৃষকদেরকে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ২ শত বস্তায় আদার চাষ করা হয়। উপজেলার বাজারে আদার চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা আদা চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠবে। উপজেলার অনাবাদি,পরিত্যক্ত ও পতিত জমি খালি না রেখে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। উপজেলায় কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়ে আমূল পরিবর্তন আনা হবে।