জন্ম থেকে ১৫ মাস বয়সী শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধে দৃশ্যমান চোখের ত্রুটি নির্ণয়ের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে অবস্থিত চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সঙ্গে জার্মান এনজিও সংস্থা ‘কাকস’ এবং রোটারি ক্লাব অব চিটাগাং খুলশী সেন্ট্রালের একটি নতুন প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সোমবার(৩০-৬-২০২৫) সকালে হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাকস এর প্রতিনিধি মি. গ্রিগর কনিগ, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. সোমা রানী রায় এবং রোটারি ক্লাব অব চিটাগাং খুলশী সেন্ট্রালের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান ওসমানী, চিফ কনসালটেন্ট ডা. নাসিমুল গনি চৌধুরী, কনসালটেন্ট ডা. ফারজানা আক্তার চৌধুরী, ফিন্যান্স সুপারভাইজার বোরহান উদ্দিন, জুনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসকান্দার হোসেন ওয়াসিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটি এর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের চোখের রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে অন্ধত্ব প্রতিরোধে কাজ করেছে। এবার ‘টিকাদানকারীর মাধ্যমে শিশুর চক্ষু পরীক্ষা : সুস্থ জীবন ও সুস্থ দৃষ্টির প্রতিশ্রুতি’ শীর্ষক নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে জন্ম থেকে ১৫ মাস বয়সী (ইপিআই টিকা গ্রহণকারী) শিশুদের চোখ পরীক্ষা করা হবে।

এই দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটির বাজেট ৮৪ লাখ টাকা এবং এটি জুলাই মাস থেকে চালু হবে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল, এবং রোটারি ক্লাব অব চিটাগাং খুলশী সেন্ট্রাল প্রকল্পের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবে।

প্রকল্পের আওতায় চোখের ছানি, ক্যান্সার, টেরা চোখ, গ্লুকোমাসহ অন্যান্য অস্বাভাবিক লক্ষণ শনাক্ত করে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।

চট্টগ্রাম, ফেনী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও বান্দরবান এই ৬টি জেলায় প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।