সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে হবিবর রহমান হবি হত্যা মামলায় ২ মহিলাসহ ৬ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ এর আদালতের বিচারক কানিস ফাতিমা রায় প্রদান করেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার খান নাবাব ও পেশকার মোহাম্মদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার ৭ জন আসামির মধ্যে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কাজীপুর উপজেলার পাটগ্রাম এলাকার মৃত পচা শেখের ছেলে জুড়ান শেখ, মৃত সোনা মল্লিকের ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত অসীম খার ছেলে কুড়ান খা, শাহ আলীর স্ত্রী ফুলমালা, জুড়ান শেখের স্ত্রী লাভলী ও ছেলে আমির হোসেন।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, হবিবর রহমানের স্ত্রী মৃত্যু বরন করায় পাশ্ববর্তী তার মেয়ের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করতো। ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে খাবার খেয়ে নাতি মেহেদী হাসান শুভকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়িতে এসে পৃথক ঘরে ঘুুমিয়ে পড়েন। সকালে নাতি শুভ ঘুম থেকে উঠে নানাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজা খুঁজি শুরু করে। পরে বিষয়টি তার মাকে জানালে তারাও খুঁজতে থাকে।
এক পর্যায়ে ২ অক্টোবর বিকেলে বাড়ির পাশ্বর্তী নিচু ফসলি জমিতে পানির মধ্যে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবার জানতে পারে হবিবর রহমান প্রতিবেশী ফুলমালা খাতুনের বাড়িতে গোপনে যাতায়াত করতেন। এতে আশপাশের লোকজন সন্দেহ করে মাঝে মধ্যে তাদের সমালোচনা করতেন। এই আক্রোশে ফুলমালা খাতুনসহ আসামিরা হবিবরকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ফুলমালাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে কাজীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে ২০ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৬ আসামিকে বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে হবিবর রহমান হবি হত্যা মামলায় ২ মহিলাসহ ৬ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ এর আদালতের বিচারক কানিস ফাতিমা রায় প্রদান করেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার খান নাবাব ও পেশকার মোহাম্মদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার ৭ জন আসামির মধ্যে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কাজীপুর উপজেলার পাটগ্রাম এলাকার মৃত পচা শেখের ছেলে জুড়ান শেখ, মৃত সোনা মল্লিকের ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত অসীম খার ছেলে কুড়ান খা, শাহ আলীর স্ত্রী ফুলমালা, জুড়ান শেখের স্ত্রী লাভলী ও ছেলে আমির হোসেন।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, হবিবর রহমানের স্ত্রী মৃত্যু বরন করায় পাশ্ববর্তী তার মেয়ের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করতো। ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে খাবার খেয়ে নাতি মেহেদী হাসান শুভকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়িতে এসে পৃথক ঘরে ঘুুমিয়ে পড়েন। সকালে নাতি শুভ ঘুম থেকে উঠে নানাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজা খুঁজি শুরু করে। পরে বিষয়টি তার মাকে জানালে তারাও খুঁজতে থাকে।
এক পর্যায়ে ২ অক্টোবর বিকেলে বাড়ির পাশ্বর্তী নিচু ফসলি জমিতে পানির মধ্যে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবার জানতে পারে হবিবর রহমান প্রতিবেশী ফুলমালা খাতুনের বাড়িতে গোপনে যাতায়াত করতেন। এতে আশপাশের লোকজন সন্দেহ করে মাঝে মধ্যে তাদের সমালোচনা করতেন। এই আক্রোশে ফুলমালা খাতুনসহ আসামিরা হবিবরকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ফুলমালাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে কাজীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে ২০ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৬ আসামিকে বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।