গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও পরকীয়ার অভিযোগ তুলে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই ভুক্তভোগী পরিবার। শুক্রবার সকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সম্মেলনে এসব অভিযোগ আনেন তারা।
প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী শারমিন আক্তার অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে সাইদুর রহমানের অধীনে কাজ করছেন। মাঠ পর্যায় থেকে উত্তোলন করা টাকা সাইদুর রহমানের হাতে তুলে দিলেও তিনি অফিসে জমা দেননি। পরবর্তীতে অফিস কর্তৃপক্ষ মূলধন গরমিলের জন্য তাকেই দায়ী করে চাপ সৃষ্টি করে। এতে বাধ্য হয়ে তাকে এক লাখ সাত হাজার টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিতে হয়।
শারমিন আরও জানান, সাইদুর রহমান শুধু আর্থিক প্রতারণাই করেননি, বরং তার ড্রয়ার থেকে নথিপত্র সরিয়ে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। এমনকি নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন তিনি। এসব ঘটনায় টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।
একইদিন অপর সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তাবাসসুম খান অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী হালিমা খানম রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করার সময় সহকর্মী সাইদুর রহমানের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সম্পর্কের কারণে দাম্পত্য জীবনে ফাটল ধরে। অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী প্রভাবশালী এই কর্মকর্তার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা লেনদেনের কথা বলে তাকে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন।
তাবাসসুম আরও জানান, হালিমা স্থানীয়ভাবে এক পরিবার থেকে ভাতা দেওয়ার প্রলোভনে চার লক্ষ টাকা আদায় করে সেটিও সাইদুরের হাতে তুলে দেন। বর্তমানে ওই পরিবার টাকাগুলো ফেরত চাচ্ছে। ফলে তিনি মানসিক চাপ ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও পরকীয়ার অভিযোগ তুলে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই ভুক্তভোগী পরিবার। শুক্রবার সকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সম্মেলনে এসব অভিযোগ আনেন তারা।
প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী শারমিন আক্তার অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে সাইদুর রহমানের অধীনে কাজ করছেন। মাঠ পর্যায় থেকে উত্তোলন করা টাকা সাইদুর রহমানের হাতে তুলে দিলেও তিনি অফিসে জমা দেননি। পরবর্তীতে অফিস কর্তৃপক্ষ মূলধন গরমিলের জন্য তাকেই দায়ী করে চাপ সৃষ্টি করে। এতে বাধ্য হয়ে তাকে এক লাখ সাত হাজার টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিতে হয়।
শারমিন আরও জানান, সাইদুর রহমান শুধু আর্থিক প্রতারণাই করেননি, বরং তার ড্রয়ার থেকে নথিপত্র সরিয়ে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। এমনকি নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন তিনি। এসব ঘটনায় টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।
একইদিন অপর সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তাবাসসুম খান অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী হালিমা খানম রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করার সময় সহকর্মী সাইদুর রহমানের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সম্পর্কের কারণে দাম্পত্য জীবনে ফাটল ধরে। অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী প্রভাবশালী এই কর্মকর্তার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা লেনদেনের কথা বলে তাকে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন।
তাবাসসুম আরও জানান, হালিমা স্থানীয়ভাবে এক পরিবার থেকে ভাতা দেওয়ার প্রলোভনে চার লক্ষ টাকা আদায় করে সেটিও সাইদুরের হাতে তুলে দেন। বর্তমানে ওই পরিবার টাকাগুলো ফেরত চাচ্ছে। ফলে তিনি মানসিক চাপ ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।