alt

সারাদেশ

সরকার আসে সরকার যায়, ব্রিজ নির্মাণ হয় না সুন্দরগঞ্জের চরে

প্রতিনিধি, (গাইবান্ধা) : শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

(গাইবান্ধা) : ৪০ বছর ধরে এই সাঁকো দিয়েই পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী -সংবাদ

আজ ৪০ বছর ধরে সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার করছি। এখন পর্যন্ত তারাপুর ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত তিস্তার শাখা নদী বুড়াইল নালার ওপর ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। যে সরকার আসে তারাই উন্নয়নের কথা বলে। কোথায় উন্নয়ন হয়, তা জানিনা। কিন্তু আমার চরে কোন উন্নয়ন হয় নাই। আবেগ ভরা মন নিয়ে কথাগুলো বলেন উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা চরের বাসিন্দা আলম মিয়া। তার দাবি সরকার ইচ্ছা করলে ব্রিজ করে দিতে পারে। কেন দেয় না, সেটা তার জানা নাই। চরের মানুষের এই দুর্ভোগ আরও কতকাল চলবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারে না।

প্রতিবছর বন্যা আসার আগে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, নেম্বার, ধনীলোকসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চরের মধ্যে নালা ও শাখা নদীর ওপর সাঁকো বা বাঁশের টার নির্মাণ করে, তার ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

একই কথা বলেন, হরিপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গার চরের সোলেমান মিয়া। তার ভাষ্য হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে কমপক্ষে ৫০টি স্থানে সাঁকো ও বাশের টার রয়েছে। হাট-বাজার থেকে শুরু করে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে এমনকি জেলা এবং উপজেলা শহরের যাতায়াত করতে হলে সাঁকো বা টার পার না হলে যাওয়া যাবে না। চরবাসির এই কষ্ট কি? কোন দিন দুর হবে না।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আনছার আলী বলেন, বর্ষাকালে নৌকা এবং

গ্রীস্মকালে ঘোড়ার গাড়ি বা পায়ে হেটে ব্যবসার মালামাল আনা নেয়া ছাড়া আর কোন পথ নাই। জীবনের সাথে এভাবে যুদ্ধ করে ২৫ বছর ধরে বাদামের চরে ব্যবসা করে আসছি।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, শান্তিরাম, কঞ্চিবাড়ি, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। ড্রেজিং, খনন না করার কারণে উজানের পলি জমে গভীর ভরা তিস্তা এখন মরায় পরিনত হয়েছে। তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন হয়ে অসংখ্য শাখানদী বা নালায় রুপ নিয়ে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় কমপক্ষে ২০০টি স্থানে এখনো সাঁকো বা টার দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে চরের বাসিন্দাদের। এই সাঁকো বিড়ম্বনা যেন চরবাসির জন্য কষ্টের অপর নাম।

হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, তিনি ১০ বছর ধরে তিনি চেয়ারম্যান। চরবাসির চলাচলের জন্য এরমধ্যে তার ইউনিয়নে কতটা সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছেন, সেটি তার মনে নাই। তবে প্রতিবছর পুনমেরামত বা নতুন তৈরি করে দিতে হচ্ছে। তার ইউনিয়নে কমপক্ষে ৫০টি স্থানে সাঁকো রয়েছে। কোনটি শাখা নদী বা নালার ওপর সারা বছর আবার কোনটির ওপর দিয়ে ছয়মাস সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান বলেন, চরের কিছু কিছু

স্থানে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয় হতে ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। অনেক স্থানে ব্রিজ নির্মাণ করা সম্ভাব নয়। তারপরও বিভিন্ন ভাবে সাঁকো নির্মাণ করে দেয়া হয় প্রতিবছর।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, চরে সমস্যার শেষ নাই। বরাদ্দ না থাকলেও জনস্বার্থে কিছু কিছু কাজ করতে হচ্ছে। সাঁকো বিড়ম্বনার কারণে চরবাসির অনেক কষ্ট হচ্ছে এটি সত্য।

ছবি

মোহনগঞ্জে গৃহস্থালি ও দোকানের বর্জ্যে শিয়ালজানি খাল ময়লার ভাগাড়

পলাশে চাঁদা না পেয়ে সিমেন্ট কারখানায় হামলা-ভাঙচুর, আহত ৭

ছবি

গাড়িতে গাড়িতে বই বিক্রি করে চলছে আয়াতুল্লাহ সংসার

সড়ক দুর্ঘটনায় চেয়ারম্যানপুত্রসহ নিহত ৩

ছবি

শিবগঞ্জে সড়কের অনিয়মের অভিযোগে এলাকাবাসীর বাধায় কাজ বন্ধ

রাজশাহীতে সালিশে গুলি বর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

চালের বাজারে অস্থিরতায় অভিযোগে ৩ চালকলকে জরিমানা

ছবি

দশমিনায় বিলুপ্তিপ্রায় দেশি প্রজাতির মাছ

মহিপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

ঝিকরগাছায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, এসিড নিক্ষেপ দগ্ধ ৩

সাভারে পরিত্যক্ত স্থানে মিলল বৃদ্ধার রশি পেঁচানো মরদেহ

ছবি

২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ ভারতীয় ট্রাকচালক আটক

গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ভোলা বিএনপির রক্তদান কর্মসূচি

ছবি

চান্দিনায় নকল ও নিম্নমানের শিশু খাদ্য জব্দ

মোহনগঞ্জ যানজট নিরসন জরুরি

চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪

ছবি

সখীপুরে কাঁঠালের জমজমাট বাজার

নরসিংদীতে অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে ছাই

ঠাকুরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

ছবি

চেলা নদীর তীর কেটে প্রকাশ্যে বালু লুট, প্রশাসন নির্বিকার

কেশবপুরে হনুমানের কামড়ে আহত ৪

ঘিওরে অগ্নিকাণ্ডে ১৪ দোকান ভস্মীভূত

অবৈধভাবে একের পর এক পুশইন করা হচ্ছে : নাহিদ

ছবি

মোরেলগঞ্জে শ্মশানের জমি দখলের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী

রাজশাহীর এমকেএস স্পোর্টস ব্যাট রপ্তানি হচ্ছে ১৪ দেশে

চট্টগ্রামে বায়েজিদ থেকে কুয়াইশ সড়ক ছয় লেনে উন্নীত, নির্মিত হবে উড়ালসেতুও

উখিয়ায় খুন ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

আত্রাইয়ে মাদকদ্রব্যসহ পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার তিনজন

কাঁঠালিয়ার শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান মারধরের শিকার

ছবি

পাগলা মসজিদের ওয়েবসাইট উদ্বোধন

মহেশপুর সীমান্তে অবৈধভাবে পারাপারের সময় আটক ১০

চাঁদপুর মেঘনা নদী থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

হবিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

চুরির অপবাদে যুবককে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন

রাজবাড়ীতে স্ত্রী হত্যায় দ্বিতীয় স্বামীর যাবজ্জীবন

জামালপুরে ধর্ষণের অপরাধে একজনের যাবজ্জীবন, লাখ টাকা অর্থদণ্ড

tab

সারাদেশ

সরকার আসে সরকার যায়, ব্রিজ নির্মাণ হয় না সুন্দরগঞ্জের চরে

প্রতিনিধি, (গাইবান্ধা)

(গাইবান্ধা) : ৪০ বছর ধরে এই সাঁকো দিয়েই পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী -সংবাদ

শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আজ ৪০ বছর ধরে সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার করছি। এখন পর্যন্ত তারাপুর ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত তিস্তার শাখা নদী বুড়াইল নালার ওপর ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। যে সরকার আসে তারাই উন্নয়নের কথা বলে। কোথায় উন্নয়ন হয়, তা জানিনা। কিন্তু আমার চরে কোন উন্নয়ন হয় নাই। আবেগ ভরা মন নিয়ে কথাগুলো বলেন উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা চরের বাসিন্দা আলম মিয়া। তার দাবি সরকার ইচ্ছা করলে ব্রিজ করে দিতে পারে। কেন দেয় না, সেটা তার জানা নাই। চরের মানুষের এই দুর্ভোগ আরও কতকাল চলবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারে না।

প্রতিবছর বন্যা আসার আগে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, নেম্বার, ধনীলোকসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চরের মধ্যে নালা ও শাখা নদীর ওপর সাঁকো বা বাঁশের টার নির্মাণ করে, তার ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

একই কথা বলেন, হরিপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গার চরের সোলেমান মিয়া। তার ভাষ্য হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে কমপক্ষে ৫০টি স্থানে সাঁকো ও বাশের টার রয়েছে। হাট-বাজার থেকে শুরু করে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে এমনকি জেলা এবং উপজেলা শহরের যাতায়াত করতে হলে সাঁকো বা টার পার না হলে যাওয়া যাবে না। চরবাসির এই কষ্ট কি? কোন দিন দুর হবে না।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আনছার আলী বলেন, বর্ষাকালে নৌকা এবং

গ্রীস্মকালে ঘোড়ার গাড়ি বা পায়ে হেটে ব্যবসার মালামাল আনা নেয়া ছাড়া আর কোন পথ নাই। জীবনের সাথে এভাবে যুদ্ধ করে ২৫ বছর ধরে বাদামের চরে ব্যবসা করে আসছি।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, শান্তিরাম, কঞ্চিবাড়ি, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। ড্রেজিং, খনন না করার কারণে উজানের পলি জমে গভীর ভরা তিস্তা এখন মরায় পরিনত হয়েছে। তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন হয়ে অসংখ্য শাখানদী বা নালায় রুপ নিয়ে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় কমপক্ষে ২০০টি স্থানে এখনো সাঁকো বা টার দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে চরের বাসিন্দাদের। এই সাঁকো বিড়ম্বনা যেন চরবাসির জন্য কষ্টের অপর নাম।

হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, তিনি ১০ বছর ধরে তিনি চেয়ারম্যান। চরবাসির চলাচলের জন্য এরমধ্যে তার ইউনিয়নে কতটা সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছেন, সেটি তার মনে নাই। তবে প্রতিবছর পুনমেরামত বা নতুন তৈরি করে দিতে হচ্ছে। তার ইউনিয়নে কমপক্ষে ৫০টি স্থানে সাঁকো রয়েছে। কোনটি শাখা নদী বা নালার ওপর সারা বছর আবার কোনটির ওপর দিয়ে ছয়মাস সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান বলেন, চরের কিছু কিছু

স্থানে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয় হতে ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। অনেক স্থানে ব্রিজ নির্মাণ করা সম্ভাব নয়। তারপরও বিভিন্ন ভাবে সাঁকো নির্মাণ করে দেয়া হয় প্রতিবছর।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, চরে সমস্যার শেষ নাই। বরাদ্দ না থাকলেও জনস্বার্থে কিছু কিছু কাজ করতে হচ্ছে। সাঁকো বিড়ম্বনার কারণে চরবাসির অনেক কষ্ট হচ্ছে এটি সত্য।

back to top