মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা) : গৃহস্থালি ও দোকানে বর্জ্যে ভরে গেছে শিয়ালজানি খাল -সংবাদ
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার পৌরসভায় শিয়ালজানি একটি ঐতিহ্যবাহী খাল। মোহনগঞ্জের কোলঘেঁষে কংশ নদ গর্ভজাত খালটি পৌরশহরের বুক চিরে প্রবাহিত হয়ে ভাটির দিকে সাপমারা নদীতে মিশেছে। খালটির জলরাশি পৌরশহরকে নান্দনিক সৌন্দর্য দান করেছে।
শিয়ালজানিকে বর্জ্যমুক্ত রাখতে নজরদারির পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টি অবশ্যম্ভাবী। খালের দুপাশে মাঝে মাঝে ডাস্টবিন থাকা প্রয়োজন। শহরবাসীর বিকল্প রাস্তা হিসেবে খালের দুপাশের ওয়াকওয়ে ব্যবহার করেন। কিন্তু দুপাশের বৈদ্যুতিক বাতিগুলো না জ্বলার কারণে সন্ধ্যার পর খাল পাড়ে অন্ধকার নেমে আসে
খালটির দুই তীরে রয়েছে ওয়াকওয়ে। মাঝে মাঝে স্থাপন করা হয়েছে বসার জন্য ছায়াযুক্ত রঙবেরঙের ছাতা। সকাল ও বৈকালিক ভ্রমণ, হাঁটাহাঁটির জন্য মোক্ষম সুযোগ এনে দিয়েছে দুপাশের রেলিং বেষ্টিত ওয়াকওয়ে। শুকনো মৌসুমে খালটি শুকিয়ে গেলেও বর্ষায় পানিতে ভরে উঠে। বিভিন্ন দিকের ব্রিজে চারটি করে ও খালের দুই তীরে বসানো হয়েছে বৈদ্যুতিক লাইন। কিন্তু অযত্ন, অবহেলায় সৌন্দর্য হারাচ্ছে শিয়ালজানি খাল। কিছুদিন আগেও খালের দুপাশ ঘাস, জঙ্গলে ভরপুর ছিল। এগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই বর্জ্যমুক্ত করা যাচ্ছে না শিয়ালজানি খাল। বর্তমানে খালের অনেক অংশ পরিষ্কার, পানি দেখা গেলেও স্রোতের টানে বিভিন্ন রকমের ময়লা জমে ভাগাড় সৃষ্টি হচ্ছে। কচুরিপানা আর ময়লা মিশে একাকার। ময়লা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। খালপাড়বাসীর গৃহস্থালি ও দোকানপাটের বর্জ্য দ্বারা দূষিত হচ্ছে শিয়ালজানি খাল। বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যে অতিষ্ঠ শিয়ালজানি দেহ সৌষ্ঠব। জনৈক খালপাড়বাসী বলেন, শিয়ালজানি খালক বর্জমুক্ত রাখতে সকলকে সচেতন হতে হবে। একে অন্যকে বুঝাতে হবে পানিতে বর্জ্য ফেলার কুফল। শিয়ালজানিকে বর্জ্যমুক্ত রাখতে নজরদারির পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টি অবশ্যম্ভাবী। কেউ কেউ বলেন, এ ক্ষেত্রে খালের দুপাশে মাঝে মাঝে ডাস্টবিন থাকা প্রয়োজন। শহরবাসীর বিকল্প রাস্তা হিসেবে খালের দুপাশের ওয়াকওয়ে ব্যবহার করেন। কিন্তু দুপাশের বৈদ্যুতিক বাতিগুলো না জ্বলার কারণে সন্ধার পর খাল পাড়ে অন্ধকার নেমে আসে। নিরাপত্তার কারণে অনেকেই ওয়াকওয়েতে পা বাড়ান না। মাঝে মধ্যে চুরি, ছিনতাইয়ের এত ঘটনা ঘটে। মোহনগঞ্জ পৌরশহরের সৌন্দর্যকে ফিরিয়ে আনতে, রাতের শিয়ালজানিকে আলোকোজ্জ্বল রাখতে, পথচারি চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ওয়াকওয়ের বৈদ্যুতিক লাইনটি চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা) : গৃহস্থালি ও দোকানে বর্জ্যে ভরে গেছে শিয়ালজানি খাল -সংবাদ
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার পৌরসভায় শিয়ালজানি একটি ঐতিহ্যবাহী খাল। মোহনগঞ্জের কোলঘেঁষে কংশ নদ গর্ভজাত খালটি পৌরশহরের বুক চিরে প্রবাহিত হয়ে ভাটির দিকে সাপমারা নদীতে মিশেছে। খালটির জলরাশি পৌরশহরকে নান্দনিক সৌন্দর্য দান করেছে।
শিয়ালজানিকে বর্জ্যমুক্ত রাখতে নজরদারির পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টি অবশ্যম্ভাবী। খালের দুপাশে মাঝে মাঝে ডাস্টবিন থাকা প্রয়োজন। শহরবাসীর বিকল্প রাস্তা হিসেবে খালের দুপাশের ওয়াকওয়ে ব্যবহার করেন। কিন্তু দুপাশের বৈদ্যুতিক বাতিগুলো না জ্বলার কারণে সন্ধ্যার পর খাল পাড়ে অন্ধকার নেমে আসে
খালটির দুই তীরে রয়েছে ওয়াকওয়ে। মাঝে মাঝে স্থাপন করা হয়েছে বসার জন্য ছায়াযুক্ত রঙবেরঙের ছাতা। সকাল ও বৈকালিক ভ্রমণ, হাঁটাহাঁটির জন্য মোক্ষম সুযোগ এনে দিয়েছে দুপাশের রেলিং বেষ্টিত ওয়াকওয়ে। শুকনো মৌসুমে খালটি শুকিয়ে গেলেও বর্ষায় পানিতে ভরে উঠে। বিভিন্ন দিকের ব্রিজে চারটি করে ও খালের দুই তীরে বসানো হয়েছে বৈদ্যুতিক লাইন। কিন্তু অযত্ন, অবহেলায় সৌন্দর্য হারাচ্ছে শিয়ালজানি খাল। কিছুদিন আগেও খালের দুপাশ ঘাস, জঙ্গলে ভরপুর ছিল। এগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই বর্জ্যমুক্ত করা যাচ্ছে না শিয়ালজানি খাল। বর্তমানে খালের অনেক অংশ পরিষ্কার, পানি দেখা গেলেও স্রোতের টানে বিভিন্ন রকমের ময়লা জমে ভাগাড় সৃষ্টি হচ্ছে। কচুরিপানা আর ময়লা মিশে একাকার। ময়লা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। খালপাড়বাসীর গৃহস্থালি ও দোকানপাটের বর্জ্য দ্বারা দূষিত হচ্ছে শিয়ালজানি খাল। বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যে অতিষ্ঠ শিয়ালজানি দেহ সৌষ্ঠব। জনৈক খালপাড়বাসী বলেন, শিয়ালজানি খালক বর্জমুক্ত রাখতে সকলকে সচেতন হতে হবে। একে অন্যকে বুঝাতে হবে পানিতে বর্জ্য ফেলার কুফল। শিয়ালজানিকে বর্জ্যমুক্ত রাখতে নজরদারির পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টি অবশ্যম্ভাবী। কেউ কেউ বলেন, এ ক্ষেত্রে খালের দুপাশে মাঝে মাঝে ডাস্টবিন থাকা প্রয়োজন। শহরবাসীর বিকল্প রাস্তা হিসেবে খালের দুপাশের ওয়াকওয়ে ব্যবহার করেন। কিন্তু দুপাশের বৈদ্যুতিক বাতিগুলো না জ্বলার কারণে সন্ধার পর খাল পাড়ে অন্ধকার নেমে আসে। নিরাপত্তার কারণে অনেকেই ওয়াকওয়েতে পা বাড়ান না। মাঝে মধ্যে চুরি, ছিনতাইয়ের এত ঘটনা ঘটে। মোহনগঞ্জ পৌরশহরের সৌন্দর্যকে ফিরিয়ে আনতে, রাতের শিয়ালজানিকে আলোকোজ্জ্বল রাখতে, পথচারি চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ওয়াকওয়ের বৈদ্যুতিক লাইনটি চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।