ছবি : সংগৃহীত
ফেনীর ফুলগাজীতে বন্যার পানিতে ঘর প্লাবিত হওয়ায় কলাগাছের ভেলায় করে অন্তঃসত্ত্বা কামরুন নাহারকে (২৩) হাসপাতালে নিতে হয়। বুধবার দুপুরে বুকসমান পানি পেরিয়ে ভেলাটি যখন উপজেলা বাজারে পৌঁছায়, তখন আশপাশে কোনো যানবাহন না থাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় এক সাংবাদিক পিকআপ ভাড়া করে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
পরে সন্ধ্যায় ফেনী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন কামরুন নাহার। অস্ত্রোপচার ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব হয়। নবজাতক ও মা দুজনেই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের নার্স রত্না রানী বসাক।
কামরুন নাহারের স্বামী মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, স্ত্রী ফুলগাজীর পূর্ব ঘনিয়ামোড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে ছিলেন। তিনি নিজে কর্মস্থল রাঙামাটিতে ছিলেন। মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যা শুরু হলে স্ত্রীকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকেই বাড়িতে পানি উঠতে থাকে। বুধবার দুপুরে প্রসবব্যথা ওঠে। তখন তাঁর শাশুড়ি ও চাচিশাশুড়ি কলাগাছের ভেলায় করে তাঁকে রওনা করান। প্রথমে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভেলায় তুলে হাসপাতালে পাঠানোর কাজে সহযোগিতা করা স্বেচ্ছাসেবক ও সংবাদমাধ্যমকর্মী ইয়াসিন আরাফাত জানান, তিনি বন্যার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে দেখতে পান, দুই বৃদ্ধা এক অন্তঃসত্ত্বাকে নিয়ে বিপদে পড়েছেন। দ্রুত তিনি মোটরসাইকেলে গিয়ে একটি পিকআপ ভাড়া করেন এবং বৃষ্টির মধ্যে দোকানে আশ্রয় নেওয়া ওই প্রসূতিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে ফেনীর সিভিল সার্জন মোহাম্মাদ রুবাইয়াত বিন করিম বলেন, “বন্যাকবলিত এলাকায় চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা বন্যাকালীন ও পরবর্তীতেও কাজ চালিয়ে যাবে।”
ছবি : সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
ফেনীর ফুলগাজীতে বন্যার পানিতে ঘর প্লাবিত হওয়ায় কলাগাছের ভেলায় করে অন্তঃসত্ত্বা কামরুন নাহারকে (২৩) হাসপাতালে নিতে হয়। বুধবার দুপুরে বুকসমান পানি পেরিয়ে ভেলাটি যখন উপজেলা বাজারে পৌঁছায়, তখন আশপাশে কোনো যানবাহন না থাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় এক সাংবাদিক পিকআপ ভাড়া করে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
পরে সন্ধ্যায় ফেনী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন কামরুন নাহার। অস্ত্রোপচার ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব হয়। নবজাতক ও মা দুজনেই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের নার্স রত্না রানী বসাক।
কামরুন নাহারের স্বামী মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, স্ত্রী ফুলগাজীর পূর্ব ঘনিয়ামোড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে ছিলেন। তিনি নিজে কর্মস্থল রাঙামাটিতে ছিলেন। মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যা শুরু হলে স্ত্রীকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকেই বাড়িতে পানি উঠতে থাকে। বুধবার দুপুরে প্রসবব্যথা ওঠে। তখন তাঁর শাশুড়ি ও চাচিশাশুড়ি কলাগাছের ভেলায় করে তাঁকে রওনা করান। প্রথমে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভেলায় তুলে হাসপাতালে পাঠানোর কাজে সহযোগিতা করা স্বেচ্ছাসেবক ও সংবাদমাধ্যমকর্মী ইয়াসিন আরাফাত জানান, তিনি বন্যার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে দেখতে পান, দুই বৃদ্ধা এক অন্তঃসত্ত্বাকে নিয়ে বিপদে পড়েছেন। দ্রুত তিনি মোটরসাইকেলে গিয়ে একটি পিকআপ ভাড়া করেন এবং বৃষ্টির মধ্যে দোকানে আশ্রয় নেওয়া ওই প্রসূতিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে ফেনীর সিভিল সার্জন মোহাম্মাদ রুবাইয়াত বিন করিম বলেন, “বন্যাকবলিত এলাকায় চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা বন্যাকালীন ও পরবর্তীতেও কাজ চালিয়ে যাবে।”