নওগাঁ শহরের কাজীর মোড়ে নিজের ৭০ বছর বয়সী বিধবা মাকে নিজ বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে একমাত্র ছেলে মোস্তাফিজুল ইসলাম সৌরভকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারীর নাম বিলকিস আক্তার। তিনি জানান, ছেলের লোভের কারণেই তাকে নিজের স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নেওয়ার চাপ দিতে দিতে এক পর্যায়ে বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে দেন ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২০২১ সালে বিলকিস আক্তারের স্বামী মারা যান। এরপর থেকেই স্বামী নির্মিত বাড়ির মালিকানা নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক বিরোধ। আইন অনুযায়ী তিনি ও তার তিন সন্তান বসতবাড়ির মালিক হলেও, দুই মেয়ে তাদের অংশ মায়ের নামে লিখে দেন। ফলে কাগজপত্র অনুযায়ী বিলকিস আক্তার এখন বাড়ির প্রায় ৭০ শতাংশের মালিক।
সোমবার বেলা ১১টায় নিজ ফ্ল্যাটে ফিরতে গিয়ে তালা লাগানো দেখতে পান তিনি। ছেলেকে জিজ্ঞেস করলে সাফ জানিয়ে দেন, তাকে আর এই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরে দিনভর বাড়ির নিচতলার গ্যারেজে বসে থাকতে হয় বৃদ্ধা মাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
মানবাধিকার কমিশনের নওগাঁ ইউনিটের সদস্যরা বিকেলে সেখানে গিয়ে সৌরভকে সরাসরি তার মাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে দেখেন। এমনকি উপস্থিত কয়েকজনকে মারধরের ঘটনাও ঘটে।
এ ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিলকিস আক্তার। রাতেই পুলিশ সৌরভকে গ্রেপ্তার করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিলকিস আক্তারের বড় মেয়ের স্বামী ডা. আবুজার গাফফার জানান, এর আগেও সৌরভ মাকে নির্যাতন করেছে, মামলা রয়েছে। অথচ এই বাড়ির নয় আনার মালিক এখন তারই মা। তারপরও তাকে গৃহে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
অভিযুক্ত সৌরভ দাবি করেন, “বসতবাড়ি নিয়ে পারিবারিক কলহের পর থেকে তার মা বড় বোনের বাসায় আছেন। বাড়ি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। এখন আমার বাসায় আসতে হলে তাকে আদালতের মাধ্যমে আসতে হবে। তাই তাকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছি না।”
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
নওগাঁ শহরের কাজীর মোড়ে নিজের ৭০ বছর বয়সী বিধবা মাকে নিজ বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে একমাত্র ছেলে মোস্তাফিজুল ইসলাম সৌরভকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারীর নাম বিলকিস আক্তার। তিনি জানান, ছেলের লোভের কারণেই তাকে নিজের স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নেওয়ার চাপ দিতে দিতে এক পর্যায়ে বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে দেন ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২০২১ সালে বিলকিস আক্তারের স্বামী মারা যান। এরপর থেকেই স্বামী নির্মিত বাড়ির মালিকানা নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক বিরোধ। আইন অনুযায়ী তিনি ও তার তিন সন্তান বসতবাড়ির মালিক হলেও, দুই মেয়ে তাদের অংশ মায়ের নামে লিখে দেন। ফলে কাগজপত্র অনুযায়ী বিলকিস আক্তার এখন বাড়ির প্রায় ৭০ শতাংশের মালিক।
সোমবার বেলা ১১টায় নিজ ফ্ল্যাটে ফিরতে গিয়ে তালা লাগানো দেখতে পান তিনি। ছেলেকে জিজ্ঞেস করলে সাফ জানিয়ে দেন, তাকে আর এই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরে দিনভর বাড়ির নিচতলার গ্যারেজে বসে থাকতে হয় বৃদ্ধা মাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
মানবাধিকার কমিশনের নওগাঁ ইউনিটের সদস্যরা বিকেলে সেখানে গিয়ে সৌরভকে সরাসরি তার মাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে দেখেন। এমনকি উপস্থিত কয়েকজনকে মারধরের ঘটনাও ঘটে।
এ ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিলকিস আক্তার। রাতেই পুলিশ সৌরভকে গ্রেপ্তার করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিলকিস আক্তারের বড় মেয়ের স্বামী ডা. আবুজার গাফফার জানান, এর আগেও সৌরভ মাকে নির্যাতন করেছে, মামলা রয়েছে। অথচ এই বাড়ির নয় আনার মালিক এখন তারই মা। তারপরও তাকে গৃহে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
অভিযুক্ত সৌরভ দাবি করেন, “বসতবাড়ি নিয়ে পারিবারিক কলহের পর থেকে তার মা বড় বোনের বাসায় আছেন। বাড়ি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। এখন আমার বাসায় আসতে হলে তাকে আদালতের মাধ্যমে আসতে হবে। তাই তাকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছি না।”