কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ
মুন্সীগঞ্জ : মিরকাদিমে গৃহবধূ মিতুকে হত্যার ঘটনার বিচার দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির বিষয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনায় আশ্বাসমূলক বক্তব্য ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পেয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অবশেষে আর কলেজে না আসার ঘোষণা দিয়ে পুলিশ পাহারায় রাতে কলেজ ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঞা। গতকাল সোমবার রাত সোয়া ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে তার বাসায় পৌঁছে দেন। তবে অধ্যক্ষ জানান, মন্ত্রণালয়ের আদেশে আমি এখানে দায়িত্ব পালন করছি, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি জানান এবং দুই কার্যদিবস সময় দেন। সোমবার কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসেন। কিন্তু তারা অধ্যক্ষের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস না পেয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের দেয়া ৯ দফা দাবি গুলি হচ্ছে- কলেজে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন, ডিগ্রি শাখার জন্য পৃথক ও আধুনিক ক্যাম্পাস স্থাপন, সিসিটিভি ক্যামেরা ও পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগত, মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বাস ও মাইক্রোবাস সার্ভিস চালু, আবাসিক হল ও আশপাশের হোটেল এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন, সুপেয় পানি, আধুনিক ওয়াশরুম এবং যুগোপযোগী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকা- পরিচালনায় আলাদা ফান্ড গঠন, কলেজের সব ধরনের আয়-ব্যয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবির বিষয়ে অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে আশ্বাসমূলক বক্তব্য ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সংলাপ ভেঙে বের হয়ে আসেন এবং এক দফা এক দাবি, অধ্যক্ষের পদত্যাগ চাই স্লোগান তুলে বিক্ষোভ করেন। পরে তিনি (অধ্যক্ষ) মসজিদে আশ্রয় নেন এবং সেখানে তাকে রাতে উদ্ধার পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুল মজিদ জানান, পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে পড়ায় রাত ১০টার দিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে আসেন। এ সময় পুলিশ অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষ এ কলেজে আর আসবেন না মৌখিক এ ঘোষণা দিয়েছেন। বিষয়টি মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের সব সেক্টর জেনেছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যগের দাবিতে বিকেল থেকে বিক্ষোভ করছিল। তবে রাতের দিকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা অধ্যক্ষকে রাত সোয়া ১১টার দিকে নিরাপদে বাসায় পৌঁছে দিয়েছি।
তবে এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে কলেজ অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঞা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয় নিয়ে আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। ৫-৬টি দাবি কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমারও একাত্বতা রয়েছে। কিন্তু আমার সাধ্যের মধ্যে যে টুকু করা যায়, তা বাস্তবায়নের জন্য বলেছি। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনসহ শত কোটি টাকা প্রকল্প বাস্তবায়নে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারি। বরাদ্দসহ অর্থ ছাড় পাওয়ার পর তা বাস্তবায়নের কথা বলেছি। কিন্তু হঠাৎ করেই শিক্ষার্থীরা আমাকে পদত্যাগের দাবি জানায়। আমি তো এখানে মন্ত্রণালয়ের আদেশে দায়িত্ব পালন করছি। যেহেতু সরকারি চাকরি করি সেহেতু বদলি বা পদত্যাগের বিষয়টি একমাত্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। আমি এখানে না থাকলে অধ্যক্ষ পদে কেউ না কেউ দায়িত্ব পালন করবে। সেক্ষেত্রে দাবি বাস্তবায়নে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ
মুন্সীগঞ্জ : মিরকাদিমে গৃহবধূ মিতুকে হত্যার ঘটনার বিচার দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির বিষয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনায় আশ্বাসমূলক বক্তব্য ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পেয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অবশেষে আর কলেজে না আসার ঘোষণা দিয়ে পুলিশ পাহারায় রাতে কলেজ ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঞা। গতকাল সোমবার রাত সোয়া ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে তার বাসায় পৌঁছে দেন। তবে অধ্যক্ষ জানান, মন্ত্রণালয়ের আদেশে আমি এখানে দায়িত্ব পালন করছি, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি জানান এবং দুই কার্যদিবস সময় দেন। সোমবার কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসেন। কিন্তু তারা অধ্যক্ষের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস না পেয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের দেয়া ৯ দফা দাবি গুলি হচ্ছে- কলেজে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন, ডিগ্রি শাখার জন্য পৃথক ও আধুনিক ক্যাম্পাস স্থাপন, সিসিটিভি ক্যামেরা ও পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগত, মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বাস ও মাইক্রোবাস সার্ভিস চালু, আবাসিক হল ও আশপাশের হোটেল এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন, সুপেয় পানি, আধুনিক ওয়াশরুম এবং যুগোপযোগী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকা- পরিচালনায় আলাদা ফান্ড গঠন, কলেজের সব ধরনের আয়-ব্যয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবির বিষয়ে অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে আশ্বাসমূলক বক্তব্য ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সংলাপ ভেঙে বের হয়ে আসেন এবং এক দফা এক দাবি, অধ্যক্ষের পদত্যাগ চাই স্লোগান তুলে বিক্ষোভ করেন। পরে তিনি (অধ্যক্ষ) মসজিদে আশ্রয় নেন এবং সেখানে তাকে রাতে উদ্ধার পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুল মজিদ জানান, পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে পড়ায় রাত ১০টার দিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে আসেন। এ সময় পুলিশ অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষ এ কলেজে আর আসবেন না মৌখিক এ ঘোষণা দিয়েছেন। বিষয়টি মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের সব সেক্টর জেনেছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যগের দাবিতে বিকেল থেকে বিক্ষোভ করছিল। তবে রাতের দিকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা অধ্যক্ষকে রাত সোয়া ১১টার দিকে নিরাপদে বাসায় পৌঁছে দিয়েছি।
তবে এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে কলেজ অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঞা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয় নিয়ে আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। ৫-৬টি দাবি কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমারও একাত্বতা রয়েছে। কিন্তু আমার সাধ্যের মধ্যে যে টুকু করা যায়, তা বাস্তবায়নের জন্য বলেছি। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনসহ শত কোটি টাকা প্রকল্প বাস্তবায়নে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারি। বরাদ্দসহ অর্থ ছাড় পাওয়ার পর তা বাস্তবায়নের কথা বলেছি। কিন্তু হঠাৎ করেই শিক্ষার্থীরা আমাকে পদত্যাগের দাবি জানায়। আমি তো এখানে মন্ত্রণালয়ের আদেশে দায়িত্ব পালন করছি। যেহেতু সরকারি চাকরি করি সেহেতু বদলি বা পদত্যাগের বিষয়টি একমাত্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। আমি এখানে না থাকলে অধ্যক্ষ পদে কেউ না কেউ দায়িত্ব পালন করবে। সেক্ষেত্রে দাবি বাস্তবায়নে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।’