দেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণামূলক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন অফার, প্যাকেজ ও সেবার নামে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায় করছে এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারিত করছে।
সম্প্রতি একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন, তারা গ্রামীণফোনের কাছ থেকে অফার সংক্রান্ত বার্তা বা ফোন না পেয়েও অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়ার ঘটনা লক্ষ্য করছেন। কেউ কেউ জানিয়েছেন, তারা নির্দিষ্ট কোন প্যাকেজে সাবস্ক্রাইব না করেও ‘অটো রিনিউ’ এর মাধ্যমে টাকা কেটে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ডাটা শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। বেতাগী উপজেলার একাধিক গ্রাহক জানান, তারা কাক্সিক্ষত অফারটি (নির্ধারিত প্যাকেজ বা কলরেট) ব্যবহার করতে চাইলেও সেটি চালু হয়নি। বারবার চেষ্টার পরও সেবা না পেয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রযুক্তিগত সমস্যার অজুহাতে গ্রাহকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।
বেতাগী পৌরসভার ৩ নস্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সহকারি শিক্ষক লিপিকা ম-ল বলেন, গতকাল সোমবার রাত ৯:২৭ মিনিটে ১৬৬ টাকার অপারে ২০০ মিনিট ৩০ দিন মেয়াদের বিকাশ অ্যাপস থেকে অপার কিনে নেয়। পরে তার নাম্বারে কোন সেবা দেয়া হয়নি। এ বিষয় গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ারের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।
ভুক্তভোগী গ্রামীণফোনের সিম ব্যবহারকারী একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, কাস্টমার কেয়ার নম্বরে যোগাযোগ করেও কোনো কার্যকর সমাধান পাওয়া যায়নি। অনেক সময় অভিযোগ নথিভুক্ত করা হলেও তা অনুসন্ধান বা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয় না প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা সবসময় গ্রাহক সেবার মান বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর এবং যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দেখছে। এ বিষয় আরেক গ্রাহক বলেন, ‘বাস্তব অভিজ্ঞতা কথা বলছি, গ্রামীণফোন বিভিন্ন অফারে মিনিট প্যাকেজ কিনে নিলে, সঠিক সেবা দেয় না। কোম্পানির কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই।’
সাধারণ গ্রাহকরা এমন প্রতারণার বিরুদ্ধে দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ এবং মোবাইল অপারেটর নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কার্যকর নজরদারি দাবি করেছেন একাধিক গ্রাহক।
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
দেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণামূলক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন অফার, প্যাকেজ ও সেবার নামে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায় করছে এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারিত করছে।
সম্প্রতি একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন, তারা গ্রামীণফোনের কাছ থেকে অফার সংক্রান্ত বার্তা বা ফোন না পেয়েও অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়ার ঘটনা লক্ষ্য করছেন। কেউ কেউ জানিয়েছেন, তারা নির্দিষ্ট কোন প্যাকেজে সাবস্ক্রাইব না করেও ‘অটো রিনিউ’ এর মাধ্যমে টাকা কেটে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ডাটা শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। বেতাগী উপজেলার একাধিক গ্রাহক জানান, তারা কাক্সিক্ষত অফারটি (নির্ধারিত প্যাকেজ বা কলরেট) ব্যবহার করতে চাইলেও সেটি চালু হয়নি। বারবার চেষ্টার পরও সেবা না পেয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রযুক্তিগত সমস্যার অজুহাতে গ্রাহকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।
বেতাগী পৌরসভার ৩ নস্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সহকারি শিক্ষক লিপিকা ম-ল বলেন, গতকাল সোমবার রাত ৯:২৭ মিনিটে ১৬৬ টাকার অপারে ২০০ মিনিট ৩০ দিন মেয়াদের বিকাশ অ্যাপস থেকে অপার কিনে নেয়। পরে তার নাম্বারে কোন সেবা দেয়া হয়নি। এ বিষয় গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ারের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।
ভুক্তভোগী গ্রামীণফোনের সিম ব্যবহারকারী একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, কাস্টমার কেয়ার নম্বরে যোগাযোগ করেও কোনো কার্যকর সমাধান পাওয়া যায়নি। অনেক সময় অভিযোগ নথিভুক্ত করা হলেও তা অনুসন্ধান বা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয় না প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা সবসময় গ্রাহক সেবার মান বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর এবং যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দেখছে। এ বিষয় আরেক গ্রাহক বলেন, ‘বাস্তব অভিজ্ঞতা কথা বলছি, গ্রামীণফোন বিভিন্ন অফারে মিনিট প্যাকেজ কিনে নিলে, সঠিক সেবা দেয় না। কোম্পানির কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই।’
সাধারণ গ্রাহকরা এমন প্রতারণার বিরুদ্ধে দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ এবং মোবাইল অপারেটর নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কার্যকর নজরদারি দাবি করেছেন একাধিক গ্রাহক।