পরিজনদের আপত্তির মুখে কবর থেকে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে গেলেন পিবিআইর ঢাকা অফিসের একটিটিম। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার সময় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর গ্রামেটিমটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকার সাভারে পুলিশের গুলিতে নিহত ওই গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে শামীম মিয়ার (শফিক) (৫৮) লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে এসেছিলেন। শামীম সাভারে শরবত বিক্রি করতেন।

২০ জুলাই ২০২৪ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকার সাভারে পুলিশের গুলিতে নিহত হন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর গ্রামের শামীম মিয়া (শফিক) এ ঘটনায় বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আশুলিয়া) আদালতে বাদী হয়ে মামলা করেছেন পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার সাভার গ্রামের শফিউর রহমানের ছেলে জাকারিয়া হোসেন। মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল সহ ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আড়াইশ থেকে তিনশ জনকে। এই মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে গতকাল সোমবার লাশ উত্তোলণের জন্য এসেছিলেন ঢাকা জেলা পিবিআই এর একটি টিম।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুল ইসলাম ও ছাতিয়াইন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটিটিম।

কিন্তু নিহত শামীমের স্বজনেরা লাশ উত্তোলণ করতে আপত্তি জানান। তাদের দাবি কোথাকার কোনো জাকারিয়ার মামলায় শামীমের লাশ উত্তোলনের বিষয়টি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। জাকারিয়া তাদের কোনো আত্মীয় স্বজনও নয়, এই নামে তারা কাউকে চিনে না। শামীমের ভাই জহুরুল দাবি করেছেন, শামীম হত্যাকাণ্ডে তারা ট্রাইবুনালে মামলা করেছেন আগেই। এক্ষেত্রে ট্রাইবুনালের মাধ্যমেই যা হওয়ার হবে। পিবিআই ইন্সপেক্টর গোবিন্দ লাল দে জানান, শামীমের স্বজনদের আপত্তির বিষয়টি আমরা আদালতকে অবহিত করব।

সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করতে গেলেও নিহতের পরিবারের লোকজনের লিখিত আপত্তির কারণে আমরা লাশ উত্তোলন না করেই চলে আসি।