মাদারগঞ্জ (জামালপুর) : স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার হচ্ছে সেতু -সংবাদ
জামালপুরের মাদারগঞ্জে ৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়নের ৩, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র প্রধান সড়কে একটি মাত্র ব্রীজ তাও আবার কাঠের ব্রীজ। এই ব্রীজটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০০ ফুট হবে। উপজেলার চরসুখনগরী টু চরনাংলা এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন নাদাগাড়ী, পাকুরিয়ারচর, জাওনের চর, ডাকাতমারা, নান্দিনার চর, মুলবাড়ি, সারিয়াকান্দী, আটাত্তর চর, শোনপচার চর, ইন্দুরমারা চরসহ আরও কিছু এলাকার জনসাধারণ।
১৯৯১ সন থেকে ২০২৪ সন পর্যন্ত যমুনা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল এলাকার জনসাধারণের ভাগ্যন্নয়ন হয়নি! সেই সাথে কোন পরিবর্তন হয়নি। যতটুকু হয়েছে সেটা কালের বিবর্তন সময়ের পরিক্রমায় হয়েছে।
৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের বরাদে নানা গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে, সড়কের মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে! দক্ষিণাঞ্চল বাঁধের মাথায় কাঠের ব্রিজ। মাদারগঞ্জ উপজেলা ৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়নের ৩, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র প্রধান সড়কে একটি মাত্র কাঠের ব্রিজ।
আটাত্তর চর এলাকার বাসিন্দা ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শহিদুল্লাহ সংবাদকে বলেন, একজন রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলাম, বাঁধের মাথার আসার পর রোগীর যে অবস্থা হয়েছে বাচবে কি না সন্দেহ। এই সেতু দিয়ে যাতায়ত করেন চরনাংলা বাজারের ধান ব্যবসায়ীরা ধানের গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন না। এতে ক্ষতির মুখে পড়েন তারা। ধান ব্যবসায়ী সবুজ জানান, ধান ভর্তি ট্রাক নিয়ে তারা রাস্থায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন একটি সেতুর অভাবে।
ফলে চরনাংলা বাঁধের মাথার নাংলা বাজার ব্যবসায়ীরা ও আশে পাশের বিভিন্ন গ্রামবাসীরা বিগত দিনগুলোতে চলাচলে ঝুঁকি ও দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগ হলেও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তা সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসেনি। এরপর স্থানীয়ভাবে সবাই মিলে ভাঙা সেতু টি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাদের শ্রমে-অর্থে ভাঙা সাঁকোটি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে বিগত কয়েক বছর আগের পুরনো কাঠের সেতু টি।
চরসুখনগরী টু চরনাংলা সড়কে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্মিত একটি কাঠের সাঁকো ভেঙে প্রায় ১ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন প্রায় ৪০ হাজারো মানুষ। অবশেষে চরনাংলা গ্রামবাসী, বাঁধের মাথার নাংলা বাজার ব্যবসায়ীরা, গ্রামবাসী ও আশেপাশে এলাকার রিক্সা, অটো রিক্সা, সিএনজি ও ভ্যানচালকরা সবাই মিলে নিজেরাই চাঁদা তুলে ও স্বেচ্ছাশ্রমে সেটি সংস্কার করে কাঠের সেতু পূনঃ নির্মাণ করেছেন।
জানা যায়, জামালপুরের মাদারগঞ্জে ৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়নের চরসুখনগরী টু চরনাংলা সড়কের এই সেতু কে বাঁধের মাথা সেতু নামে চেনেন। এই সেতু ৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়নের ০ নম্বর ওয়ার্ড ও ০ নম্বর ওয়ার্ডকে যুক্ত করেছে। ২৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের ১ বছরের পুরোনো সেতুটিকে সংস্কার শুরু হয় গত মাসে। চরনাংলা গ্রামের ৫০-৬০ জন মিলে ১৫ দিন ধরে শ্রম ও অর্থ দিয়ে এই কাঠের সেতুটি পুনর্নির্মাণ শেষ করেছেন।
বালিজুড়ী ইউনিয়নের চরনাংলা ৮নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মনির হোসেন বন্যা সংবাদকে বলেন, সুখনগরী টু চরনাংলা সড়কে সাঁকোর দুই পাশে অনেক ঘরবাড়ি আছে। এই সেতু দিয়ে অন্তত ৪০ হাজার সাধারণ লোকজন যাতায়াত করেন। গত বছরের বন্যায় পানির প্রবল স্রোতের কারনে হঠাৎ বাঁশ দিয়ে তৈরি এই সাঁকোটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভেঙে যায়। এতে চলাচলে ঝুঁকি ও দুর্ভোগ দেখা দেয়। এত দিন ধরে দুর্ভোগ হলেও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তা সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসেনি। এরপর স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়। চরনাংলার স্থানীয় বাসিন্দা বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান বলেন, এত এত মানুষকে পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে কাজে যেতে হচ্ছিল। তাই তারা নিজেরাই এটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন। তিনি বিপুল পরিমাণ কাঠ সংস্কারকাজে দিয়েছেন। চর নাদাগারী ৩নং বিএনপির সভাপতি সওদাগর বলেন, সিএনজি নিয়ে যেতে, বাসায় ফিরতে চরম দুর্ভোগে ছিলেন। পুরনো সেতু সংস্কার করে সেখানে কাঠের সেতু পুনর্নির্মাণ করায় দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোছা বলেন, পুরাতন সাঁকোটি নতুন করে পুনর্নির্মাণ শেষ হয়েছে। ফলে সুখনগরী, চরনাদাগাড়ী, চরনাংলা, নাংলা বাজারের ব্যবসায়ীরা ও আশপাশের গ্রামবাসী সেটি ব্যবহার করছেন। মানুষের ঐক্য আর মহানুভবতার কাছে কোনো সমস্যাই বড় নয়। তবে এখানে জনদুর্ভোগ কমাতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসা উচিত ছিল। এ বিষয়ে সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
এবিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া তমাল সংবাদকে বলেন, আমরা বিগত এক বছর আগে রাস্তার আইডির জন্য প্রস্তাবনা প্রেরণ করি। আশাকরি আইডিটির কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। আইডিটি পাওয়া গেলে তখন আমরা সেখানে ব্রিজের প্রস্তাব দিতে পারব এবং সেটি তখন কার্যকরী হবে। আশা করছি যে সেখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে, ওই এলাকার মানুষ উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।
মাদারগঞ্জ (জামালপুর) : স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার হচ্ছে সেতু -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
জামালপুরের মাদারগঞ্জে ৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়নের ৩, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র প্রধান সড়কে একটি মাত্র ব্রীজ তাও আবার কাঠের ব্রীজ। এই ব্রীজটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০০ ফুট হবে। উপজেলার চরসুখনগরী টু চরনাংলা এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন নাদাগাড়ী, পাকুরিয়ারচর, জাওনের চর, ডাকাতমারা, নান্দিনার চর, মুলবাড়ি, সারিয়াকান্দী, আটাত্তর চর, শোনপচার চর, ইন্দুরমারা চরসহ আরও কিছু এলাকার জনসাধারণ।
১৯৯১ সন থেকে ২০২৪ সন পর্যন্ত যমুনা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল এলাকার জনসাধারণের ভাগ্যন্নয়ন হয়নি! সেই সাথে কোন পরিবর্তন হয়নি। যতটুকু হয়েছে সেটা কালের বিবর্তন সময়ের পরিক্রমায় হয়েছে।
৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের বরাদে নানা গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে, সড়কের মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে! দক্ষিণাঞ্চল বাঁধের মাথায় কাঠের ব্রিজ। মাদারগঞ্জ উপজেলা ৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়নের ৩, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র প্রধান সড়কে একটি মাত্র কাঠের ব্রিজ।
আটাত্তর চর এলাকার বাসিন্দা ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শহিদুল্লাহ সংবাদকে বলেন, একজন রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলাম, বাঁধের মাথার আসার পর রোগীর যে অবস্থা হয়েছে বাচবে কি না সন্দেহ। এই সেতু দিয়ে যাতায়ত করেন চরনাংলা বাজারের ধান ব্যবসায়ীরা ধানের গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন না। এতে ক্ষতির মুখে পড়েন তারা। ধান ব্যবসায়ী সবুজ জানান, ধান ভর্তি ট্রাক নিয়ে তারা রাস্থায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন একটি সেতুর অভাবে।
ফলে চরনাংলা বাঁধের মাথার নাংলা বাজার ব্যবসায়ীরা ও আশে পাশের বিভিন্ন গ্রামবাসীরা বিগত দিনগুলোতে চলাচলে ঝুঁকি ও দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগ হলেও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তা সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসেনি। এরপর স্থানীয়ভাবে সবাই মিলে ভাঙা সেতু টি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাদের শ্রমে-অর্থে ভাঙা সাঁকোটি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে বিগত কয়েক বছর আগের পুরনো কাঠের সেতু টি।
চরসুখনগরী টু চরনাংলা সড়কে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্মিত একটি কাঠের সাঁকো ভেঙে প্রায় ১ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন প্রায় ৪০ হাজারো মানুষ। অবশেষে চরনাংলা গ্রামবাসী, বাঁধের মাথার নাংলা বাজার ব্যবসায়ীরা, গ্রামবাসী ও আশেপাশে এলাকার রিক্সা, অটো রিক্সা, সিএনজি ও ভ্যানচালকরা সবাই মিলে নিজেরাই চাঁদা তুলে ও স্বেচ্ছাশ্রমে সেটি সংস্কার করে কাঠের সেতু পূনঃ নির্মাণ করেছেন।
জানা যায়, জামালপুরের মাদারগঞ্জে ৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়নের চরসুখনগরী টু চরনাংলা সড়কের এই সেতু কে বাঁধের মাথা সেতু নামে চেনেন। এই সেতু ৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়নের ০ নম্বর ওয়ার্ড ও ০ নম্বর ওয়ার্ডকে যুক্ত করেছে। ২৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের ১ বছরের পুরোনো সেতুটিকে সংস্কার শুরু হয় গত মাসে। চরনাংলা গ্রামের ৫০-৬০ জন মিলে ১৫ দিন ধরে শ্রম ও অর্থ দিয়ে এই কাঠের সেতুটি পুনর্নির্মাণ শেষ করেছেন।
বালিজুড়ী ইউনিয়নের চরনাংলা ৮নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মনির হোসেন বন্যা সংবাদকে বলেন, সুখনগরী টু চরনাংলা সড়কে সাঁকোর দুই পাশে অনেক ঘরবাড়ি আছে। এই সেতু দিয়ে অন্তত ৪০ হাজার সাধারণ লোকজন যাতায়াত করেন। গত বছরের বন্যায় পানির প্রবল স্রোতের কারনে হঠাৎ বাঁশ দিয়ে তৈরি এই সাঁকোটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভেঙে যায়। এতে চলাচলে ঝুঁকি ও দুর্ভোগ দেখা দেয়। এত দিন ধরে দুর্ভোগ হলেও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তা সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসেনি। এরপর স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়। চরনাংলার স্থানীয় বাসিন্দা বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান বলেন, এত এত মানুষকে পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে কাজে যেতে হচ্ছিল। তাই তারা নিজেরাই এটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন। তিনি বিপুল পরিমাণ কাঠ সংস্কারকাজে দিয়েছেন। চর নাদাগারী ৩নং বিএনপির সভাপতি সওদাগর বলেন, সিএনজি নিয়ে যেতে, বাসায় ফিরতে চরম দুর্ভোগে ছিলেন। পুরনো সেতু সংস্কার করে সেখানে কাঠের সেতু পুনর্নির্মাণ করায় দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোছা বলেন, পুরাতন সাঁকোটি নতুন করে পুনর্নির্মাণ শেষ হয়েছে। ফলে সুখনগরী, চরনাদাগাড়ী, চরনাংলা, নাংলা বাজারের ব্যবসায়ীরা ও আশপাশের গ্রামবাসী সেটি ব্যবহার করছেন। মানুষের ঐক্য আর মহানুভবতার কাছে কোনো সমস্যাই বড় নয়। তবে এখানে জনদুর্ভোগ কমাতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসা উচিত ছিল। এ বিষয়ে সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
এবিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া তমাল সংবাদকে বলেন, আমরা বিগত এক বছর আগে রাস্তার আইডির জন্য প্রস্তাবনা প্রেরণ করি। আশাকরি আইডিটির কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। আইডিটি পাওয়া গেলে তখন আমরা সেখানে ব্রিজের প্রস্তাব দিতে পারব এবং সেটি তখন কার্যকরী হবে। আশা করছি যে সেখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে, ওই এলাকার মানুষ উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।