ফসলি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বাস্তবায়নাধীন তমালতলা থেকে পকেটখালি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কৃষক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কোনো প্রকার অনুমতি বা অর্থ পরিশোধ না করেই ফসলি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নিচ্ছে, এতে যেমন জমির ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি কৃষকরাও অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ১৭ কোটি ২০ লাখ ১৫ হাজার ৮৬১ টাকা, যার মধ্যে মাটি কাটা, পরিবহন ও ভরাটের জন্য বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ৮২ লাখ টাকা। প্রকল্পটির কার্যাদেশ পেয়েছে যশোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাকাউল্লা অ্যান্ড ব্রাদার্স, তবে প্রকল্পের কাজ বাস্তবে পরিচালনা করছে নাটোরের আসিফ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক বলেন, আমার জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে, অথচ কেউ আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি, কোনো টাকা তো দূরের কথা। এমন অভিযোগ একাধিক কৃষকের। তাদের দাবি, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং ঠিকাদার মিলে এই বেআইনি কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন, আর প্রকল্প বাস্তবায়নে নজরদারির অভাবে এসব ঘটছে। গতকাল সোমবার দুপুরে অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহী কার্যালয়ের একটি দল প্রকল্প এলাকায় অভিযান চালায়। তারা নির্মাণাধীন রাস্তা ঘুরে দেখে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন এবং মাটিকাটা নিয়ে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেন। এসময় দুদকের এক কর্মকর্তা তানভির আহম্মেদ সিদ্দিক জানান, অভিযানে আমরা কিছু অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা, নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের আলামত পাওয়া গেছে। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি এবং বিষয়টি কমিশনে প্রতিবেদন আকারে প্রেরণ করা হবে।
এই ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের আড়ালে কৃষকের জমি ও জীবিকা লুটে নেওয়া এক ধরনের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও দুর্নীতির রূপ।
ফসলি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বাস্তবায়নাধীন তমালতলা থেকে পকেটখালি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কৃষক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কোনো প্রকার অনুমতি বা অর্থ পরিশোধ না করেই ফসলি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নিচ্ছে, এতে যেমন জমির ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি কৃষকরাও অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ১৭ কোটি ২০ লাখ ১৫ হাজার ৮৬১ টাকা, যার মধ্যে মাটি কাটা, পরিবহন ও ভরাটের জন্য বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ৮২ লাখ টাকা। প্রকল্পটির কার্যাদেশ পেয়েছে যশোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাকাউল্লা অ্যান্ড ব্রাদার্স, তবে প্রকল্পের কাজ বাস্তবে পরিচালনা করছে নাটোরের আসিফ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক বলেন, আমার জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে, অথচ কেউ আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি, কোনো টাকা তো দূরের কথা। এমন অভিযোগ একাধিক কৃষকের। তাদের দাবি, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং ঠিকাদার মিলে এই বেআইনি কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন, আর প্রকল্প বাস্তবায়নে নজরদারির অভাবে এসব ঘটছে। গতকাল সোমবার দুপুরে অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহী কার্যালয়ের একটি দল প্রকল্প এলাকায় অভিযান চালায়। তারা নির্মাণাধীন রাস্তা ঘুরে দেখে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন এবং মাটিকাটা নিয়ে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেন। এসময় দুদকের এক কর্মকর্তা তানভির আহম্মেদ সিদ্দিক জানান, অভিযানে আমরা কিছু অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা, নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের আলামত পাওয়া গেছে। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি এবং বিষয়টি কমিশনে প্রতিবেদন আকারে প্রেরণ করা হবে।
এই ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের আড়ালে কৃষকের জমি ও জীবিকা লুটে নেওয়া এক ধরনের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও দুর্নীতির রূপ।