বহুল কাক্সিক্ষত উত্তরাঞ্চলবাসির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়ে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত তৃতীয় তিস্তা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ২ আগষ্ট।
সেতুটি নির্মিত হয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুরে। যা সুন্দরগঞ্জের পাঁচপীর বাজার-চিলমারী সদর দপ্তরের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এর আগে কয়েক বার উদ্বোধন পিছিয়েছে কাজ সমাপ্ত না হওয়ায়। সেতু উদ্বোধনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রুপ নিচ্ছে ২ আগস্ট সকাল ১১টায়। শেষ হচ্ছে প্রতীক্ষার পালা।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সেতুটি উদ্বোধন করবেন। এজন্য ওই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শামীম বেপারী কর্তৃক ১৩ জুলাই ৪৬.০০.০০০০.০৬৮.১০.০৪২.১৩-৬১০ স্বারক নম্বরে স্বাক্ষরিত চিঠি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন পাঁচপীর বাজার হতে চিলমারী উপজেলা সদর দপ্তরের সাথে সংযোগকারী সড়কে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুটি উদ্বোধনসহ সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। সেতু উদ্বোধনের খবর ছড়িয়ে পরলে স্থানীয় জনগণের মনে আনন্দভাব বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগি সৌদি ফান্ড ফর ডিভলপমেন্টের অর্থায়নে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ২০২০ সালে শুরু হয় সেতু নির্মাণ কাজ। চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন কাজটি হাতে নেয়।
মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ৩৬৭ কোটি টাকা। সংযোগ সড়ক, নদীশাসন, কালভার্ট ও জমি অধিগ্রহণে খরচ হয়েছে আরও ৩৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে দুই পাশে ৩.১৫ কিলোমিটার করে নদী শাসন, সুন্দরগঞ্জে ৫০ কিলোমিটার এবং চিলমারীতে ৭.৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হয় সেতু নির্মাণের আওতায়। সেতুতে রয়েছে ২৯০টি পাইল, ৩০টি পিলার, ২৮টি স্প্যান, ১৫৫টি গার্ডার। সেতুর উভয় পাশে পানি নিষ্কাশনে ১২ ব্রিজ ও ৫৮টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। মূল সেতুর কাজ শেষ হলেও রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। বর্তমানে সেতু উদ্বোধনের জন্য জোরেসোরে বাকি কাজগুলো করা হচ্ছে। চলাচলের জন্য সেতু উদ্বোধনের পর যেসব টুকিটাকি কাজ বাকি থাকবে তাও দ্রুত শেষ করা হবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
বহুল কাক্সিক্ষত উত্তরাঞ্চলবাসির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়ে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত তৃতীয় তিস্তা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ২ আগষ্ট।
সেতুটি নির্মিত হয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুরে। যা সুন্দরগঞ্জের পাঁচপীর বাজার-চিলমারী সদর দপ্তরের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এর আগে কয়েক বার উদ্বোধন পিছিয়েছে কাজ সমাপ্ত না হওয়ায়। সেতু উদ্বোধনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রুপ নিচ্ছে ২ আগস্ট সকাল ১১টায়। শেষ হচ্ছে প্রতীক্ষার পালা।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সেতুটি উদ্বোধন করবেন। এজন্য ওই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শামীম বেপারী কর্তৃক ১৩ জুলাই ৪৬.০০.০০০০.০৬৮.১০.০৪২.১৩-৬১০ স্বারক নম্বরে স্বাক্ষরিত চিঠি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন পাঁচপীর বাজার হতে চিলমারী উপজেলা সদর দপ্তরের সাথে সংযোগকারী সড়কে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুটি উদ্বোধনসহ সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। সেতু উদ্বোধনের খবর ছড়িয়ে পরলে স্থানীয় জনগণের মনে আনন্দভাব বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগি সৌদি ফান্ড ফর ডিভলপমেন্টের অর্থায়নে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ২০২০ সালে শুরু হয় সেতু নির্মাণ কাজ। চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন কাজটি হাতে নেয়।
মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ৩৬৭ কোটি টাকা। সংযোগ সড়ক, নদীশাসন, কালভার্ট ও জমি অধিগ্রহণে খরচ হয়েছে আরও ৩৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে দুই পাশে ৩.১৫ কিলোমিটার করে নদী শাসন, সুন্দরগঞ্জে ৫০ কিলোমিটার এবং চিলমারীতে ৭.৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হয় সেতু নির্মাণের আওতায়। সেতুতে রয়েছে ২৯০টি পাইল, ৩০টি পিলার, ২৮টি স্প্যান, ১৫৫টি গার্ডার। সেতুর উভয় পাশে পানি নিষ্কাশনে ১২ ব্রিজ ও ৫৮টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। মূল সেতুর কাজ শেষ হলেও রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। বর্তমানে সেতু উদ্বোধনের জন্য জোরেসোরে বাকি কাজগুলো করা হচ্ছে। চলাচলের জন্য সেতু উদ্বোধনের পর যেসব টুকিটাকি কাজ বাকি থাকবে তাও দ্রুত শেষ করা হবে বলে জানা গেছে।