alt

সারাদেশ

ঐতিহাসিক ভবন ভাঙা ঠেকাতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চিঠি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

ময়মনসিংহের হরিকিশোর রায় রোডে প্রাচীন একটি বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে শিশু একাডেমি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। জীর্ণ ভবনটিতে ২০০৭ সালের পর আর কোনো কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি। পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে শিশু একাডেমি।

বাড়িটি ভাঙার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে বাড়িটি ভাঙার বিষয়ে তথ্য চেয়ে জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন পাঠানো হয়।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের শশীলজ জাদুঘরের মাঠ কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘রায় পরিবারের ঐতিহাসিক এই বাড়িটি শতবর্ষ প্রাচীন। যদিও এটি এখনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়নি, আমাদের জরিপে এটি তালিকাভুক্তির উপযোগী হতে পারে। সে কারণে আমরা তথ্য চেয়েছি। চাইছি এই স্থাপনা যেন রক্ষা পায়।’

হরিকিশোর রায় ছিলেন কিশোরগঞ্জের মসূয়া জমিদারবাড়ির জমিদার এবং উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সুকুমার রায় ও সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ। এ সড়কে প্রাচীন একতলা ভবনটি ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ব্যবহার করছিল। ভবনটির সামনে একটি ছোট মাঠ রয়েছে।

দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় ভবনটি আগাছায় ঢেকে যায় এবং মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়। কয়েক দিন ধরে শিশু একাডেমি ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে।

গতকাল সকালে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশ কাঁটাতারে ঘেরা এবং সাইনবোর্ড লতাগুল্মে আচ্ছাদিত। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, সামনের অংশসহ ভবনের ছাদ ও বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা মো. মেহেদী জামান বলেন, ২০০৭ সালের পর থেকে ভবনটি ব্যবহার করা যাচ্ছিল না এবং কার্যক্রম ভাড়াবাসায় চালানো হচ্ছিল। একবার মেরামতের চেষ্টা করা হলেও ঝুঁকি বিবেচনায় তা করা হয়নি। যথাযথ অনুমতি নিয়ে ভবনটি ভাঙা হচ্ছে। আপাতত একটি আধাপাকা এবং পরে একটি পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, ‘বাড়িটি ভাঙা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন যে এটি ঐতিহাসিক। কিন্তু ভবনটি রেখে কিছু করা সম্ভব ছিল না। ঝুঁকি থাকায় বাচ্চাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ভাঙা হচ্ছে।’

বাড়িটি দেখতে গিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক স্বপন ধর বলেন, ‘মুক্তাগাছার মহারাজা শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী তাঁর হিতাকাঙ্ক্ষীদের কাছে টেনেছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন হরিকিশোরদের পরিবারও। ভবনটি কয়েকবার হাতবদল হয়ে শেষ পর্যন্ত রণদা প্রসাদ সাহা কিনে নেন। স্থাপত্য দেখে বোঝা যায়, এটি ১৭৮৭ সালের পর নির্মিত।’

তিনি বলেন, ‘বাড়িটি রক্ষার সুযোগ আগে থাকলেও এখন আর তেমনটি নেই। তবে নতুন যে ভবন হবে, যেন আগের ঐতিহ্য বজায় রেখে করা হয়।’

শরণখোলার রেঞ্জে মাছ ধরার সময় পাঁচ জেলে আটক

নারায়ণগঞ্জ শহরে গরম কমাতে ‘তাপকর্ম পরিকল্পনা’

ছবি

কক্সবাজারে জামায়াত নেতার হামলা, বিএনপি নেতা নিহত

ছবি

শায়েস্তাগঞ্জ ও অলিপুরে উচ্ছেদ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা, উদ্বোধন হলো পুলিশ বক্স

ছবি

বিনা বিচারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি পেলেন কানু মিয়া

ছবি

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিশেষজ্ঞ নেই ১০ বছর

মহেশপুর আদালত চত্বরে জাল কোর্টফিতে সয়লাব

কমলগঞ্জে চা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

মোহনগঞ্জে হারিয়ে গেছে দেশি জাতের ধান

নবাবগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

মোরেলগঞ্জ ভেটেরিনারি হাসপাতালে ১১ পদের মধ্যে ৮ পদেই কেউ নেই

রংপুর চেম্বারের নির্বাচন সম্পন্ন

ছবি

৭ বছর আগের সেই মর্মান্তিক ঘটনায় চোখের জলে বুক ভাসান স্বজনরা

চাঁদপুরে অপরাধে জড়িত সন্দেহে আটক ২২

তারাগঞ্জে চাষিদের বীজ, সার ও অর্থ বিতরণ

ছবি

হরিপুর-চিলমারী সেতুর উদ্বোধন ২ আগস্ট

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে কলমাকান্দায় আলোচনা সভা

বাগাতিপাড়ায় সড়ক প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ, দুদকের অভিযান

ভিডব্লিউবি কার্ডধারীদের কাছে ট্যাক্সের নামে টাকা আদায়

ছবি

দশমিনায় বাড়ির আঙিনায় বস্তায় আদা চাষে সাফল্য

কাঁঠালিয়ায় জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

চিতলমারীতে মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

ছবি

বারবার প্রতিশ্রুতির পরও পাকাকরণ হয়নি সড়ক

পাঁচবিবি উপজেলা প্রশাসন ভবন উদ্বোধন

মা হত্যার দায়ে পুত্রের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

মাদারগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের সেতু পুনর্নির্মাণ

শ্রীমঙ্গলে চাঞ্চল্যকর হৃদয় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন দুই বন্ধু গ্রেপ্তার

ভুক্তভোগী দুই নারীকে হুমকির অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

ছবি

বড়াল নদীতে মাছ ধরার উৎসব

স্বজনদের আপত্তির মুখে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে গেল পিবিআই টিম

মোরেলগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রকে কুপিয়ে জখম

ছবি

চাঁদাবাজি বন্ধে বিএনপির সমাবেশ

অটোরিকশা চালককে মারধর করায় বিএনপি নেতার পদ স্থগিত

খাগড়াছড়িতে এনসিপির নেতানেত্রীর পাল্টাপাল্টি জিডি

ছবি

দোয়ারাবাজারে সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকোতে পারাপার

গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে প্যাকেজ অফারের প্রতারণার অভিযোগ, ভোগান্তিতে গ্রাহক

tab

সারাদেশ

ঐতিহাসিক ভবন ভাঙা ঠেকাতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চিঠি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

ময়মনসিংহের হরিকিশোর রায় রোডে প্রাচীন একটি বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে শিশু একাডেমি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। জীর্ণ ভবনটিতে ২০০৭ সালের পর আর কোনো কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি। পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে শিশু একাডেমি।

বাড়িটি ভাঙার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে বাড়িটি ভাঙার বিষয়ে তথ্য চেয়ে জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন পাঠানো হয়।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের শশীলজ জাদুঘরের মাঠ কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘রায় পরিবারের ঐতিহাসিক এই বাড়িটি শতবর্ষ প্রাচীন। যদিও এটি এখনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়নি, আমাদের জরিপে এটি তালিকাভুক্তির উপযোগী হতে পারে। সে কারণে আমরা তথ্য চেয়েছি। চাইছি এই স্থাপনা যেন রক্ষা পায়।’

হরিকিশোর রায় ছিলেন কিশোরগঞ্জের মসূয়া জমিদারবাড়ির জমিদার এবং উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সুকুমার রায় ও সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ। এ সড়কে প্রাচীন একতলা ভবনটি ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ব্যবহার করছিল। ভবনটির সামনে একটি ছোট মাঠ রয়েছে।

দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় ভবনটি আগাছায় ঢেকে যায় এবং মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়। কয়েক দিন ধরে শিশু একাডেমি ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে।

গতকাল সকালে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশ কাঁটাতারে ঘেরা এবং সাইনবোর্ড লতাগুল্মে আচ্ছাদিত। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, সামনের অংশসহ ভবনের ছাদ ও বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা মো. মেহেদী জামান বলেন, ২০০৭ সালের পর থেকে ভবনটি ব্যবহার করা যাচ্ছিল না এবং কার্যক্রম ভাড়াবাসায় চালানো হচ্ছিল। একবার মেরামতের চেষ্টা করা হলেও ঝুঁকি বিবেচনায় তা করা হয়নি। যথাযথ অনুমতি নিয়ে ভবনটি ভাঙা হচ্ছে। আপাতত একটি আধাপাকা এবং পরে একটি পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, ‘বাড়িটি ভাঙা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন যে এটি ঐতিহাসিক। কিন্তু ভবনটি রেখে কিছু করা সম্ভব ছিল না। ঝুঁকি থাকায় বাচ্চাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ভাঙা হচ্ছে।’

বাড়িটি দেখতে গিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক স্বপন ধর বলেন, ‘মুক্তাগাছার মহারাজা শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী তাঁর হিতাকাঙ্ক্ষীদের কাছে টেনেছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন হরিকিশোরদের পরিবারও। ভবনটি কয়েকবার হাতবদল হয়ে শেষ পর্যন্ত রণদা প্রসাদ সাহা কিনে নেন। স্থাপত্য দেখে বোঝা যায়, এটি ১৭৮৭ সালের পর নির্মিত।’

তিনি বলেন, ‘বাড়িটি রক্ষার সুযোগ আগে থাকলেও এখন আর তেমনটি নেই। তবে নতুন যে ভবন হবে, যেন আগের ঐতিহ্য বজায় রেখে করা হয়।’

back to top