ভালুকা (ময়মনসিংহ) : আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত শ্রমিক -সংবাদ
শ্রাবণের আকাশে ভেসে চলা মেঘ হতে থেমে থেমে ঝরেপড়া বৃষ্টির পানিতে ভালুকার বিভিন্ন গ্রামে জমিতে কৃষক মেতেছে হাল চাষ ও আমন ক্ষেত তৈরি করে ধানের চারা রোপণের বিরামহীন কর্ম ব্যস্ততায় যাদের অল্প জমি রয়েছে তারা নিজেরাই হাল চাষ ও একটু একটু করে জমিতে চারা রোপন কাজ সম্পন্ন করছেন যারা বেশি জমিতে আমন আবাদ করছেন তারা ট্রাক্টর লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ ও শ্রমিক দিয়ে চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন করছেন। সকাল থেকেই বীজতলা হতে চারা উঠানো, ক্ষেত তৈরি পরে উবু হয়ে কাদা পানিতে চারা রোপণ করায় শ্রমিকদের ব্যস্তদিন পার হয়ে যায়।
সময় মত চারা রোপণ করতে না পারলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে না। ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে উঁচু-নিচু ও সমতল তিন ধরনের জমিতে আমন আবাদ হয়ে থাকে। বীজতলায় চারা রোপণোপযোগী হওয়ার সময় হলে ক্ষেত তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পরেন কৃষকরা। বৃষ্টি না হলেও শুকনো জমিতে পানি সেচ দিয়ে কমপক্ষে তিনটি চাষ দেওয়ার পর মঈ দিয়ে মাটি মসৃণ ও সমতল করে হালকা পানিযুক্ত নরম কাদা মাটিতে আমন ধানের চারা রোপণ সহজ হয়। অনেক কৃষক জানান চলতি আমন মৌসুমের শুরুতেই নিম্নচাপের কারণে আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় গত কয়েকদিন যাবত প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় ক্ষেত তৈরি ও ধানের চারা রোপণে সবাই ব্যস্ত হয়ে পরেছেন।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের বর্ণা গ্রামে গেলে কৃষক রইছ উদ্দীনের ক্ষেতে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়। শ্রমিক রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি থাকায় এখন আমনের চারা রোপণে তাদের ব্যস্ত সময় কাটছে। প্রতি কাঠা জমি রোপণে তারা ৫০০ টাকা করে মজুরি পাচ্ছেন। একজন শ্রমিক একদিনে দুই কাঠা জমিতে ধানের চারা রোপন করতে পারেন। তারা জানান লাইন লগু পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ করছেন এতে যেমন কম সময়ে বেশি জমি লাগানো সম্ভব তেমনি ধানের চারা সাশ্রয় ও ক্ষতি কম হয়।
একি ইউনিয়নের ধামশুর গ্রামের কৃষক ইরফান আলী জানান, তিনি ৭ কাঠা জমিতে আমনের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে ৫ কাঠায় স্বর্ণমালা ও ২ কাঠায় রঞ্জিত জাতের ধান রোপণ করছেন। তিনি জানান, প্রতি কাঠা জমি চাষ বাবদ ৩০০ টাকা ও প্রতি কাঠা জমিতে ধানের চারা রোয়া বাবদ ৫০০ টাকা করে শ্রমিকদের মজুরি দিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি। কৃষকদের অধিক ফলনশীল আগামজাত স্বল্প জীবনকাল সমৃদ্ধ যেমন ব্রি-ধান ৭১, ব্রি-ধান ৮৭, বিনা ধান ৭ চাষে উদ্বুদ্ধ করন ও লাইন লগু পার্চিং (এল এল পি) পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপনের প্রযুক্তিগত বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। স্বল্প জীবনকাল সমৃদ্ধ আমন ধান চাষ করলে ওই জমিতে ধান কাটার পর সরিষার আবাদ করা যায়। সরিষা উঠিয়ে ওই জমিতে আবার বোরো ধানের আবাদ করা যায়। এতে অধিক ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত শ্রমিক -সংবাদ
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
শ্রাবণের আকাশে ভেসে চলা মেঘ হতে থেমে থেমে ঝরেপড়া বৃষ্টির পানিতে ভালুকার বিভিন্ন গ্রামে জমিতে কৃষক মেতেছে হাল চাষ ও আমন ক্ষেত তৈরি করে ধানের চারা রোপণের বিরামহীন কর্ম ব্যস্ততায় যাদের অল্প জমি রয়েছে তারা নিজেরাই হাল চাষ ও একটু একটু করে জমিতে চারা রোপন কাজ সম্পন্ন করছেন যারা বেশি জমিতে আমন আবাদ করছেন তারা ট্রাক্টর লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ ও শ্রমিক দিয়ে চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন করছেন। সকাল থেকেই বীজতলা হতে চারা উঠানো, ক্ষেত তৈরি পরে উবু হয়ে কাদা পানিতে চারা রোপণ করায় শ্রমিকদের ব্যস্তদিন পার হয়ে যায়।
সময় মত চারা রোপণ করতে না পারলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে না। ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে উঁচু-নিচু ও সমতল তিন ধরনের জমিতে আমন আবাদ হয়ে থাকে। বীজতলায় চারা রোপণোপযোগী হওয়ার সময় হলে ক্ষেত তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পরেন কৃষকরা। বৃষ্টি না হলেও শুকনো জমিতে পানি সেচ দিয়ে কমপক্ষে তিনটি চাষ দেওয়ার পর মঈ দিয়ে মাটি মসৃণ ও সমতল করে হালকা পানিযুক্ত নরম কাদা মাটিতে আমন ধানের চারা রোপণ সহজ হয়। অনেক কৃষক জানান চলতি আমন মৌসুমের শুরুতেই নিম্নচাপের কারণে আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় গত কয়েকদিন যাবত প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় ক্ষেত তৈরি ও ধানের চারা রোপণে সবাই ব্যস্ত হয়ে পরেছেন।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের বর্ণা গ্রামে গেলে কৃষক রইছ উদ্দীনের ক্ষেতে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়। শ্রমিক রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি থাকায় এখন আমনের চারা রোপণে তাদের ব্যস্ত সময় কাটছে। প্রতি কাঠা জমি রোপণে তারা ৫০০ টাকা করে মজুরি পাচ্ছেন। একজন শ্রমিক একদিনে দুই কাঠা জমিতে ধানের চারা রোপন করতে পারেন। তারা জানান লাইন লগু পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ করছেন এতে যেমন কম সময়ে বেশি জমি লাগানো সম্ভব তেমনি ধানের চারা সাশ্রয় ও ক্ষতি কম হয়।
একি ইউনিয়নের ধামশুর গ্রামের কৃষক ইরফান আলী জানান, তিনি ৭ কাঠা জমিতে আমনের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে ৫ কাঠায় স্বর্ণমালা ও ২ কাঠায় রঞ্জিত জাতের ধান রোপণ করছেন। তিনি জানান, প্রতি কাঠা জমি চাষ বাবদ ৩০০ টাকা ও প্রতি কাঠা জমিতে ধানের চারা রোয়া বাবদ ৫০০ টাকা করে শ্রমিকদের মজুরি দিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি। কৃষকদের অধিক ফলনশীল আগামজাত স্বল্প জীবনকাল সমৃদ্ধ যেমন ব্রি-ধান ৭১, ব্রি-ধান ৮৭, বিনা ধান ৭ চাষে উদ্বুদ্ধ করন ও লাইন লগু পার্চিং (এল এল পি) পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপনের প্রযুক্তিগত বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। স্বল্প জীবনকাল সমৃদ্ধ আমন ধান চাষ করলে ওই জমিতে ধান কাটার পর সরিষার আবাদ করা যায়। সরিষা উঠিয়ে ওই জমিতে আবার বোরো ধানের আবাদ করা যায়। এতে অধিক ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়।