টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় অঞ্চলে লাল কমলা রঙের ঔষধি ফল বানর কলা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। উসুখ মানুষের কৌতুহল বেড়েছে। শালবনের কয়েক জায়গায় এ বছর প্রচুর পরিামানে এ ফল পাওয়া যাচ্ছে। টক জাতীয় ফলটি অনেকেই এ বন থেকে আহরণ করে ময়মসিংহের মুক্তাগাছার বিভিন্ন স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। কেজি প্রতি ৫০-৭০ টাকা দামে বিক্রি করছে। শখ করে স্বাদ দেখতে অনেকেই কিনে নিচ্ছে। স্থানীয় নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর লোকেরা বলছে এ ফলটি আগে থেকেই চিনে জানে। তারা এ ফল অনেক বছর আগেই বন থেকে খেয়েছে ও স্বাদ জানে। তবে এ ফলটি আসল নাম কি না জানলেও বানর কলা হিসেবে চিনে। বানরের এ ফলটি বেশি পছন্দীয় ধারনায় স্থানীয়রা বানর কলা বলে থাকে। তবে বন বিভাগ জানিয়েছে, ফলটির বিক্রি বন্ধে কাজ করছে।
উদ্ভিদ গবেষক ও গাছ প্রেমী তপন জানান,ফলটির শিল্প ও বৈজ্ঞানিক নাম: Uvaria hamiltonii Hook. f. & Thomson — অহহড়হধপবধব (আতা) গোত্রে অন্তর্ভুক্ত একটি উদ্ভিদ। এটি একটি বড়, কাঠ লতানো । চারা-লতানো গাছ । এক বা দুই তিনটি গুচ্ছভাবে পাতার ফাঁকে ফুল ফোটে। গভীর লাল বা শাল মরিচের রঙ। স্নিগ্ধ, গোলাপসদৃশ সুরভিযুক্ত । পাপড়ি ৬টি, দুটি স্তরে বিভক্ত, দু’দিকে লোমযুক্ত, প্রায় ৫৬ সেন্টিমিটার প্রস্থ হয়ে থাকে। এটি সমষ্টিগত ফল ,প্রথমে সবুজ,পরবর্তীতে লাল কমলা বা কমলা রঙে রূপান্তরিত; কিছু প্রতিবেদন অনুসারে ফল খাওয়া যায়।
জানা গেছে, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বিস্তৃতি এ ফলটি পূর্ব হিমালয়, উত্তর-পূর্ব ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভুটান, বাংলাদেশ, নেপাল ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়নামতি, সিলেট, মধুপুর গড় অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে সংগ্রহের নমুনা পাওয়া গেছে। উষ্ণ এবং আর্দ্র বনাঞ্চল; বিশেষ করে নদী বা ঝর্ণার ধারে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। সব তথ্য উদ্ভিদ গবেষক তপন এর সূত্রে জানা গেছে।
এ ফল বন থেকে সংগ্রহ বাজারে নিয়ে বিক্রিকারী সুজন জানালেন, সে এ ফলের কথা শোনে প্রথমে দেখতে আসে। নিজে খেয়ে দেখে রঙ ও স্বাদ পছন্দ হওয়ায় কিছু ফল নিয়ে যান। পরে সে নিয়মিত মধুপুর বন থেকে নিয়ে তাদের এলাকার কালিবাড়ী বাজারে নিয়ে বিক্রি করছে। তার সাথে থাকা ইমন জানালেন, বন থেকে বানর কলা নিয়ে কালিবাড়ী বাজারে ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি করে।চাহিদা ভালো থাকায় প্রতিদিন তারা ১৫-২০ কেজি করে বিক্রি করতে পারে। জয়েনশাহী যুক ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পবিত্র সিমসাং বলেন, আগে মধুপুর বনে প্রচুর পাওয়া যেত। তারা অনেক খেতেন। পাকলে মিষ্টি চুটকি লাগতো। হালকা চুকা। এখন যা কিছু গাছ আছে কয়েক বছর মানুষেরা গাছ থেকে পেরে বিক্রি করছে। নারী উদ্যোক্তা রাবেয়া নাসরিন রুমি বলেন, তিনি এই প্রথম এ ফলের নাম শোনলেন। এ নামে ফল আছে তিনি জানতেন না। ফলটির রঙ স্বাদ নিয়ে তার আগ্রহের কথা জানান।
টাঙ্গাইল বন বিভাগের রসুলপুর সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, সে এ ফল বানরকে খেতে দেখেনি। তবে অন্যান্য পশুপাখিরা খেয়ে থাকে। এ ফলটির নাম জানার চেষ্টা চলছে। বিক্রি বন্ধ করতে তারা উদ্যোগ নিচ্ছেন। ভবিষ্যতে তাদের নার্সারিতে চারা উত্তোলন করে এ গাছের বংশ বিস্তারে তারা কাজ করবে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় অঞ্চলে লাল কমলা রঙের ঔষধি ফল বানর কলা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। উসুখ মানুষের কৌতুহল বেড়েছে। শালবনের কয়েক জায়গায় এ বছর প্রচুর পরিামানে এ ফল পাওয়া যাচ্ছে। টক জাতীয় ফলটি অনেকেই এ বন থেকে আহরণ করে ময়মসিংহের মুক্তাগাছার বিভিন্ন স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। কেজি প্রতি ৫০-৭০ টাকা দামে বিক্রি করছে। শখ করে স্বাদ দেখতে অনেকেই কিনে নিচ্ছে। স্থানীয় নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর লোকেরা বলছে এ ফলটি আগে থেকেই চিনে জানে। তারা এ ফল অনেক বছর আগেই বন থেকে খেয়েছে ও স্বাদ জানে। তবে এ ফলটি আসল নাম কি না জানলেও বানর কলা হিসেবে চিনে। বানরের এ ফলটি বেশি পছন্দীয় ধারনায় স্থানীয়রা বানর কলা বলে থাকে। তবে বন বিভাগ জানিয়েছে, ফলটির বিক্রি বন্ধে কাজ করছে।
উদ্ভিদ গবেষক ও গাছ প্রেমী তপন জানান,ফলটির শিল্প ও বৈজ্ঞানিক নাম: Uvaria hamiltonii Hook. f. & Thomson — অহহড়হধপবধব (আতা) গোত্রে অন্তর্ভুক্ত একটি উদ্ভিদ। এটি একটি বড়, কাঠ লতানো । চারা-লতানো গাছ । এক বা দুই তিনটি গুচ্ছভাবে পাতার ফাঁকে ফুল ফোটে। গভীর লাল বা শাল মরিচের রঙ। স্নিগ্ধ, গোলাপসদৃশ সুরভিযুক্ত । পাপড়ি ৬টি, দুটি স্তরে বিভক্ত, দু’দিকে লোমযুক্ত, প্রায় ৫৬ সেন্টিমিটার প্রস্থ হয়ে থাকে। এটি সমষ্টিগত ফল ,প্রথমে সবুজ,পরবর্তীতে লাল কমলা বা কমলা রঙে রূপান্তরিত; কিছু প্রতিবেদন অনুসারে ফল খাওয়া যায়।
জানা গেছে, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বিস্তৃতি এ ফলটি পূর্ব হিমালয়, উত্তর-পূর্ব ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভুটান, বাংলাদেশ, নেপাল ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়নামতি, সিলেট, মধুপুর গড় অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে সংগ্রহের নমুনা পাওয়া গেছে। উষ্ণ এবং আর্দ্র বনাঞ্চল; বিশেষ করে নদী বা ঝর্ণার ধারে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। সব তথ্য উদ্ভিদ গবেষক তপন এর সূত্রে জানা গেছে।
এ ফল বন থেকে সংগ্রহ বাজারে নিয়ে বিক্রিকারী সুজন জানালেন, সে এ ফলের কথা শোনে প্রথমে দেখতে আসে। নিজে খেয়ে দেখে রঙ ও স্বাদ পছন্দ হওয়ায় কিছু ফল নিয়ে যান। পরে সে নিয়মিত মধুপুর বন থেকে নিয়ে তাদের এলাকার কালিবাড়ী বাজারে নিয়ে বিক্রি করছে। তার সাথে থাকা ইমন জানালেন, বন থেকে বানর কলা নিয়ে কালিবাড়ী বাজারে ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি করে।চাহিদা ভালো থাকায় প্রতিদিন তারা ১৫-২০ কেজি করে বিক্রি করতে পারে। জয়েনশাহী যুক ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পবিত্র সিমসাং বলেন, আগে মধুপুর বনে প্রচুর পাওয়া যেত। তারা অনেক খেতেন। পাকলে মিষ্টি চুটকি লাগতো। হালকা চুকা। এখন যা কিছু গাছ আছে কয়েক বছর মানুষেরা গাছ থেকে পেরে বিক্রি করছে। নারী উদ্যোক্তা রাবেয়া নাসরিন রুমি বলেন, তিনি এই প্রথম এ ফলের নাম শোনলেন। এ নামে ফল আছে তিনি জানতেন না। ফলটির রঙ স্বাদ নিয়ে তার আগ্রহের কথা জানান।
টাঙ্গাইল বন বিভাগের রসুলপুর সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, সে এ ফল বানরকে খেতে দেখেনি। তবে অন্যান্য পশুপাখিরা খেয়ে থাকে। এ ফলটির নাম জানার চেষ্টা চলছে। বিক্রি বন্ধ করতে তারা উদ্যোগ নিচ্ছেন। ভবিষ্যতে তাদের নার্সারিতে চারা উত্তোলন করে এ গাছের বংশ বিস্তারে তারা কাজ করবে বলে তিনি জানান।