শেরপুর পৌর শহরের দেড়শ’ বছরের প্রাচীন বারোদুয়ারি হাট দখল আর ভাড়া বাণিজ্যের কবলে পড়ে দিন দিন জৌলুস হারাচ্ছে। এক সময়ের জমজমাট এই হাট এখন স্থায়ী দোকান ঘরের সারিতে পরিণত হচ্ছে। নেই আগের মতো ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম। এক সময় এ হাট থেকে পৌরসভা মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় করলেও বর্তমানে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শেরপুর পৌরসভার হাটখোলা এলাকায় প্রায় ৭৩টি দোকান খাস জায়গা দখল করে যুগের পর যুগ ব্যবসা চালাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। কেউ ২০ বছর, কেউ ৩০ বছর ধরে এসব দোকান ভোগদখলে রেখে ব্যবসা করছে। এছাড়াও বাড়ি ঘর নির্মাণ, গোডাউন নির্মাণ করে দখল করা হচ্ছে হাটের জমি।
প্রভাবশালীরা এসব দোকান থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভাড়া আদায় করলেও সরকারের কোষাগার থাকে ফাঁকা। শুধু এই হাট থেকেই প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হওয়ার কথা থাকলেও তা চলে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের পকেটে। দোকানগুলোর মালিকানা পরিবর্তন করে এখন মোটা অঙ্কের ভাড়ায় অন্যদের কাছে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বড় দোকানের মাসিক ভাড়া ১৫ হাজার টাকা আর ছোট দোকানের ভাড়া ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত হলেও এসব দোকান থেকে সরকার বা পৌরসভা কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। কাজল নামের এক দোকানদার জানান, আমার আত্মীয় পৌরসভার কাছ থেকে লিজ নিয়েছিল। আমি আবার তার কাছ থেকে নিয়ে ২৫ বছর ধরে দোকানদারি করে আসছি। পৌরসভায় শুধু ট্যাক্স-ভ্যাট দিই, কিন্তু ভাড়া দিতে হয় না। প্রভাত চন্দ্র বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত জায়গা। প্রায় ৩০ বছর ধরে ভোগদখল করছি। পৌরসভাকে মাসিক ভাড়া দিতে হয় না, কেবল হাটের দিনে খাজনা দিতে হয়। তবে চাইলে পৌরসভা মুহূর্তেই ভেঙে দিতে পারে। চাউল হাটি এলাকার খলিল জানান, এই লাইনের সব দোকান ব্যক্তি মালিকানাধীন। আমরা শুরু থেকেই ওই মালিককে ভাড়া দিচ্ছি। বড় দোকানের মাসিক ভাড়া ১৫ হাজার টাকা আর ছোট দোকানের ১০ হাজার টাকা। এব্যাপারে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, শেরপুর বারোদুয়ারি হাট থেকে নিয়মিত রাজস্ব পাওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয়দের দখলের কারণে পৌরসভা প্রাপ্য আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আশিক খান বলেন, অবিলম্বে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে সঠিক নীতিমালার আওতায় দোকান বরাদ্দ ও ভাড়া আদায় করা হবে। ব্যবস্থা না নিলে শেরপুর বারোদুয়ারি হাট পুরোপুরি ব্যক্তিগত মালিকানায় চলে যাবে, যা সরকারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
শেরপুর পৌর শহরের দেড়শ’ বছরের প্রাচীন বারোদুয়ারি হাট দখল আর ভাড়া বাণিজ্যের কবলে পড়ে দিন দিন জৌলুস হারাচ্ছে। এক সময়ের জমজমাট এই হাট এখন স্থায়ী দোকান ঘরের সারিতে পরিণত হচ্ছে। নেই আগের মতো ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম। এক সময় এ হাট থেকে পৌরসভা মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় করলেও বর্তমানে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শেরপুর পৌরসভার হাটখোলা এলাকায় প্রায় ৭৩টি দোকান খাস জায়গা দখল করে যুগের পর যুগ ব্যবসা চালাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। কেউ ২০ বছর, কেউ ৩০ বছর ধরে এসব দোকান ভোগদখলে রেখে ব্যবসা করছে। এছাড়াও বাড়ি ঘর নির্মাণ, গোডাউন নির্মাণ করে দখল করা হচ্ছে হাটের জমি।
প্রভাবশালীরা এসব দোকান থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভাড়া আদায় করলেও সরকারের কোষাগার থাকে ফাঁকা। শুধু এই হাট থেকেই প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হওয়ার কথা থাকলেও তা চলে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের পকেটে। দোকানগুলোর মালিকানা পরিবর্তন করে এখন মোটা অঙ্কের ভাড়ায় অন্যদের কাছে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বড় দোকানের মাসিক ভাড়া ১৫ হাজার টাকা আর ছোট দোকানের ভাড়া ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত হলেও এসব দোকান থেকে সরকার বা পৌরসভা কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। কাজল নামের এক দোকানদার জানান, আমার আত্মীয় পৌরসভার কাছ থেকে লিজ নিয়েছিল। আমি আবার তার কাছ থেকে নিয়ে ২৫ বছর ধরে দোকানদারি করে আসছি। পৌরসভায় শুধু ট্যাক্স-ভ্যাট দিই, কিন্তু ভাড়া দিতে হয় না। প্রভাত চন্দ্র বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত জায়গা। প্রায় ৩০ বছর ধরে ভোগদখল করছি। পৌরসভাকে মাসিক ভাড়া দিতে হয় না, কেবল হাটের দিনে খাজনা দিতে হয়। তবে চাইলে পৌরসভা মুহূর্তেই ভেঙে দিতে পারে। চাউল হাটি এলাকার খলিল জানান, এই লাইনের সব দোকান ব্যক্তি মালিকানাধীন। আমরা শুরু থেকেই ওই মালিককে ভাড়া দিচ্ছি। বড় দোকানের মাসিক ভাড়া ১৫ হাজার টাকা আর ছোট দোকানের ১০ হাজার টাকা। এব্যাপারে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, শেরপুর বারোদুয়ারি হাট থেকে নিয়মিত রাজস্ব পাওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয়দের দখলের কারণে পৌরসভা প্রাপ্য আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আশিক খান বলেন, অবিলম্বে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে সঠিক নীতিমালার আওতায় দোকান বরাদ্দ ও ভাড়া আদায় করা হবে। ব্যবস্থা না নিলে শেরপুর বারোদুয়ারি হাট পুরোপুরি ব্যক্তিগত মালিকানায় চলে যাবে, যা সরকারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হবে।