ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিচারকের বাসায় ঘুষ পাঠানোর অভিযোগে পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সরকারি কৌশলী (পিপি) এডভোকেট মো. রুহুল আমিনের (৫ ) সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি। আদালতের বিচারক নীলুফার শিরিনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আইনজীবী সমিতির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় ১৮৪ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন গত ২০ আগষ্ট সচিব, বার কাউন্সিল, রেজিস্টার জেনারেল সুপ্রিম কোর্ট, সচিব আইন বিচারক সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর বরাবরে তার ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে তাকে ঘুষ অফার বিষয়ে একটি অভিযোগ প্রদান করেছেন।
লিখিত অভিযোগ তিনি উল্লেখ করেছেন, তার আদালতে বিচারাধীন নারী ও শিশু কেস নং -২৬১/২৫, ধারা ৯(৩) নারী শিশু) একটি ধর্ষণ মামলার আসামির পক্ষে অভিযোগ দায়েরের ২ দিন আগে থেকে পিপি মো. রুহুল আমিন হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দেন, যার কোন রিপ্লাই তিনি দেননি। তিনি ভেবেছিলেন তার রিপ্লাই না পেয়ে পিপি থেমে যাবেন। কিন্তু গত ২০ আগস্ট সকাল ৯ টার দিকে বিজ্ঞ পিপি রুহুল আমিনের একজন লোক তার বাসার গৃহকর্মীর নিকট একটি লাল ব্যাগ (যার মধ্যে দুটি প্যাকেট ছিল) দেন এবং তিনি বলে যান ব্যাগটি তাকে দিতে, পিপি এটা পাঠিয়েছে। পরবর্তিতে গৃহকর্মী তাকে ব্যাগটি হাতে দিয়ে বলেন, এক লোক এটি হাতে দিয়ে বলেছেন পিপি পাঠিয়েছেন। বিচারক দরজা খুলে ঐ লোককে আর দেখতে পাননি।
পরবর্তিতে বিচারক ব্যাগ খুলে দেখতে পান, তার মধ্যে ২ টি খাঁটি রংঙের খাম,যার মধ্যে একটিতে উল্লেখিত মামলার যাবতীয় কাগজপত্র অন্যটিতে ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিল,যা তিনি গুনে দেখেননি তবে অনুমানের ভিত্তিতে বোঝা যায় ৫০ হাজার টাকা আছে। বিচারক তার লিখিত অভিযোগ উল্লেখ্য করেছেন, এভাবে ঘুষ পাঠানোতে আমি মানসিকভাবে অত্যন্ত অপমানিত এবং তীব্র রাগ বোধ করি। পাশাপাশি তিনি অফিসে এসে জেলা বারের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি ও জেলা জজের পাবলিক প্রসিকিউটরকে ব্যাপারটি অবহিত করি এবং প্যাকেটটি দেখাই। তারাও প্রচ- রাগান্বিত হন এবং আমাকে বিষয়টি ছোট করে না দেখার পরামর্শ দেন।
এ এছাড়াও বিচারক তার লিখিত অভিযোগে, উক্ত নারী শিশু পিপির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদ জসিমের কন্যা আলোচিত লামিয়া গনধর্ষণ মামলার পিপি হয়েও আসামীর পক্ষে তদবির করাসহ বিভিন্ন মামলায় আসামীর পক্ষে তদবির করার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন উল্লেখিত পিপিকে নিয়ে আদালতের কার্যক্রম চালানো তার পক্ষে সম্ভব নয়, যাতে বিচারকের সততা ও সুনাম ক্ষুন্ন হয়। এমতাবস্থায় ওই পিপির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এদিকে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে উক্ত বিচারকের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা আইনজীবী সমিতির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মত ক্রমে উক্ত পিপি পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট রুহুল আমিন (৫) এর সদস্যপদ স্থগিত করে এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এডভোকেট মো. রুহুল আমিন বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। ওই মামলাটি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল। তাই আমি বিচারককে বিষয়টি অবহিত করেছি মাত্র ।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
বিচারকের বাসায় ঘুষ পাঠানোর অভিযোগে পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সরকারি কৌশলী (পিপি) এডভোকেট মো. রুহুল আমিনের (৫ ) সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি। আদালতের বিচারক নীলুফার শিরিনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আইনজীবী সমিতির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় ১৮৪ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন গত ২০ আগষ্ট সচিব, বার কাউন্সিল, রেজিস্টার জেনারেল সুপ্রিম কোর্ট, সচিব আইন বিচারক সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর বরাবরে তার ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে তাকে ঘুষ অফার বিষয়ে একটি অভিযোগ প্রদান করেছেন।
লিখিত অভিযোগ তিনি উল্লেখ করেছেন, তার আদালতে বিচারাধীন নারী ও শিশু কেস নং -২৬১/২৫, ধারা ৯(৩) নারী শিশু) একটি ধর্ষণ মামলার আসামির পক্ষে অভিযোগ দায়েরের ২ দিন আগে থেকে পিপি মো. রুহুল আমিন হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দেন, যার কোন রিপ্লাই তিনি দেননি। তিনি ভেবেছিলেন তার রিপ্লাই না পেয়ে পিপি থেমে যাবেন। কিন্তু গত ২০ আগস্ট সকাল ৯ টার দিকে বিজ্ঞ পিপি রুহুল আমিনের একজন লোক তার বাসার গৃহকর্মীর নিকট একটি লাল ব্যাগ (যার মধ্যে দুটি প্যাকেট ছিল) দেন এবং তিনি বলে যান ব্যাগটি তাকে দিতে, পিপি এটা পাঠিয়েছে। পরবর্তিতে গৃহকর্মী তাকে ব্যাগটি হাতে দিয়ে বলেন, এক লোক এটি হাতে দিয়ে বলেছেন পিপি পাঠিয়েছেন। বিচারক দরজা খুলে ঐ লোককে আর দেখতে পাননি।
পরবর্তিতে বিচারক ব্যাগ খুলে দেখতে পান, তার মধ্যে ২ টি খাঁটি রংঙের খাম,যার মধ্যে একটিতে উল্লেখিত মামলার যাবতীয় কাগজপত্র অন্যটিতে ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিল,যা তিনি গুনে দেখেননি তবে অনুমানের ভিত্তিতে বোঝা যায় ৫০ হাজার টাকা আছে। বিচারক তার লিখিত অভিযোগ উল্লেখ্য করেছেন, এভাবে ঘুষ পাঠানোতে আমি মানসিকভাবে অত্যন্ত অপমানিত এবং তীব্র রাগ বোধ করি। পাশাপাশি তিনি অফিসে এসে জেলা বারের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি ও জেলা জজের পাবলিক প্রসিকিউটরকে ব্যাপারটি অবহিত করি এবং প্যাকেটটি দেখাই। তারাও প্রচ- রাগান্বিত হন এবং আমাকে বিষয়টি ছোট করে না দেখার পরামর্শ দেন।
এ এছাড়াও বিচারক তার লিখিত অভিযোগে, উক্ত নারী শিশু পিপির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদ জসিমের কন্যা আলোচিত লামিয়া গনধর্ষণ মামলার পিপি হয়েও আসামীর পক্ষে তদবির করাসহ বিভিন্ন মামলায় আসামীর পক্ষে তদবির করার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন উল্লেখিত পিপিকে নিয়ে আদালতের কার্যক্রম চালানো তার পক্ষে সম্ভব নয়, যাতে বিচারকের সততা ও সুনাম ক্ষুন্ন হয়। এমতাবস্থায় ওই পিপির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এদিকে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে উক্ত বিচারকের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা আইনজীবী সমিতির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মত ক্রমে উক্ত পিপি পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট রুহুল আমিন (৫) এর সদস্যপদ স্থগিত করে এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এডভোকেট মো. রুহুল আমিন বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। ওই মামলাটি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল। তাই আমি বিচারককে বিষয়টি অবহিত করেছি মাত্র ।