ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সহনাটী ইউপি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর হত্যার বিচার চাওয়ায় হুমায়ুনের বাবা আব্দুল কাইয়ুম, নিহতের চাচা রাশিদ, রহমান ও হত্যা মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়েরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নিহতের বাবা আব্দুল কাইয়ুম ২২ আগস্ট সাংবাদিকদের জানান, ছেলে হত্যার বিচার চাওয়া আমার জন্য অভিশাপ। এ কারণে আমার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে আসামী করে একের পর এক মামলা দায়ের করা হচ্ছে। স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করায় আমরা হয়রানির শিকার হয়েছি।
হত্যাকা-ের পরে আসামীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া ও লুটপাটের অভিযোগ এনে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। সোনাকান্দি গ্রামের মজিবর রহমানের স্ত্রী জরিনা খাতুন বাদী হয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। এছাড়াও হত্যা মামলার আসামী আব্দুল কদ্দুস। তার স্ত্রী মোছা. কল্পনা বাদী হয়ে হত্যা মামলার বাদী মো. আব্দুল কাইয়ুমকে প্রধান আসামী করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। একই আদালতে মাসুদ রানার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী ১টি ও কামরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. জোসনা আক্তার বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
এসব মামলা প্রত্যাহার ও হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল-মানববন্ধন করে উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নের পাছার বাজারে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সহনাটী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. এবি সিদ্দিক। বক্তব্য রাখেন নিহত হুমায়ুনের বাবা আব্দুল কাইয়ুম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন আহাদ, বিএনপির সদস্য আবুল খায়ের, সহনাটী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির সাইদুর রহমান এমদাদ, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর।
গত ১৩ জুন সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরকে (২২) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা আব্দুল কাইয়ুম (কাইয়ুম) বাদী হয়ে গত ১৬ জুন গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মো. বাদল মিয়া (তোতা মিয়া), মো. রাশিদুল ইসলা রানা (রাসু), মো. সজিব মিয়া, রবিন, মো. মেহেদী হাসান টুটুল, মো. মাসুদ রানা, মো. আব্দুল কদ্দুছ, মো. মজিবুর রহমান, মো. সোহাগ মিয়া, মো. শামছুল হক, কামরুল ইসলামের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৫/৬জনকে আসামী করা হয়েছে। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিদারুল ইসলাম জানান, মামলার অন্যতম আসামী মো. রাশিদুল ইসলা রানাকে (রাসু) গাজীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ দিকে হত্যাকান্ডের পর বিক্ষুব্দ জনতা আসামীদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এসব মামলা প্রসঙ্গে সহনাটী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবি সিদ্দিক বলেন, আমাদের ছাত্রদলের নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করেছি। এ জন্য আমাকে ও আমার পরিবার লোকজনকেও আসামী করা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও যার ছেলে মারা গেছে তার বিরুদ্ধেও ৪টি মামলা করা হয়েছে। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। তিনি আরও জানান, ৪টি মামলা। একটি পিবিআই, একটি ডিবি, একটি সিআইডি ও আরেকটি থানায় তদন্ত করছে। হত্যাকান্ডের বাদীকে ৪টি মামলাতেই আসামী করা হয়েছে। সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রতন বলেন, ছেলের খুনের বিচার চাওয়ায় বাবাকে আসামী করা হয়েছে, যা দু:খজনক ঘটনা। এদিকে পুত্রশোক ও অন্যদিকে মামলার জন্য এখন পুরো পরিবারের দুর্ভোগ। তিনি আরও বলেন, এসব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সহনাটী ইউপি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর হত্যার বিচার চাওয়ায় হুমায়ুনের বাবা আব্দুল কাইয়ুম, নিহতের চাচা রাশিদ, রহমান ও হত্যা মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়েরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নিহতের বাবা আব্দুল কাইয়ুম ২২ আগস্ট সাংবাদিকদের জানান, ছেলে হত্যার বিচার চাওয়া আমার জন্য অভিশাপ। এ কারণে আমার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে আসামী করে একের পর এক মামলা দায়ের করা হচ্ছে। স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করায় আমরা হয়রানির শিকার হয়েছি।
হত্যাকা-ের পরে আসামীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া ও লুটপাটের অভিযোগ এনে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। সোনাকান্দি গ্রামের মজিবর রহমানের স্ত্রী জরিনা খাতুন বাদী হয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। এছাড়াও হত্যা মামলার আসামী আব্দুল কদ্দুস। তার স্ত্রী মোছা. কল্পনা বাদী হয়ে হত্যা মামলার বাদী মো. আব্দুল কাইয়ুমকে প্রধান আসামী করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। একই আদালতে মাসুদ রানার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী ১টি ও কামরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. জোসনা আক্তার বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
এসব মামলা প্রত্যাহার ও হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল-মানববন্ধন করে উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নের পাছার বাজারে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সহনাটী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. এবি সিদ্দিক। বক্তব্য রাখেন নিহত হুমায়ুনের বাবা আব্দুল কাইয়ুম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন আহাদ, বিএনপির সদস্য আবুল খায়ের, সহনাটী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির সাইদুর রহমান এমদাদ, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর।
গত ১৩ জুন সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরকে (২২) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা আব্দুল কাইয়ুম (কাইয়ুম) বাদী হয়ে গত ১৬ জুন গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মো. বাদল মিয়া (তোতা মিয়া), মো. রাশিদুল ইসলা রানা (রাসু), মো. সজিব মিয়া, রবিন, মো. মেহেদী হাসান টুটুল, মো. মাসুদ রানা, মো. আব্দুল কদ্দুছ, মো. মজিবুর রহমান, মো. সোহাগ মিয়া, মো. শামছুল হক, কামরুল ইসলামের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৫/৬জনকে আসামী করা হয়েছে। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিদারুল ইসলাম জানান, মামলার অন্যতম আসামী মো. রাশিদুল ইসলা রানাকে (রাসু) গাজীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ দিকে হত্যাকান্ডের পর বিক্ষুব্দ জনতা আসামীদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এসব মামলা প্রসঙ্গে সহনাটী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবি সিদ্দিক বলেন, আমাদের ছাত্রদলের নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করেছি। এ জন্য আমাকে ও আমার পরিবার লোকজনকেও আসামী করা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও যার ছেলে মারা গেছে তার বিরুদ্ধেও ৪টি মামলা করা হয়েছে। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। তিনি আরও জানান, ৪টি মামলা। একটি পিবিআই, একটি ডিবি, একটি সিআইডি ও আরেকটি থানায় তদন্ত করছে। হত্যাকান্ডের বাদীকে ৪টি মামলাতেই আসামী করা হয়েছে। সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রতন বলেন, ছেলের খুনের বিচার চাওয়ায় বাবাকে আসামী করা হয়েছে, যা দু:খজনক ঘটনা। এদিকে পুত্রশোক ও অন্যদিকে মামলার জন্য এখন পুরো পরিবারের দুর্ভোগ। তিনি আরও বলেন, এসব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।