পূর্বাচল (নারায়ণগঞ্জ) : সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের সাঈদনগর এলাকা কাদায় পরিপূর্ণ হলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা -সংবাদ
রাজউকের বাস্তবায়নাধীন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ-বালুনদের ব্রিজ-ভাটারা নতুনবাজার সড়কটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের সাঈদনগর এলাকা কাদায় পরিপূর্ণ হলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। মাদানী অ্যাভিনিউ ১০০ ফুট সড়ক নামে পরিচিত এ সড়কে খানাখন্দে সীমাহীন কষ্ট নিয়ে প্রতিনিয়ত পথচারী ও যাত্রীরা চলাচল করছে। শিশু, নারী, শিক্ষার্থী ও অসুস্থতদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দুই বছর ধরে এ দুরবস্থা দেখতে দেখতে এলাকাবাসী চরম বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ, মানববন্ধন আর আবেদন নিবেদনের পরেও এ সড়কের করুণ দশা কিছুতেই কাটছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রূপগঞ্জ-বালু নদের ব্রিজ-ভাটারা নতুন বাজার সড়কের সাঈদনগর পর্যন্ত এতোদিন পানির লাইন স্থাপন করতে ঢাকা ওয়াসা খোঁড়াখুঁড়ি করেছে। এখন আবার সড়কটি খুঁড়ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এতে বেহাল এই সড়কে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। ধীরগতিতে যান চলাচল করায় যানজট লেগেই থাকছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের খানাখন্দে পানি জমছে। কোন কোন স্থানে হাঁটু সমান পানি জমে থাকে। পাকা রাস্তায় কাদায় মাখামাখি হয়ে
পড়ে। তাতে সড়কটি আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠে। প্রতিনিয়িত সড়কের গর্তে রিক্সা, ভ্যানসহ হালকা যানবাহন উল্টে পড়ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। কখনো যাত্রীসহ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আবার কখনো পণ্যবাহী পিকআপ কাদায় দেবে যাচ্ছে। তাতে যানযটের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। এছাড়া সড়কের পাশে অবৈধ দোকানপাট এবং পধচারীদের কারণেও যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে। সড়কের কোন কোন স্থানে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় দুর্ভোগ আরো বাড়ছে।
রাজধানীর ভাটারা নতুন বাজার থেকে রূপগঞ্জের বালু নদীমুখী সড়কের ভাটারা থানার সামনে থেকে নূরেরচালার সংযোগ সড়ক পার হয়ে আরো অন্তত ২০০ ফুট পর্যন্ত খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। তবে সড়ক মেরামতে ভিন্ন প্রকল্পের কাজে বৃষ্টিকেই প্রধান সমস্যা হিসেবে তুলে ধরেছে রাজউক। সড়কের দুই পাশে রয়েছে দোকান। এসব দোকানকে ঘিরে মানুষের আনাগোনা থাকে প্রচুর। ফলে রাস্তাটি আরো সরু হয়ে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রাইভেটকার, অটোরিক্সা, রিক্সা, মোটরসাইকেল এবং পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। গত দুই বছর ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। এছাড়া রাস্তার পাশের ড্রেন থেকে ময়লা তুলে ফুটপাতের ওপর রাখা হচ্ছে। তাতে দুর্গন্ধে
পথচারী ও স্থানীয়দের নানা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
রূপগঞ্জের মুশুরী গ্রামের নুরুন্নবী ভুঁইয়া বলেন, তিনি ব্যবসায়িক কাজে প্রায়ই রাজধানীর গুলশানে এ সড়কে দুর্ভোগ নিয়ে আসা যাওয়া করেন। তিনি বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে এ সড়কের যাত্রীরা দুর্ভোগের আছেন। গ্রীষ্মকালে ধুলার মধ্যে আর বর্ষায় সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটুসমান কাদা-পানি মাড়িয়ে আসা যাওয়া করেন। রাস্তায় গাড়িতেও চলাফেরা এখন ভয়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটছে প্রায়ই দুর্ঘটনা।
রূপগঞ্জের ইছাখালী গ্রামের ব্যাটারী চালিত আটোরিক্সা চালক আব্দুল্লা মিয়া বলেন, খানাখন্দের এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে রিক্সার পার্টস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাতে রিক্সা চালক ও মালিকদের আর্থিক সম্মুখিন হতে হচ্ছে। চলাচলে সময়ও লাগছে বেশি।
ঢাকা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাদানী অ্যাভিনিউ ১০০ ফুট সড়কটির ঢাকা এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পের অধীন দুই বছর আগে শুরু হয়। তিন মাস আগে ঢাকা ওয়াসার উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে। সড়কের এক পাশে ১০ থেকে ১৫ ফুট গর্ত করে ১দশমিক ৬মিটার ব্যাসের দুইটি পাইপ বসানো হয়েছে। এজন্য ১৮ ফুট প্রস্থের জায়গাজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। সে কারণেই পথচারী ও যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। রাজউক সড়কের নির্মাণ কাজ করবে। কিছুদিনের মধ্যেই সড়কে চলাচল স্বাভাবিক বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ কাইছার বলেন, রূপগঞ্জ-বালুনদের ব্রিজ-ভাটারা নতুন বাজার সড়কের তথা মাদানী এভিনিউ হতে বালুনদ পর্যন্ত (মেজর রোড-৫) প্রশস্তকরণ এবং বালুনদ থেকে শীতলক্ষ্যা নদী পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। ভালো কিছু পেতে হলে সময়তো লাগবেই।
পূর্বাচল (নারায়ণগঞ্জ) : সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের সাঈদনগর এলাকা কাদায় পরিপূর্ণ হলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা -সংবাদ
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
রাজউকের বাস্তবায়নাধীন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ-বালুনদের ব্রিজ-ভাটারা নতুনবাজার সড়কটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের সাঈদনগর এলাকা কাদায় পরিপূর্ণ হলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। মাদানী অ্যাভিনিউ ১০০ ফুট সড়ক নামে পরিচিত এ সড়কে খানাখন্দে সীমাহীন কষ্ট নিয়ে প্রতিনিয়ত পথচারী ও যাত্রীরা চলাচল করছে। শিশু, নারী, শিক্ষার্থী ও অসুস্থতদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দুই বছর ধরে এ দুরবস্থা দেখতে দেখতে এলাকাবাসী চরম বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ, মানববন্ধন আর আবেদন নিবেদনের পরেও এ সড়কের করুণ দশা কিছুতেই কাটছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রূপগঞ্জ-বালু নদের ব্রিজ-ভাটারা নতুন বাজার সড়কের সাঈদনগর পর্যন্ত এতোদিন পানির লাইন স্থাপন করতে ঢাকা ওয়াসা খোঁড়াখুঁড়ি করেছে। এখন আবার সড়কটি খুঁড়ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এতে বেহাল এই সড়কে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। ধীরগতিতে যান চলাচল করায় যানজট লেগেই থাকছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের খানাখন্দে পানি জমছে। কোন কোন স্থানে হাঁটু সমান পানি জমে থাকে। পাকা রাস্তায় কাদায় মাখামাখি হয়ে
পড়ে। তাতে সড়কটি আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠে। প্রতিনিয়িত সড়কের গর্তে রিক্সা, ভ্যানসহ হালকা যানবাহন উল্টে পড়ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। কখনো যাত্রীসহ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আবার কখনো পণ্যবাহী পিকআপ কাদায় দেবে যাচ্ছে। তাতে যানযটের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। এছাড়া সড়কের পাশে অবৈধ দোকানপাট এবং পধচারীদের কারণেও যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে। সড়কের কোন কোন স্থানে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় দুর্ভোগ আরো বাড়ছে।
রাজধানীর ভাটারা নতুন বাজার থেকে রূপগঞ্জের বালু নদীমুখী সড়কের ভাটারা থানার সামনে থেকে নূরেরচালার সংযোগ সড়ক পার হয়ে আরো অন্তত ২০০ ফুট পর্যন্ত খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। তবে সড়ক মেরামতে ভিন্ন প্রকল্পের কাজে বৃষ্টিকেই প্রধান সমস্যা হিসেবে তুলে ধরেছে রাজউক। সড়কের দুই পাশে রয়েছে দোকান। এসব দোকানকে ঘিরে মানুষের আনাগোনা থাকে প্রচুর। ফলে রাস্তাটি আরো সরু হয়ে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রাইভেটকার, অটোরিক্সা, রিক্সা, মোটরসাইকেল এবং পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। গত দুই বছর ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। এছাড়া রাস্তার পাশের ড্রেন থেকে ময়লা তুলে ফুটপাতের ওপর রাখা হচ্ছে। তাতে দুর্গন্ধে
পথচারী ও স্থানীয়দের নানা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
রূপগঞ্জের মুশুরী গ্রামের নুরুন্নবী ভুঁইয়া বলেন, তিনি ব্যবসায়িক কাজে প্রায়ই রাজধানীর গুলশানে এ সড়কে দুর্ভোগ নিয়ে আসা যাওয়া করেন। তিনি বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে এ সড়কের যাত্রীরা দুর্ভোগের আছেন। গ্রীষ্মকালে ধুলার মধ্যে আর বর্ষায় সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটুসমান কাদা-পানি মাড়িয়ে আসা যাওয়া করেন। রাস্তায় গাড়িতেও চলাফেরা এখন ভয়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটছে প্রায়ই দুর্ঘটনা।
রূপগঞ্জের ইছাখালী গ্রামের ব্যাটারী চালিত আটোরিক্সা চালক আব্দুল্লা মিয়া বলেন, খানাখন্দের এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে রিক্সার পার্টস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাতে রিক্সা চালক ও মালিকদের আর্থিক সম্মুখিন হতে হচ্ছে। চলাচলে সময়ও লাগছে বেশি।
ঢাকা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাদানী অ্যাভিনিউ ১০০ ফুট সড়কটির ঢাকা এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পের অধীন দুই বছর আগে শুরু হয়। তিন মাস আগে ঢাকা ওয়াসার উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে। সড়কের এক পাশে ১০ থেকে ১৫ ফুট গর্ত করে ১দশমিক ৬মিটার ব্যাসের দুইটি পাইপ বসানো হয়েছে। এজন্য ১৮ ফুট প্রস্থের জায়গাজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। সে কারণেই পথচারী ও যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। রাজউক সড়কের নির্মাণ কাজ করবে। কিছুদিনের মধ্যেই সড়কে চলাচল স্বাভাবিক বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ কাইছার বলেন, রূপগঞ্জ-বালুনদের ব্রিজ-ভাটারা নতুন বাজার সড়কের তথা মাদানী এভিনিউ হতে বালুনদ পর্যন্ত (মেজর রোড-৫) প্রশস্তকরণ এবং বালুনদ থেকে শীতলক্ষ্যা নদী পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। ভালো কিছু পেতে হলে সময়তো লাগবেই।