‘রোহিঙ্গাদের বাড়ি’ ফেরানোর আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাড়িঘর ছেড়ে সীমান্তে অবস্থান করছেন শত শত রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের উপকূলবর্তী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বসবাসরতরা রাখাইনের সংঘাতের খবর স্বজনদের মাধ্যমে পাচ্ছেন।
রোহিঙ্গাদের বয়ান অনুযায়ী, মংডু টাউনশিপের দক্ষিণে মেরুল্লা এলাকায় মিয়ানমারের সেনারা নতুন করে মোতায়েন হয়েছে। এতে স্থানীয় রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সীমান্তে বিজিবি তৎপর রয়েছেন। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
রোহিঙ্গারা জানাচ্ছেন, সেনা ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ আশঙ্কায় শত শত রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ছেড়ে লালদিয়া দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বিজিবির নজরদারিতে তারা এখনও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি। আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মো. জুবায়ের বলেন, আগে সংঘর্ষের সময় রোহিঙ্গা গ্রামগুলোকে যুদ্ধক্ষেত্র বানানো হয়েছিল। তাই এবার তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
টেকনাফের ২৭ নম্বর ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ কালাম জানিয়েছেন, শুক্রবার মেরুল্লা এলাকায় নেভি ও আরাকান আর্মির সংঘর্ষে স্থানীয় রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ৭০০ রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ছেড়ে লালদিয়াতে আশ্রয় নিয়েছে।
হোয়াইক্যং সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ ভেসে এসেছে। বিজিবি-২ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান এবং ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের শুরুতে রাখাইনের মংডু টাউনশিপ দখল করে আরাকান আর্মি। বর্তমানে রাখাইনের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনারা নতুন করে অভিযান শুরু করেছে।
রোহিঙ্গাদের দিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ফেরাতে রোববার কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হচ্ছে। সম্মেলনে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। দ্বিতীয় দিন সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন। সমাপনী দিনেও বিভিন্ন সেশনে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনা হবে।
রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছে নিজেদের অধিকার, মর্যাদা এবং মাতৃভূমিতে ফেরার আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরবেন। তাদের উদ্দেশ্য শান্তি বজায় রাখা, শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা।
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
‘রোহিঙ্গাদের বাড়ি’ ফেরানোর আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাড়িঘর ছেড়ে সীমান্তে অবস্থান করছেন শত শত রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের উপকূলবর্তী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বসবাসরতরা রাখাইনের সংঘাতের খবর স্বজনদের মাধ্যমে পাচ্ছেন।
রোহিঙ্গাদের বয়ান অনুযায়ী, মংডু টাউনশিপের দক্ষিণে মেরুল্লা এলাকায় মিয়ানমারের সেনারা নতুন করে মোতায়েন হয়েছে। এতে স্থানীয় রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সীমান্তে বিজিবি তৎপর রয়েছেন। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
রোহিঙ্গারা জানাচ্ছেন, সেনা ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ আশঙ্কায় শত শত রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ছেড়ে লালদিয়া দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বিজিবির নজরদারিতে তারা এখনও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি। আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মো. জুবায়ের বলেন, আগে সংঘর্ষের সময় রোহিঙ্গা গ্রামগুলোকে যুদ্ধক্ষেত্র বানানো হয়েছিল। তাই এবার তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
টেকনাফের ২৭ নম্বর ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ কালাম জানিয়েছেন, শুক্রবার মেরুল্লা এলাকায় নেভি ও আরাকান আর্মির সংঘর্ষে স্থানীয় রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ৭০০ রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ছেড়ে লালদিয়াতে আশ্রয় নিয়েছে।
হোয়াইক্যং সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ ভেসে এসেছে। বিজিবি-২ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান এবং ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের শুরুতে রাখাইনের মংডু টাউনশিপ দখল করে আরাকান আর্মি। বর্তমানে রাখাইনের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনারা নতুন করে অভিযান শুরু করেছে।
রোহিঙ্গাদের দিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ফেরাতে রোববার কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হচ্ছে। সম্মেলনে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। দ্বিতীয় দিন সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন। সমাপনী দিনেও বিভিন্ন সেশনে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনা হবে।
রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছে নিজেদের অধিকার, মর্যাদা এবং মাতৃভূমিতে ফেরার আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরবেন। তাদের উদ্দেশ্য শান্তি বজায় রাখা, শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা।