ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তি পেয়েছেন অপহৃত এক মাছ ব্যবসায়ী। তার নাম মাহমুদুল হক (৩৮)। তিনি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লেঙ্গুরবিল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে।
গতকাল শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের হ্নীলার আলিখালী পাহাড়ি এলাকায় মুক্তিপণের টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার পর শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে তাকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। তবে মুক্তিপণ দিয়ে ব্যবসায়ীর ফিরে আসার ঘটনাটি জানে না পুলিশ।
এর আগে সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকা থেকে মাছ ব্যবসায়ী মাহমুদুল হককে অপহরণ করা হয়। এরপর পরিবারের কাছে দাবি করা হয় ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানান—“আমাকে টানা ৫ দিন আটকে রাখা হয়েছিল। মুক্তিপণের টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দিয়ে নিয়মিত মারধর করা হয়। অপহরণকারীরা পাহাড়ি
একটি স্থানে মুক্তিপণের টাকা রাখার নির্দেশ দেয়। টাকা পৌঁছানোর পর তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। অপহরণকারীরা ছিল অন্তত ১০ জন। তাদের কাছে ভারী অস্ত্র ছিল। এদের মধ্যে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা উভয়ই ছিল।”
বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন। টেকনাফ হাসপাতালের চিকিৎসক সাঈদ চৌধুরী জানান—“তার শরীরজুড়ে কালো ও লালচে ফোলা দাগ রয়েছে। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারছেন না। দীর্ঘদিন তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে।”
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন—“মুক্তিপণ দিয়ে ব্যবসায়ী ফেরত আসার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের তথ্যমতে, গত সাড়ে ১৮ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫৭ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তি পেয়েছেন অপহৃত এক মাছ ব্যবসায়ী। তার নাম মাহমুদুল হক (৩৮)। তিনি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লেঙ্গুরবিল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে।
গতকাল শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের হ্নীলার আলিখালী পাহাড়ি এলাকায় মুক্তিপণের টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার পর শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে তাকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। তবে মুক্তিপণ দিয়ে ব্যবসায়ীর ফিরে আসার ঘটনাটি জানে না পুলিশ।
এর আগে সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকা থেকে মাছ ব্যবসায়ী মাহমুদুল হককে অপহরণ করা হয়। এরপর পরিবারের কাছে দাবি করা হয় ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানান—“আমাকে টানা ৫ দিন আটকে রাখা হয়েছিল। মুক্তিপণের টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দিয়ে নিয়মিত মারধর করা হয়। অপহরণকারীরা পাহাড়ি
একটি স্থানে মুক্তিপণের টাকা রাখার নির্দেশ দেয়। টাকা পৌঁছানোর পর তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। অপহরণকারীরা ছিল অন্তত ১০ জন। তাদের কাছে ভারী অস্ত্র ছিল। এদের মধ্যে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা উভয়ই ছিল।”
বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন। টেকনাফ হাসপাতালের চিকিৎসক সাঈদ চৌধুরী জানান—“তার শরীরজুড়ে কালো ও লালচে ফোলা দাগ রয়েছে। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারছেন না। দীর্ঘদিন তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে।”
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন—“মুক্তিপণ দিয়ে ব্যবসায়ী ফেরত আসার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের তথ্যমতে, গত সাড়ে ১৮ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫৭ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।