ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে ও কেরানীগঞ্জ মডেল টাউনে একটি বহুতল ভবনের এসি বিস্ফোরণে দুইটি পরিবারের ১৪ জন দগ্ধ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে পৃথক ঘটনা দুটি ঘটে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঢামেক সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাজিল এলাকার একটি টিনসেড বাসায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ১০ জন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধরা হলেন- তানজিল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫), তাদের সন্তান তিশা (১৭) ও আরাফাত (১৫)। এছাড়াও হাসান (৩৫), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৩২), তাদের সন্তান মুনতাহা (১১), জান্নাত (৪) ও ইমাম উদ্দিন (১ মাস)। আসমা ও সালমা সম্পর্কে দুই বোন। তাদের মা তাহেরা খাতুনও (৬০) দগ্ধ হয়েছে। তাহেরা খাতুনকে ঢামেক বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অন্যদের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধ হাসানের ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম জানান, টিনসেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন দুই বোন আসমা ও সালমার পরিবার। সঙ্গে তাদের মাও থাকেন। বাড়িটির পাশ দিয়ে গ্যাস লাইনের পাইপ রয়েছে। সেখান থেকেই গ্যাস লিক হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে বাসাটিতে ছড়িয়ে পড়েছিল। রাতে সেই গ্যাস থেকে আগুন লেগে গেলে বাসাটি পুড়ে যায়। দগ্ধ হন ১০ জনই। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে ভোরে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৯ জন রোগী এসেছেন। তাদের কার কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে তা দেখা হচ্ছে। তবে সবার অবস্থাই গুরুতর।
এদিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল টাউনে একটি বহুতল ভবনের ৭ তলায় এসি বিস্ফোরণ হয়ে একই পরিবারে চারজন আহত হয়েছে। শনিবার,(২৩ আগস্ট ২০২৫) দুপুর দেড়টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। দগ্ধরা হলেন- মোহাম্মদ মামুন (৪৫) তার স্ত্রী লাকি আক্তার (৩৮) তাদের ছেলে মিহাদ (১৬) ও সিয়াম (১২)।
মোহাম্মদ মামুনের শালিকা ফারিয়া হাসান জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল টাউনের ১২ তলা ভবনের ৮ তলায় আমার দুলাভাই ও আপা পরিবার নিয়ে থাকেন। রাত ২টার দিকে ৭ তলার একটি রুমে এসি বিস্ফোরণ হয়। এসির ধোঁয়ায় আমার দুলাভাই, আপা, আমার দুই ভাগিনা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সার্জন সুলতান মাহমুদ শিকদার জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন থেকে এসি বিস্ফোরণ হয়ে চারজন অসুস্থ হয়ে আমাদের এখানে এসেছে। তাদের ইনহাল্যুশন ইনজুরি রয়েছে। তাদের জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। যেহেতু ধোঁয়ায় শ্বাসনালিতে ইনজুরি হয়েছে তাই ২৪ ঘণ্টা না গেলে কিছুই বলা যাবে না।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে ও কেরানীগঞ্জ মডেল টাউনে একটি বহুতল ভবনের এসি বিস্ফোরণে দুইটি পরিবারের ১৪ জন দগ্ধ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে পৃথক ঘটনা দুটি ঘটে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঢামেক সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাজিল এলাকার একটি টিনসেড বাসায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ১০ জন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধরা হলেন- তানজিল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫), তাদের সন্তান তিশা (১৭) ও আরাফাত (১৫)। এছাড়াও হাসান (৩৫), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৩২), তাদের সন্তান মুনতাহা (১১), জান্নাত (৪) ও ইমাম উদ্দিন (১ মাস)। আসমা ও সালমা সম্পর্কে দুই বোন। তাদের মা তাহেরা খাতুনও (৬০) দগ্ধ হয়েছে। তাহেরা খাতুনকে ঢামেক বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অন্যদের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধ হাসানের ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম জানান, টিনসেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন দুই বোন আসমা ও সালমার পরিবার। সঙ্গে তাদের মাও থাকেন। বাড়িটির পাশ দিয়ে গ্যাস লাইনের পাইপ রয়েছে। সেখান থেকেই গ্যাস লিক হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে বাসাটিতে ছড়িয়ে পড়েছিল। রাতে সেই গ্যাস থেকে আগুন লেগে গেলে বাসাটি পুড়ে যায়। দগ্ধ হন ১০ জনই। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে ভোরে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৯ জন রোগী এসেছেন। তাদের কার কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে তা দেখা হচ্ছে। তবে সবার অবস্থাই গুরুতর।
এদিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল টাউনে একটি বহুতল ভবনের ৭ তলায় এসি বিস্ফোরণ হয়ে একই পরিবারে চারজন আহত হয়েছে। শনিবার,(২৩ আগস্ট ২০২৫) দুপুর দেড়টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। দগ্ধরা হলেন- মোহাম্মদ মামুন (৪৫) তার স্ত্রী লাকি আক্তার (৩৮) তাদের ছেলে মিহাদ (১৬) ও সিয়াম (১২)।
মোহাম্মদ মামুনের শালিকা ফারিয়া হাসান জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল টাউনের ১২ তলা ভবনের ৮ তলায় আমার দুলাভাই ও আপা পরিবার নিয়ে থাকেন। রাত ২টার দিকে ৭ তলার একটি রুমে এসি বিস্ফোরণ হয়। এসির ধোঁয়ায় আমার দুলাভাই, আপা, আমার দুই ভাগিনা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সার্জন সুলতান মাহমুদ শিকদার জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন থেকে এসি বিস্ফোরণ হয়ে চারজন অসুস্থ হয়ে আমাদের এখানে এসেছে। তাদের ইনহাল্যুশন ইনজুরি রয়েছে। তাদের জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। যেহেতু ধোঁয়ায় শ্বাসনালিতে ইনজুরি হয়েছে তাই ২৪ ঘণ্টা না গেলে কিছুই বলা যাবে না।