ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যশোরের খ্যাতিমান সাংবাদিক দৈনিক সংবাদের বিশেষ প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ্র দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার,(২৩ আগস্ট ২০২৫ বাদ জোহর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান শেষে কারবালা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ‘গ্রাম-গ্রামান্তরের লেখক খ্যাতিমান এই সাংবাদিক পাঁচ দশকের বেশি সময় সাংবাদিকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত কয়েকমাস ধরে তিনি হার্ট ও কিডনিজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত ২৭ জুলাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালটিতে তিনি দেশবরেণ্য চিকিৎসক অধ্যাপক এমএ রশিদের তত্ত্বাবধায়নে নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। গত ১৯ আগস্ট তার হার্টে ৩টি রিং স্থাপন শেষে গত বৃহস্পতিবার তিনি যশোরে ফিরে আসেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নেয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রাতে তার মরদেহ শহরের খালধার রোডের নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
শনিবার বেলা ১২টায় তার মরদেহ প্রথমে যশোর উদীচী কার্যালয়ে এবং পরে প্রেসক্লাব ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যশোরের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় যশোর জজ কোর্ট প্রাঙ্গনে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পরিবর্তে সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান এবং পরে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর যশোর কারাবালা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
সাংবাদিক রুকুনউদ্দৌলাহর পিতা মরহুম মোকসেদ আলী। রুকুনউদ্দৌলাহর শৈশব-কৈশোর কেটেছে নওগাঁয়। সেখানে থাকতেন অগ্রজ আসফউদ্দৌলার কাছে। নওগাঁ কেডি স্কুলে পড়াকালীন বেজে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের দামামা। রাজনৈতিক সচেতন রুকুনউদ্দৌলাহ্ পরিবারের সঙ্গে চলে যান ভারতে। সেখানে শিলিগুড়িতে প্রশিক্ষণ শেষে ফ্রিডমফাইটার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ধর্ম, মানবতা, সাংবাদিকতা ছাড়া অন্য কোনো পেশায় ঢোকেননি এক মুহূর্তের জন্যেও। দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম ‘দৈনিক সংবাদ’ সঙ্গে জড়িত পাঁচ দশক ধরে।
‘সংবাদ’ এ তার নিয়মিত কলাম ‘গ্রাম-গ্রামান্তরে’ বেশ জনপ্রিয়। তিনি চ্যানেল আই, রেডিও টুডেতে কাজ করেছেন। যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্ফুলিঙ্গ, দৈনিক ঠিকানা, দৈনিক রানার, দৈনিক কল্যাণ’-এ বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে যশোর থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক যশোরের কাগজের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন।
এ পেশায় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন বজলুর রহমান স্মৃতিপদক, আইডিই পুরষ্কার, যশোর শিল্পী গোষ্ঠী পদক ও জ্ঞানমেলা পদক। তার লেখা শ্রাবণ প্রকাশনী থেকে ‘গ্রাম-গ্রামান্তরে’, নবযুগ প্রকাশনী থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধে যশোর’, নবরাগ প্রকাশনী থেকে ‘আমার কৈশোর আমার মুক্তিযুদ্ধ’, ‘মানুষের ভাবনা মানুষের কথা’ এবং ‘ছোট ছোট কথা অচেনা মানুষ’, ‘পতাকার অক্ষত ভূমি’ নামে বই প্রকাশিত হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যশোরের খ্যাতিমান সাংবাদিক দৈনিক সংবাদের বিশেষ প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ্র দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার,(২৩ আগস্ট ২০২৫ বাদ জোহর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান শেষে কারবালা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ‘গ্রাম-গ্রামান্তরের লেখক খ্যাতিমান এই সাংবাদিক পাঁচ দশকের বেশি সময় সাংবাদিকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত কয়েকমাস ধরে তিনি হার্ট ও কিডনিজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত ২৭ জুলাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালটিতে তিনি দেশবরেণ্য চিকিৎসক অধ্যাপক এমএ রশিদের তত্ত্বাবধায়নে নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। গত ১৯ আগস্ট তার হার্টে ৩টি রিং স্থাপন শেষে গত বৃহস্পতিবার তিনি যশোরে ফিরে আসেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নেয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রাতে তার মরদেহ শহরের খালধার রোডের নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
শনিবার বেলা ১২টায় তার মরদেহ প্রথমে যশোর উদীচী কার্যালয়ে এবং পরে প্রেসক্লাব ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যশোরের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় যশোর জজ কোর্ট প্রাঙ্গনে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পরিবর্তে সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান এবং পরে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর যশোর কারাবালা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
সাংবাদিক রুকুনউদ্দৌলাহর পিতা মরহুম মোকসেদ আলী। রুকুনউদ্দৌলাহর শৈশব-কৈশোর কেটেছে নওগাঁয়। সেখানে থাকতেন অগ্রজ আসফউদ্দৌলার কাছে। নওগাঁ কেডি স্কুলে পড়াকালীন বেজে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের দামামা। রাজনৈতিক সচেতন রুকুনউদ্দৌলাহ্ পরিবারের সঙ্গে চলে যান ভারতে। সেখানে শিলিগুড়িতে প্রশিক্ষণ শেষে ফ্রিডমফাইটার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ধর্ম, মানবতা, সাংবাদিকতা ছাড়া অন্য কোনো পেশায় ঢোকেননি এক মুহূর্তের জন্যেও। দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম ‘দৈনিক সংবাদ’ সঙ্গে জড়িত পাঁচ দশক ধরে।
‘সংবাদ’ এ তার নিয়মিত কলাম ‘গ্রাম-গ্রামান্তরে’ বেশ জনপ্রিয়। তিনি চ্যানেল আই, রেডিও টুডেতে কাজ করেছেন। যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্ফুলিঙ্গ, দৈনিক ঠিকানা, দৈনিক রানার, দৈনিক কল্যাণ’-এ বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে যশোর থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক যশোরের কাগজের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন।
এ পেশায় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন বজলুর রহমান স্মৃতিপদক, আইডিই পুরষ্কার, যশোর শিল্পী গোষ্ঠী পদক ও জ্ঞানমেলা পদক। তার লেখা শ্রাবণ প্রকাশনী থেকে ‘গ্রাম-গ্রামান্তরে’, নবযুগ প্রকাশনী থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধে যশোর’, নবরাগ প্রকাশনী থেকে ‘আমার কৈশোর আমার মুক্তিযুদ্ধ’, ‘মানুষের ভাবনা মানুষের কথা’ এবং ‘ছোট ছোট কথা অচেনা মানুষ’, ‘পতাকার অক্ষত ভূমি’ নামে বই প্রকাশিত হয়েছে।