নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়া বাসায় বিস্ফোরণে দগ্ধ এক মাস বয়সী শিশু ইমাম উদ্দিন মারা গেছে। রবিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সার্জন ডা. সুলতান মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইমাম উদ্দিনের শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী পূর্বপাড়া এলাকার একটি টিনশেড ঘরে এ বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে পাশাপাশি দুটি কক্ষে বসবাস করতেন আসমা ও সালমা নামের দুই বোন এবং তাদের স্বামী-সন্তানরা। বিস্ফোরণের পর আগুনে পুড়ে দুই পরিবারের নয়জন দগ্ধ হন।
দগ্ধদের মধ্যে আটজনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন— আসমা বেগম (৩৫), তার মেয়ে তিশা (১৭) ও ছেলে আরাফাত (১৫); আসমার বোন সালমা বেগম (৩২), তার স্বামী হাসান (৪০), তাদের মেয়ে মুনতাহা (৮) ও জান্নাত (৪)। নিহত শিশু ইমাম ছিলেন সালমা-হাসান দম্পতির ছেলে। সামান্য আহত হওয়ায় আসমার স্বামী তানজিল ইসলামকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, আসমার শরীরের ৪৮ শতাংশ, তিশার ৫৩ শতাংশ, আরাফাতের ১৫ শতাংশ, সালমার ৪৮ শতাংশ, হাসানের ৪৪ শতাংশ, মুনতাহার ৩৭ শতাংশ ও জান্নাতের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে একটি বিকট শব্দ হয়, এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘরটির ওপরে তাপ কমানোর জন্য ফলস সিলিং লাগানো ছিল। আগুনে সেগুলো পুড়ে দগ্ধদের শরীরে পড়ায় তাদের অবস্থা আরও গুরুতর হয়।
প্রতিবেশী মামুন জানান, আসমা-সালমাদের বাবা আব্দুর রশিদ এ বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। কয়েক মাস আগে তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই তার তিন মেয়ে, জামাই ও নাতি-নাতনিরা পাশাপাশি তিনটি কক্ষে বসবাস করছিলেন।
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়া বাসায় বিস্ফোরণে দগ্ধ এক মাস বয়সী শিশু ইমাম উদ্দিন মারা গেছে। রবিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সার্জন ডা. সুলতান মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইমাম উদ্দিনের শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী পূর্বপাড়া এলাকার একটি টিনশেড ঘরে এ বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে পাশাপাশি দুটি কক্ষে বসবাস করতেন আসমা ও সালমা নামের দুই বোন এবং তাদের স্বামী-সন্তানরা। বিস্ফোরণের পর আগুনে পুড়ে দুই পরিবারের নয়জন দগ্ধ হন।
দগ্ধদের মধ্যে আটজনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন— আসমা বেগম (৩৫), তার মেয়ে তিশা (১৭) ও ছেলে আরাফাত (১৫); আসমার বোন সালমা বেগম (৩২), তার স্বামী হাসান (৪০), তাদের মেয়ে মুনতাহা (৮) ও জান্নাত (৪)। নিহত শিশু ইমাম ছিলেন সালমা-হাসান দম্পতির ছেলে। সামান্য আহত হওয়ায় আসমার স্বামী তানজিল ইসলামকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, আসমার শরীরের ৪৮ শতাংশ, তিশার ৫৩ শতাংশ, আরাফাতের ১৫ শতাংশ, সালমার ৪৮ শতাংশ, হাসানের ৪৪ শতাংশ, মুনতাহার ৩৭ শতাংশ ও জান্নাতের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে একটি বিকট শব্দ হয়, এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘরটির ওপরে তাপ কমানোর জন্য ফলস সিলিং লাগানো ছিল। আগুনে সেগুলো পুড়ে দগ্ধদের শরীরে পড়ায় তাদের অবস্থা আরও গুরুতর হয়।
প্রতিবেশী মামুন জানান, আসমা-সালমাদের বাবা আব্দুর রশিদ এ বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। কয়েক মাস আগে তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই তার তিন মেয়ে, জামাই ও নাতি-নাতনিরা পাশাপাশি তিনটি কক্ষে বসবাস করছিলেন।