চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার হাটবাজারে পাকা তালের দেখা মিলতে শুরু করেছে । অল্প দরে নানান উপাদানে ভরা পাকা তাল খেতে সহজে ভুল করছে না ।কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভালো করতে পাকা তাল ভালো ভূমিকা রাখে ।
জানা গেছে,তাল এমন একটি ফল, যা কচি অবস্থায় শাঁস হিসেবে এবং পাকলে রস বের করে খাওয়া যায়। আবার এর বীজ দীর্ঘদিন মাটিতে রেখে দেওয়ার পর তা থেকে পাওয়া শাঁসও খাওয়া যায়। এই এক ফলই বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। এ ছাড়া তালের রস দিয়ে পিঠা, পায়েস, কেক কিংবা বড়া খেতেও ভীষণ মজা। চলছে ভাদ্র মাস। ভাদ্র মাসের কথা মাথায় এলেই চলে আসে তালের নাম। আমাদের দেশে তাল অতিপরিচিত একটি ফল। ভাদ্র মাস এলে বাঙালির ঘরে ঘরে এই সময়ে পাকা তালের চটকানো রস দিয়ে দিয়ে নানা রকম পিঠা-পায়েস তৈরি হয় ।
উপজেলার ডুগডগি হাটের তাল বিক্রি করতে আসা মহিদুর বলেন , নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় মোর একটি তাল গাছ আছে । সেই গাছে এবার প্রচুর পরিমান তাল এসেিেছল। কিছু তাল শাঁস হিসেবে খাওয়া হয় । বক্রি তাল বাদ্র মাসে পাকার জন্য রেখে দেয় । গাছে তাল পকা শুরু করেছে । প্রতিদিন দিন পাকা তাল গাছ থেকে ঝরে পড়ছে । নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বক্রি তাল হাটে বিক্রি করতে এসেছি । প্রতিপিস চোট বড় প্রকার ভেদে ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । হাট বাজারে পাকা তালের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে ।
গৃহিনী ফাতেমা বলেন, ভাদ্র মাসে তাল পাকা শুরু হলে তাল পড়তে শুরু করে।তাল দিয়ে নিজেরা নানা ধারণের পিঠা ফুলি তৈরী করি এবং আত্বীয় স্বজনের বাড়ী পাকা তাল পাঠিয়ে দেয়।পাকাতালের ঘন নির্যাসের সঙ্গে ডিম, চালের গুঁড়া, গুড় বা চিনি এবং কখনো নারিকেল দিয়ে তালের পিঠা তৈরি করা হয়। গ্রামগঞ্জে এই পিঠার ঐতিহ্য রয়েছে। তালের পিঠার সুন্দর সুবাস রয়েছে। মুখ রোচক তালের পিঠা মানুষের মাঝে এথনও জনপ্রিয়তার কোন কমতি নেয় ।
পুষ্টিবিদদের মতে, এই ফলের রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ। অনন্য ও সুস্বাদু পাকা তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, জিংক, পটাসিয়াম, আয়রণ, ক্যালসিয়াম। এ ছাড়া রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরির মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। ১০০ গ্রাম পাকা তালে রয়েছে ৮৭ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৭৭.৫ গ্রাম জলীয় অংশ, ০.৮ গ্রাম আমিষ, ০.১ গ্রাম চর্বি, ১০.৯ গ্রাম শরকরা, ১ গ্রাম খাদ্য আঁশ, ২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১ মিলিগ্রাম আয়রন, ০.০৪ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০২ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, ০.৩ মিলিগ্রাম নিয়াসিন ও ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। তাই অনেক রোগেরই মহৌষধ হিসেবে কাজ করতে পারে এই পাকা তাল। ইউনানি চিকিৎসক সোহরাব হোসেন বলেন, পাকা তালের রসের ভিটামিন বি কমপেক্স শরীরে ভিটামিন বি ঘাটতি পূরণ করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্রের রোগ বা কৃমির সমস্যা আছে, তারা এই মৌসুমে তাল খাওয়ার অভ্যাস ভাল। যারা প্রায়ই বুক ধড়ফড় করার সমস্যায় ভোগেন, তারা দুধের সঙ্গে চার চামচ তালের রস মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সপ্তাহে এভাবে তিন দিন খেতে হবে।বমি ভাব দূর করতেও এভাবে পাকা তাল খেতে পারেন।
এ ছাড়া যদি পুরনো কোনো কাশি কোনোভাবেই পিছু না ছাড়ে, তবে একই পদ্ধতিতে তাল খেয়ে উপকার পাবেন। তাল খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সুফল হলো, এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানটির ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থেকে মুক্তি দিতে স্মৃতিশক্তিকে বেশ প্রখর করে তুলতে পারে।কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভালো করতে পাকা তাল ভালো ভূমিকা রাখে।
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার হাটবাজারে পাকা তালের দেখা মিলতে শুরু করেছে । অল্প দরে নানান উপাদানে ভরা পাকা তাল খেতে সহজে ভুল করছে না ।কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভালো করতে পাকা তাল ভালো ভূমিকা রাখে ।
জানা গেছে,তাল এমন একটি ফল, যা কচি অবস্থায় শাঁস হিসেবে এবং পাকলে রস বের করে খাওয়া যায়। আবার এর বীজ দীর্ঘদিন মাটিতে রেখে দেওয়ার পর তা থেকে পাওয়া শাঁসও খাওয়া যায়। এই এক ফলই বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। এ ছাড়া তালের রস দিয়ে পিঠা, পায়েস, কেক কিংবা বড়া খেতেও ভীষণ মজা। চলছে ভাদ্র মাস। ভাদ্র মাসের কথা মাথায় এলেই চলে আসে তালের নাম। আমাদের দেশে তাল অতিপরিচিত একটি ফল। ভাদ্র মাস এলে বাঙালির ঘরে ঘরে এই সময়ে পাকা তালের চটকানো রস দিয়ে দিয়ে নানা রকম পিঠা-পায়েস তৈরি হয় ।
উপজেলার ডুগডগি হাটের তাল বিক্রি করতে আসা মহিদুর বলেন , নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় মোর একটি তাল গাছ আছে । সেই গাছে এবার প্রচুর পরিমান তাল এসেিেছল। কিছু তাল শাঁস হিসেবে খাওয়া হয় । বক্রি তাল বাদ্র মাসে পাকার জন্য রেখে দেয় । গাছে তাল পকা শুরু করেছে । প্রতিদিন দিন পাকা তাল গাছ থেকে ঝরে পড়ছে । নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বক্রি তাল হাটে বিক্রি করতে এসেছি । প্রতিপিস চোট বড় প্রকার ভেদে ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । হাট বাজারে পাকা তালের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে ।
গৃহিনী ফাতেমা বলেন, ভাদ্র মাসে তাল পাকা শুরু হলে তাল পড়তে শুরু করে।তাল দিয়ে নিজেরা নানা ধারণের পিঠা ফুলি তৈরী করি এবং আত্বীয় স্বজনের বাড়ী পাকা তাল পাঠিয়ে দেয়।পাকাতালের ঘন নির্যাসের সঙ্গে ডিম, চালের গুঁড়া, গুড় বা চিনি এবং কখনো নারিকেল দিয়ে তালের পিঠা তৈরি করা হয়। গ্রামগঞ্জে এই পিঠার ঐতিহ্য রয়েছে। তালের পিঠার সুন্দর সুবাস রয়েছে। মুখ রোচক তালের পিঠা মানুষের মাঝে এথনও জনপ্রিয়তার কোন কমতি নেয় ।
পুষ্টিবিদদের মতে, এই ফলের রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ। অনন্য ও সুস্বাদু পাকা তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, জিংক, পটাসিয়াম, আয়রণ, ক্যালসিয়াম। এ ছাড়া রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরির মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। ১০০ গ্রাম পাকা তালে রয়েছে ৮৭ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৭৭.৫ গ্রাম জলীয় অংশ, ০.৮ গ্রাম আমিষ, ০.১ গ্রাম চর্বি, ১০.৯ গ্রাম শরকরা, ১ গ্রাম খাদ্য আঁশ, ২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১ মিলিগ্রাম আয়রন, ০.০৪ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০২ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, ০.৩ মিলিগ্রাম নিয়াসিন ও ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। তাই অনেক রোগেরই মহৌষধ হিসেবে কাজ করতে পারে এই পাকা তাল। ইউনানি চিকিৎসক সোহরাব হোসেন বলেন, পাকা তালের রসের ভিটামিন বি কমপেক্স শরীরে ভিটামিন বি ঘাটতি পূরণ করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্রের রোগ বা কৃমির সমস্যা আছে, তারা এই মৌসুমে তাল খাওয়ার অভ্যাস ভাল। যারা প্রায়ই বুক ধড়ফড় করার সমস্যায় ভোগেন, তারা দুধের সঙ্গে চার চামচ তালের রস মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সপ্তাহে এভাবে তিন দিন খেতে হবে।বমি ভাব দূর করতেও এভাবে পাকা তাল খেতে পারেন।
এ ছাড়া যদি পুরনো কোনো কাশি কোনোভাবেই পিছু না ছাড়ে, তবে একই পদ্ধতিতে তাল খেয়ে উপকার পাবেন। তাল খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সুফল হলো, এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানটির ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থেকে মুক্তি দিতে স্মৃতিশক্তিকে বেশ প্রখর করে তুলতে পারে।কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভালো করতে পাকা তাল ভালো ভূমিকা রাখে।