ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনের খসড়া সীমানা নিয়ে শুনানির প্রথম দিনে হাতাহাতিতে জড়িয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই পক্ষ।
রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের আপত্তি-পরামর্শের শুনানির মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
ওই দুই আসনের খসড়া প্রকাশের পর পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে। ইসির শুনানিতে অংশ নিয়ে বিএনপির রুমিন ফারহানা খসড়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এরপর বিপক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ বলেন, বিজয়নগর উপজেলা থেকে তিনটি ইউনিয়ন (বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। তারা উপজেলাকে অখণ্ড দেখতে চান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একপর্যায়ে দুই পক্ষ উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। আতাউল্লাহর সঙ্গে স্থানীয় বিএনপিরও কয়েকজন ছিলেন। হট্টগোলের মধ্যে ইসি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানি শেষ করেন এবং উপস্থিতদের কক্ষ ত্যাগ করতে অনুরোধ জানান।
এ দুই আসনের মাধ্যমেই চারদিনের সীমানা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করেছে ইসি। শুনানিকালে সাংবাদিকদের থাকতে বলা হলেও ক্যামেরা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২
২০২৪ সালে এ আসনে ছিল সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা। প্রস্তাবিত সীমানায় এ দুই উপজেলার সঙ্গে বিজয়নগর উপজেলার বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর ইউনিয়ন যুক্ত করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩
এ আসনে ২০২৪ সালে ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলা। এবার করা হয়েছে— ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এবং বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর, চম্পানগর, পত্তন, দক্ষিণ সিংগারবিল, বিষ্ণপুর, চর ইসলামপুর ও পাহাড়পুর ইউনিয়ন।
ঘটনার সময় নির্বাচন ভবনের বাইরেও হট্টগোল হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা গেইটের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। সেখানে জলকামানও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
‘নির্বাচনে কী হবে, অনুমেয়’
শুনানি থেকে বেরিয়ে বেলা ২টার দিকে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এখানে একটি মারামারি হয়েছে। আমি যেহেতু একজন আইনজীবী, আমি মনে করেছি আমার কেইস আমি নিজেই প্রেজেন্ট করব। সো আমার কেইস আমি প্রেজেন্ট করেছি… ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এর যিনি প্রার্থী, তিনি সদলবলে ২০/২৫ জন মিলে গুন্ডা-পান্ডার মতো আচরণ করেছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, অত্যন্ত লজ্জাজনক।”
তিনি বলেন, “১৫ বছরে যা হয়নি তা আজ হয়েছে। যে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জন্য ১৫ বছর লড়াই করেছি, তারাই আমার গায়ে হাত তুলল। নির্বাচনের আগে সীমানা নিয়ে নিজের দলে এমন পরিস্থিতি হলে নির্বাচনে কী হবে, অনুমেয়। আমাকে মারা হয়েছে, জবাবে আমার লোক তো বসে থাকবে না।”
এদিকে শুনানি শেষে আতাউল্লাহ দাবি করেন, ‘হামলা’য় তিনিসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, “উনি (আতাউল্লাহ) খুব পরিচিত কোনো মুখ নন। তিনি এনসিপি থেকে এসেছেন না জামায়াত থেকে গেছেন আমি জানি না। তবে প্রথমে একজন আমাকে ধাক্কা দিয়েছেন, পাঞ্জাবি পরা একজন। তারপরে আমার লোক তো বসে থাকবে না। আমি তো একজন মহিলা এবং পরে যখন আমার লোকজনকে মারধর করেছে, আমার লোকজন জবাব দিয়েছে, সিম্পল।”
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনের খসড়া সীমানা নিয়ে শুনানির প্রথম দিনে হাতাহাতিতে জড়িয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই পক্ষ।
রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের আপত্তি-পরামর্শের শুনানির মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
ওই দুই আসনের খসড়া প্রকাশের পর পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে। ইসির শুনানিতে অংশ নিয়ে বিএনপির রুমিন ফারহানা খসড়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এরপর বিপক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ বলেন, বিজয়নগর উপজেলা থেকে তিনটি ইউনিয়ন (বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। তারা উপজেলাকে অখণ্ড দেখতে চান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একপর্যায়ে দুই পক্ষ উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। আতাউল্লাহর সঙ্গে স্থানীয় বিএনপিরও কয়েকজন ছিলেন। হট্টগোলের মধ্যে ইসি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানি শেষ করেন এবং উপস্থিতদের কক্ষ ত্যাগ করতে অনুরোধ জানান।
এ দুই আসনের মাধ্যমেই চারদিনের সীমানা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করেছে ইসি। শুনানিকালে সাংবাদিকদের থাকতে বলা হলেও ক্যামেরা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২
২০২৪ সালে এ আসনে ছিল সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা। প্রস্তাবিত সীমানায় এ দুই উপজেলার সঙ্গে বিজয়নগর উপজেলার বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর ইউনিয়ন যুক্ত করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩
এ আসনে ২০২৪ সালে ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলা। এবার করা হয়েছে— ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এবং বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর, চম্পানগর, পত্তন, দক্ষিণ সিংগারবিল, বিষ্ণপুর, চর ইসলামপুর ও পাহাড়পুর ইউনিয়ন।
ঘটনার সময় নির্বাচন ভবনের বাইরেও হট্টগোল হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা গেইটের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। সেখানে জলকামানও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
‘নির্বাচনে কী হবে, অনুমেয়’
শুনানি থেকে বেরিয়ে বেলা ২টার দিকে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এখানে একটি মারামারি হয়েছে। আমি যেহেতু একজন আইনজীবী, আমি মনে করেছি আমার কেইস আমি নিজেই প্রেজেন্ট করব। সো আমার কেইস আমি প্রেজেন্ট করেছি… ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এর যিনি প্রার্থী, তিনি সদলবলে ২০/২৫ জন মিলে গুন্ডা-পান্ডার মতো আচরণ করেছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, অত্যন্ত লজ্জাজনক।”
তিনি বলেন, “১৫ বছরে যা হয়নি তা আজ হয়েছে। যে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জন্য ১৫ বছর লড়াই করেছি, তারাই আমার গায়ে হাত তুলল। নির্বাচনের আগে সীমানা নিয়ে নিজের দলে এমন পরিস্থিতি হলে নির্বাচনে কী হবে, অনুমেয়। আমাকে মারা হয়েছে, জবাবে আমার লোক তো বসে থাকবে না।”
এদিকে শুনানি শেষে আতাউল্লাহ দাবি করেন, ‘হামলা’য় তিনিসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, “উনি (আতাউল্লাহ) খুব পরিচিত কোনো মুখ নন। তিনি এনসিপি থেকে এসেছেন না জামায়াত থেকে গেছেন আমি জানি না। তবে প্রথমে একজন আমাকে ধাক্কা দিয়েছেন, পাঞ্জাবি পরা একজন। তারপরে আমার লোক তো বসে থাকবে না। আমি তো একজন মহিলা এবং পরে যখন আমার লোকজনকে মারধর করেছে, আমার লোকজন জবাব দিয়েছে, সিম্পল।”