ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুর জাহান বেগম বলেছেন, সব হাসপাতালে সিন্ডিকেট চক্র আছে। তাদের ছাড়া হাসপাতাল চলছে বলা যায় না। কিন্তু এ দুর্নীতি বন্ধ আমরা একা করতে পারবো না। বন্ধ করতে দেশের জনগণ রাজনৈতিক দল ও হাসপাতালের ডাক্তারসহ সবার সহযোগিতায় করতে হবে। তিনি গতকাল দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, হাসপাতালসহ সব ক্ষেত্রে সচ্ছতা ও দুর্নীতি বন্ধ করতে আমরা আগামী মাস থেকে ইলেক্ট্রনিক্স পদ্ধতি ইজিপির মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছি, এটা করা হলে দুর্নীতি অনেকটা কমে যাবে। তিনি বলেন, ডাক্তার নার্সসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পোস্টিং দেবার ক্ষেত্রে টাকা নেয়া বন্ধ করার চেষ্টা করছি। এবার আমরা সাড়ে ৩ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। তাদের পোস্টিং দেবার ক্ষেত্রে মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে এবং মেধা অনুযায়ী পোস্টিং দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ১০টি করে চয়েজ নেয়া হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এ নিয়ে অভিযোগ আসেনি।
তিনি বলেন, সারাদেশে ১০ হাজার চিকিৎসকের ঘাটতি আছে। আমরা সাড়ে ৩ হাজার ডাক্তার নেবার জন্য বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখানেও ইলেক্ট্রনিক্স সিস্টেম আর মেধাকে প্রধান্য দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে কেনা কাটা নিয়োগ আর বদলি আর পোস্টিং নিয়ে দুর্নীতি বন্ধে আমরা কাজ করছি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, এই যে জুলাই আন্দোলন হলো, হাত গেলো, পা গেলো, এতো জীবন গেলো। যারা সিন্ডিকেট করে তারা কি এটা দেখে নাই? তাদের ভেতরে কোনো পরিবর্তন হবে না? কাজেই আমার-আপনার সবার মধ্যে যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে কি দেশ পরিবর্তন হবে? প্রত্যোকরই তো সেলফ এসেসমেন্ট করতে হবে আমি কে, আমি কী করছি?: এ উপলব্ধি সবাইকে করতে হবে।
রংপুর মা ও শিশু হাসপাতাল চালু হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, শিশু হাসপাতাল না হওয়ার কোনো কারণ নাই। হাসপাতাল করতে হলে তার জনবল লাগবে। এরা জনবলের কোনো পরিকল্পনা করে নাই। যন্ত্রপাতির পরিকল্পনা কিছু করেছে কিছু করে নাই। কাজেই আমরা হঠাৎ করেই এগুলো এনে দিতে পারবো না। কাজেই আমরা আস্তে ধীরে এগুলো করবো। যত দ্রুত সম্ভব চালু করা যায় কিনা সেটা দেখবো বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনেক সমস্যা আছে ডাক্তার নার্স টেকনোলজিস্ট নাই, মেশিন নাই সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এজন্য ৫শ’ ৬০ বেডের একটি স্পেশালাইড ইউনিট স্থাপনের কাজ চলছে আমরা প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুর জাহান বেগম বলেছেন, সব হাসপাতালে সিন্ডিকেট চক্র আছে। তাদের ছাড়া হাসপাতাল চলছে বলা যায় না। কিন্তু এ দুর্নীতি বন্ধ আমরা একা করতে পারবো না। বন্ধ করতে দেশের জনগণ রাজনৈতিক দল ও হাসপাতালের ডাক্তারসহ সবার সহযোগিতায় করতে হবে। তিনি গতকাল দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, হাসপাতালসহ সব ক্ষেত্রে সচ্ছতা ও দুর্নীতি বন্ধ করতে আমরা আগামী মাস থেকে ইলেক্ট্রনিক্স পদ্ধতি ইজিপির মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছি, এটা করা হলে দুর্নীতি অনেকটা কমে যাবে। তিনি বলেন, ডাক্তার নার্সসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পোস্টিং দেবার ক্ষেত্রে টাকা নেয়া বন্ধ করার চেষ্টা করছি। এবার আমরা সাড়ে ৩ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। তাদের পোস্টিং দেবার ক্ষেত্রে মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে এবং মেধা অনুযায়ী পোস্টিং দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ১০টি করে চয়েজ নেয়া হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এ নিয়ে অভিযোগ আসেনি।
তিনি বলেন, সারাদেশে ১০ হাজার চিকিৎসকের ঘাটতি আছে। আমরা সাড়ে ৩ হাজার ডাক্তার নেবার জন্য বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখানেও ইলেক্ট্রনিক্স সিস্টেম আর মেধাকে প্রধান্য দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে কেনা কাটা নিয়োগ আর বদলি আর পোস্টিং নিয়ে দুর্নীতি বন্ধে আমরা কাজ করছি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, এই যে জুলাই আন্দোলন হলো, হাত গেলো, পা গেলো, এতো জীবন গেলো। যারা সিন্ডিকেট করে তারা কি এটা দেখে নাই? তাদের ভেতরে কোনো পরিবর্তন হবে না? কাজেই আমার-আপনার সবার মধ্যে যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে কি দেশ পরিবর্তন হবে? প্রত্যোকরই তো সেলফ এসেসমেন্ট করতে হবে আমি কে, আমি কী করছি?: এ উপলব্ধি সবাইকে করতে হবে।
রংপুর মা ও শিশু হাসপাতাল চালু হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, শিশু হাসপাতাল না হওয়ার কোনো কারণ নাই। হাসপাতাল করতে হলে তার জনবল লাগবে। এরা জনবলের কোনো পরিকল্পনা করে নাই। যন্ত্রপাতির পরিকল্পনা কিছু করেছে কিছু করে নাই। কাজেই আমরা হঠাৎ করেই এগুলো এনে দিতে পারবো না। কাজেই আমরা আস্তে ধীরে এগুলো করবো। যত দ্রুত সম্ভব চালু করা যায় কিনা সেটা দেখবো বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনেক সমস্যা আছে ডাক্তার নার্স টেকনোলজিস্ট নাই, মেশিন নাই সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এজন্য ৫শ’ ৬০ বেডের একটি স্পেশালাইড ইউনিট স্থাপনের কাজ চলছে আমরা প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি।