পাথরঘাটা (বরগুনা) : বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতির মানববন্ধন -সংবাদ
বঙ্গোপসাগরে বড় ট্রলিং জাহাজের বাধার কারণে ছোট ট্রলারের জেলেরা মাছ ধরতে না পারায় এবং ওইসব জাহাজের জেলেরা ট্রলারের জেলেদের মাছ লুটে নিয়ে জাল কেটে দেওয়ার অভিযোগে গতকাল শনিবার পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে এক মানববন্ধন করা হয়েছে। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে এ মানববন্ধনে বরগুনার ছয়টি মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বর্তমান বছর সাগরে যথেষ্ট ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলেপল্লীর পরিবারগুলোর অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাছে। অনেকে ধারদেনা করে জাল কিনে ট্রলার সাগরে পাঠিয়েছে। কিন্তু সাগরে ট্রলিং জাহাজের জেলেরা বরগুনা জেলার অর্ধশতাধিক কাঠের তৈরি ট্রলারের শত শত মণ জাল কেটে নিয়ে গেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে ট্রলার ডুবিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। অনেক অনেক সময় বড় বড় ট্রেলিং জাহাজগুলো ছোট ছোট ট্রলার ডাকাতি করে ছোট ছোট ট্রলারগুলো সাগরে ডুবিয়ে দেয় এতে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটে। গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন ট্রলিং জাহাজের অত্যাচারে সাধারণ জেলেরা এখন সাগরে জাল ফেলতে পারছেন না। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। আলম মাঝি জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরে জাল ফেলেন। রাত ১টার দিকে একটি ট্রলিং জাহাজ এসে তাদের জালের মাছসহ চার থাক (দুই মন) জাল কেটে নিয়ে গেছে। জেলেরা প্রতিবাদ করতে গেলে তারা পাথর ছুড়ে মারে।
পরে ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে চলে আসেন তারা। তিনি বলেন, এক সাগরে একবার মাছ শিকার করতে গিয়ে ৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন জাল দড়ি কিনে আর সাগরে যাওয়ার মতো আমাদের কোনো সম্বল নেই। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন , চট্টগ্রামকেন্দ্রিক বড় ট্রলিং জাহাজগুলোর বঙ্গোপসাগরের ৪০ ফুট গভীরে মাছ ধরার কথা। কিন্তু তারা তা না করে ১০-১২ ফুট গভীরে এসে মাছ ধরছে।
এই গভীরতায় সাধারণ কাঠের তৈরি ট্রলারের জেলেরা মাছ ধরেন। বক্তারা বলেন, সাধারণ জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়লেই ট্রলিং জাহাজগুলো এসে মাছ লুটে নিয়ে যায়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মাঝি, আড়তদার সমিতির কোষাধাক্ষ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, পাথরঘাটা পাইকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিনসহ অনেকে।
ঘটনার সত্যতা শিকার করে পাথরঘাটা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক বলেন , জেলেদের অভিযোগের বিষয়টি সত্য। জেলেরা মামলা করলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
পাথরঘাটা (বরগুনা) : বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতির মানববন্ধন -সংবাদ
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে বড় ট্রলিং জাহাজের বাধার কারণে ছোট ট্রলারের জেলেরা মাছ ধরতে না পারায় এবং ওইসব জাহাজের জেলেরা ট্রলারের জেলেদের মাছ লুটে নিয়ে জাল কেটে দেওয়ার অভিযোগে গতকাল শনিবার পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে এক মানববন্ধন করা হয়েছে। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে এ মানববন্ধনে বরগুনার ছয়টি মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বর্তমান বছর সাগরে যথেষ্ট ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলেপল্লীর পরিবারগুলোর অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাছে। অনেকে ধারদেনা করে জাল কিনে ট্রলার সাগরে পাঠিয়েছে। কিন্তু সাগরে ট্রলিং জাহাজের জেলেরা বরগুনা জেলার অর্ধশতাধিক কাঠের তৈরি ট্রলারের শত শত মণ জাল কেটে নিয়ে গেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে ট্রলার ডুবিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। অনেক অনেক সময় বড় বড় ট্রেলিং জাহাজগুলো ছোট ছোট ট্রলার ডাকাতি করে ছোট ছোট ট্রলারগুলো সাগরে ডুবিয়ে দেয় এতে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটে। গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন ট্রলিং জাহাজের অত্যাচারে সাধারণ জেলেরা এখন সাগরে জাল ফেলতে পারছেন না। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। আলম মাঝি জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরে জাল ফেলেন। রাত ১টার দিকে একটি ট্রলিং জাহাজ এসে তাদের জালের মাছসহ চার থাক (দুই মন) জাল কেটে নিয়ে গেছে। জেলেরা প্রতিবাদ করতে গেলে তারা পাথর ছুড়ে মারে।
পরে ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে চলে আসেন তারা। তিনি বলেন, এক সাগরে একবার মাছ শিকার করতে গিয়ে ৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন জাল দড়ি কিনে আর সাগরে যাওয়ার মতো আমাদের কোনো সম্বল নেই। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন , চট্টগ্রামকেন্দ্রিক বড় ট্রলিং জাহাজগুলোর বঙ্গোপসাগরের ৪০ ফুট গভীরে মাছ ধরার কথা। কিন্তু তারা তা না করে ১০-১২ ফুট গভীরে এসে মাছ ধরছে।
এই গভীরতায় সাধারণ কাঠের তৈরি ট্রলারের জেলেরা মাছ ধরেন। বক্তারা বলেন, সাধারণ জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়লেই ট্রলিং জাহাজগুলো এসে মাছ লুটে নিয়ে যায়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মাঝি, আড়তদার সমিতির কোষাধাক্ষ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, পাথরঘাটা পাইকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিনসহ অনেকে।
ঘটনার সত্যতা শিকার করে পাথরঘাটা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক বলেন , জেলেদের অভিযোগের বিষয়টি সত্য। জেলেরা মামলা করলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।