টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার আঞ্চলিক সড়কের বেইলি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু -সংবাদ
টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার আঞ্চলিক সড়কের বেইলি সেতুর পাটাতনই যেন চলাচলকারীদের মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতুটি নির্মাণের পরপরই চারবার পাটাতন সরে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার স্বীকারও হয়েছিল। এছাড়া সেতুর নরবড়ে পাটাতন যেন চলাচলকারীদের প্রাণহানির শঙ্কা হয়ে উঠেছে। সেতুর নরবড়ে এই পাটাতন ভেঙে পড়লে জেলা শহরের সঙ্গে দেলদুয়ার উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার আঞ্চলিক সড়কের দুল্যা এলাকায় বেইলি সেতু দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সেতুর দুই প্রান্তে বড় দুটি সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে সতর্কতামূলক। সেই সাইনবোর্ডকে তোয়াক্কা না করেই চলছে ছোট-বড় যানবাহন। সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে বেশিরভাগ পাটাতন সরে নড়বড় অবস্থা। যানবাহন ওঠা মাত্রই সেতুটি ঝাঁকুনি দিয়ে উঠছে।
জানা যায়, প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু পারাপার হচ্ছে। জেলা শহর থেকে একমাত্র যোগাযোগের সড়ক হচ্ছে টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার উপজেলা সড়ক। আর এই সড়কের দেলদুয়ার উপজেলার দুল্যা এলাকায় বেইলি সেতু। বিগত ১৯৮৯ সালে এই বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকেই সেতুটি বিভিন্ন সময়ে পাটাতন সরে গেছে। এতে করে উপজেলার লাখ লাখ মানুষ ভোগান্তির শিকারও হয়েছে। বিগত ২০১৭ সালে একবার সেতুটির পাটাতন সরে একটি ট্রাক ডোবায় পড়ে জান-মালের ক্ষতি হয়। অপরদিকে বিগত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বও সামে সেতুটি আরও একবার পুরোপুরি পাটাতন সরে গিয়ে ডোবায় পড়ে যায়। সে সময়ও বেইলি সেতুর পাটাতন সরে গিয়ে ট্রাক ডোবায় পড়ে কয়েকজন মানুষ আহত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, সেতুর দু’পাশে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। এরপরও মানুষ সতর্ক হচ্ছে না। দেদারসে চলছে যানবাহন। এই সড়ক ছাড়া জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের বিকল্প কোনো সড়ক নেই। যার ফলে এই সেতুর ওপর যানবাহনের চাপ বেশি। রমজান আলী বলেন, এতো বড় বেইলী সেতুটি আমাদের কোনো কাজে লাগছে না। আমাদের উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। সেতুর ওপর দিয়ে কোনো ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। যার ফলে আমাদের সবকিছুতেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
টুকচানপুর গ্রামের সাজাহান খান বলেন, সেতুটি আগে কয়েকবার ভেঙে পড়ে উপজেলাবাসিকে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আবারো ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বেইলি সেতুর পাটাতন যেন বারবার সরে গিয়ে মানুষের জন্য মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ভেঙে পড়ার আগেই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি সেতুটি পুনর্নিমাণের। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তাহলে প্রশাসনের টনক নড়ছে না কেন। এ অবস্থায় সেতুটি রাখা উচিত না। টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার সড়কে সিএনজিচালিত অটো রিকশাচালক কামাল হোসেন বলেন, সেতু দিয়ে আমরা যখন পারাপার হই তখন সতর্কভাবেই চলি। কখন দুর্ঘটনা ঘটে সেটা তো বলা যাবে না। তবে আমাদের বিকল্প কোনো সড়ক নেই। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ড লাগিয়েছে শুধু ভারি যানবাহন চলাচল নিষেধের জন্য। এই সেতু আগে কয়েকবার ভেঙে পড়েছে। জোড়া তালি দিয়ে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করে দেয়। স্থায়ীভাবে সংস্কার না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, সেতুটি এভাবে ফেলে রাখলে যানবাহন পারাপার হবেই। এদিকে বর্ষার মৌসুমে সেতুর দু-প্রান্তে একবারে বন্ধ করে দিতে হবে। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা যেকোনো সময় ঘটতে পারে। বিগত দিনে বর্ষার মৌসুমে কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে এবার কর্তৃপক্ষের কঠিন নজরদারি রাখতে হবে। ডুবাইল ইউনিয়নের উজ্জল মিয়া জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও যমুনা সেতু মহাসড়কে মাঝে মধ্যেই যানজট হয়ে থাকে। আর সেই যানজট এড়াতে বিকল্প সড়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয় টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার উপজেলা সড়কটি। এর ফলে মহাসড়কের বড় বড় যানবাহন এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে। তাই দ্রুত সেতুটি পুনর্নিমাণের দাবি জানাচ্ছি। সিএনজি যাত্রী হ্যাপি আক্তার বলেন, ঝুঁকি নিয়েই আমাদের চলাচল করতে হয়। তা না হলে অনেক রাস্তা ঘুরে পাকুল্লা অথবা নাগরপুরের সড়ক দিয়ে জেলা শহরে যেতে হবে। এতে করে আমাদের যাতায়াতের খরচ তিনগুণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সময়ও অনেক লাগবে। সেই হিসাব করেই আমরা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হই।
দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি নেতা এসএম ফেরদৌস বলেন, এই সেতুটি উপজেলাবাসির যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সেতু দিয়ে টাঙ্গাইল জেলার সঙ্গে মানিকগঞ্জ জেলার যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়াও জেলার কয়েকটি উপজেলার সঙ্গে সেতুর মাধ্যমে মেলবন্ধন রয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, নাগরপুর, দেলদুয়ার, সাটুরিয়া, সখীপুর, বাসাইলসহ বেশকয়েকটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকে। দ্রুত নতুন একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই। এই সেতুর পিলার ঠিক থাকলেও পাটাতনগুলো সরে যায়। যার ফলে সেতুটি একদিকে হেলে পড়ে। এভাবে পরপর চারবার ভেঙ্গে পড়েছে। এতে করে কয়েকটি উপজেলার মানুষের জানমালের ক্ষতি হয়।
দেলদুয়ার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ জানান, দেলদুয়ারের দুটি অংশে বেহাল দশা থাকায় উপজেলাবাসীর চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এর মধ্যে দেলদুয়ার থেকে পাকুল্লার রোড এবং দেলদুয়ার থেকে জেলা শহরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার রোড। এই রোডে দেলদুয়ারের দুল্যা এলাকায় একটি বেইলি ব্রিজ রয়েছে। সেই ব্রিজটি কয়েকবার ভাঙ্গনের শিকার হয়েছিল। বর্তমানে ব্রিজটি ঝুঁকিতে রয়েছে। সেই বেইলি ব্রিজের জন্য আবেদন দেওয়া হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে একটি প্রজেক্ট পাস হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই ব্রিজের কাজ ধরতে পারবো। এদিকে দেলদুয়ার থেকে পাকুল্লা রোডের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার আঞ্চলিক সড়কের বেইলি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু -সংবাদ
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার আঞ্চলিক সড়কের বেইলি সেতুর পাটাতনই যেন চলাচলকারীদের মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতুটি নির্মাণের পরপরই চারবার পাটাতন সরে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার স্বীকারও হয়েছিল। এছাড়া সেতুর নরবড়ে পাটাতন যেন চলাচলকারীদের প্রাণহানির শঙ্কা হয়ে উঠেছে। সেতুর নরবড়ে এই পাটাতন ভেঙে পড়লে জেলা শহরের সঙ্গে দেলদুয়ার উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার আঞ্চলিক সড়কের দুল্যা এলাকায় বেইলি সেতু দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সেতুর দুই প্রান্তে বড় দুটি সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে সতর্কতামূলক। সেই সাইনবোর্ডকে তোয়াক্কা না করেই চলছে ছোট-বড় যানবাহন। সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে বেশিরভাগ পাটাতন সরে নড়বড় অবস্থা। যানবাহন ওঠা মাত্রই সেতুটি ঝাঁকুনি দিয়ে উঠছে।
জানা যায়, প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু পারাপার হচ্ছে। জেলা শহর থেকে একমাত্র যোগাযোগের সড়ক হচ্ছে টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার উপজেলা সড়ক। আর এই সড়কের দেলদুয়ার উপজেলার দুল্যা এলাকায় বেইলি সেতু। বিগত ১৯৮৯ সালে এই বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকেই সেতুটি বিভিন্ন সময়ে পাটাতন সরে গেছে। এতে করে উপজেলার লাখ লাখ মানুষ ভোগান্তির শিকারও হয়েছে। বিগত ২০১৭ সালে একবার সেতুটির পাটাতন সরে একটি ট্রাক ডোবায় পড়ে জান-মালের ক্ষতি হয়। অপরদিকে বিগত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বও সামে সেতুটি আরও একবার পুরোপুরি পাটাতন সরে গিয়ে ডোবায় পড়ে যায়। সে সময়ও বেইলি সেতুর পাটাতন সরে গিয়ে ট্রাক ডোবায় পড়ে কয়েকজন মানুষ আহত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, সেতুর দু’পাশে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। এরপরও মানুষ সতর্ক হচ্ছে না। দেদারসে চলছে যানবাহন। এই সড়ক ছাড়া জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের বিকল্প কোনো সড়ক নেই। যার ফলে এই সেতুর ওপর যানবাহনের চাপ বেশি। রমজান আলী বলেন, এতো বড় বেইলী সেতুটি আমাদের কোনো কাজে লাগছে না। আমাদের উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। সেতুর ওপর দিয়ে কোনো ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। যার ফলে আমাদের সবকিছুতেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
টুকচানপুর গ্রামের সাজাহান খান বলেন, সেতুটি আগে কয়েকবার ভেঙে পড়ে উপজেলাবাসিকে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আবারো ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বেইলি সেতুর পাটাতন যেন বারবার সরে গিয়ে মানুষের জন্য মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ভেঙে পড়ার আগেই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি সেতুটি পুনর্নিমাণের। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তাহলে প্রশাসনের টনক নড়ছে না কেন। এ অবস্থায় সেতুটি রাখা উচিত না। টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার সড়কে সিএনজিচালিত অটো রিকশাচালক কামাল হোসেন বলেন, সেতু দিয়ে আমরা যখন পারাপার হই তখন সতর্কভাবেই চলি। কখন দুর্ঘটনা ঘটে সেটা তো বলা যাবে না। তবে আমাদের বিকল্প কোনো সড়ক নেই। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ড লাগিয়েছে শুধু ভারি যানবাহন চলাচল নিষেধের জন্য। এই সেতু আগে কয়েকবার ভেঙে পড়েছে। জোড়া তালি দিয়ে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করে দেয়। স্থায়ীভাবে সংস্কার না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, সেতুটি এভাবে ফেলে রাখলে যানবাহন পারাপার হবেই। এদিকে বর্ষার মৌসুমে সেতুর দু-প্রান্তে একবারে বন্ধ করে দিতে হবে। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা যেকোনো সময় ঘটতে পারে। বিগত দিনে বর্ষার মৌসুমে কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে এবার কর্তৃপক্ষের কঠিন নজরদারি রাখতে হবে। ডুবাইল ইউনিয়নের উজ্জল মিয়া জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও যমুনা সেতু মহাসড়কে মাঝে মধ্যেই যানজট হয়ে থাকে। আর সেই যানজট এড়াতে বিকল্প সড়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয় টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার উপজেলা সড়কটি। এর ফলে মহাসড়কের বড় বড় যানবাহন এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে। তাই দ্রুত সেতুটি পুনর্নিমাণের দাবি জানাচ্ছি। সিএনজি যাত্রী হ্যাপি আক্তার বলেন, ঝুঁকি নিয়েই আমাদের চলাচল করতে হয়। তা না হলে অনেক রাস্তা ঘুরে পাকুল্লা অথবা নাগরপুরের সড়ক দিয়ে জেলা শহরে যেতে হবে। এতে করে আমাদের যাতায়াতের খরচ তিনগুণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সময়ও অনেক লাগবে। সেই হিসাব করেই আমরা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হই।
দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি নেতা এসএম ফেরদৌস বলেন, এই সেতুটি উপজেলাবাসির যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সেতু দিয়ে টাঙ্গাইল জেলার সঙ্গে মানিকগঞ্জ জেলার যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়াও জেলার কয়েকটি উপজেলার সঙ্গে সেতুর মাধ্যমে মেলবন্ধন রয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, নাগরপুর, দেলদুয়ার, সাটুরিয়া, সখীপুর, বাসাইলসহ বেশকয়েকটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকে। দ্রুত নতুন একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই। এই সেতুর পিলার ঠিক থাকলেও পাটাতনগুলো সরে যায়। যার ফলে সেতুটি একদিকে হেলে পড়ে। এভাবে পরপর চারবার ভেঙ্গে পড়েছে। এতে করে কয়েকটি উপজেলার মানুষের জানমালের ক্ষতি হয়।
দেলদুয়ার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ জানান, দেলদুয়ারের দুটি অংশে বেহাল দশা থাকায় উপজেলাবাসীর চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এর মধ্যে দেলদুয়ার থেকে পাকুল্লার রোড এবং দেলদুয়ার থেকে জেলা শহরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার রোড। এই রোডে দেলদুয়ারের দুল্যা এলাকায় একটি বেইলি ব্রিজ রয়েছে। সেই ব্রিজটি কয়েকবার ভাঙ্গনের শিকার হয়েছিল। বর্তমানে ব্রিজটি ঝুঁকিতে রয়েছে। সেই বেইলি ব্রিজের জন্য আবেদন দেওয়া হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে একটি প্রজেক্ট পাস হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই ব্রিজের কাজ ধরতে পারবো। এদিকে দেলদুয়ার থেকে পাকুল্লা রোডের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।