শিবচর (মাদারীপুর) : আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন রোদে মানববন্ধন -সংবাদ
মাদারীপুরের শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর উৎরাইল এলাকায় নির্মিত সেতু সংলগ্ন এলাকায় নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এসময় সেতু সংলগ্ন এলাকায় বালু উত্তোলন বন্ধের দাবী জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান,’চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে আড়িয়াল খা নদের উপর শিরুয়াইল ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকায় নির্মিত সেতুটির পশ্চিম প্রান্তের দক্ষিণ পাশে সেতুটির পাশেই নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক মাসে অন্তত ২শত মিটার ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েছে নদী। এবং নদীর পার ঘেঁষেই প্রবল ঘূর্ণি স্রোত রয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিক এলাকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনে শিবচর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু জাফর চৌধুরী সহ উৎরাইল ও আশেপাশের এলাকার শতাধিক মানুষ অংশ নেন। আবু জাফর চৌধুরী বলেন,’সেতুটির মাধ্যমে শিবচর সদরের সাথে শিরুয়াইল, দত্তপাড়া, নিলখী ইউনিয়নসহ আশেপাশের এলাকার অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। সেতুটি প্রায় ২ বছর ধরে আগে চালু হলেও এখানে নদী শাসন বাঁধ দেয়া হয়নি। এ বছর বর্ষা মৌসুমে সেতুর নিচসহ এক পাশজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।’
শিবচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটিতে স্প্যান সংখ্যা ১১টি এবং পিয়ার সংখ্যা নয়টি। সেতুটির পাইলের সংখ্যা ১২৩টি, পাইলের দৈর্ঘ্য ৪৮ মিটার। সেতুর জন্য অ্যাপ্রোচ সড়কের (সংযোগ সড়ক) দৈর্ঘ্য ১.৫০ কিলোমিটার। ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মইন উদ্দীন বাঁশি ও হা-মিম ইন্টারন্যাশনাল। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
জানতে চাইলে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম জানান,’আমরা ডিসির বরাবরে চিঠি দিয়েছি। ব্রীজের চতুর্দিকে ৩০০ মিটারের মধ্যে জমাকৃত বালি না কাটা বা বিক্রি না করা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নদী শাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করে পত্র প্রদান করা হয়েছে।’
শিবচর (মাদারীপুর) : আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন রোদে মানববন্ধন -সংবাদ
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
মাদারীপুরের শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর উৎরাইল এলাকায় নির্মিত সেতু সংলগ্ন এলাকায় নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এসময় সেতু সংলগ্ন এলাকায় বালু উত্তোলন বন্ধের দাবী জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান,’চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে আড়িয়াল খা নদের উপর শিরুয়াইল ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকায় নির্মিত সেতুটির পশ্চিম প্রান্তের দক্ষিণ পাশে সেতুটির পাশেই নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক মাসে অন্তত ২শত মিটার ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েছে নদী। এবং নদীর পার ঘেঁষেই প্রবল ঘূর্ণি স্রোত রয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিক এলাকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনে শিবচর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু জাফর চৌধুরী সহ উৎরাইল ও আশেপাশের এলাকার শতাধিক মানুষ অংশ নেন। আবু জাফর চৌধুরী বলেন,’সেতুটির মাধ্যমে শিবচর সদরের সাথে শিরুয়াইল, দত্তপাড়া, নিলখী ইউনিয়নসহ আশেপাশের এলাকার অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। সেতুটি প্রায় ২ বছর ধরে আগে চালু হলেও এখানে নদী শাসন বাঁধ দেয়া হয়নি। এ বছর বর্ষা মৌসুমে সেতুর নিচসহ এক পাশজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।’
শিবচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটিতে স্প্যান সংখ্যা ১১টি এবং পিয়ার সংখ্যা নয়টি। সেতুটির পাইলের সংখ্যা ১২৩টি, পাইলের দৈর্ঘ্য ৪৮ মিটার। সেতুর জন্য অ্যাপ্রোচ সড়কের (সংযোগ সড়ক) দৈর্ঘ্য ১.৫০ কিলোমিটার। ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মইন উদ্দীন বাঁশি ও হা-মিম ইন্টারন্যাশনাল। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
জানতে চাইলে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম জানান,’আমরা ডিসির বরাবরে চিঠি দিয়েছি। ব্রীজের চতুর্দিকে ৩০০ মিটারের মধ্যে জমাকৃত বালি না কাটা বা বিক্রি না করা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নদী শাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করে পত্র প্রদান করা হয়েছে।’