ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পটুয়াখালীর বাউফলে নিখোঁজের ৩১ ঘন্টা পর মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেনির শিক্ষার্থী উর্মি আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে বাউফল থানা পুলিশ। গত শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভুখালী-নায়ায়নপাশা গ্রামের একটি খালের জলাপকাট এলাকায় ওই কিশোরীর লাশ তার পরিচিত একজন দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
ঊর্মি আক্তার উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামের রিক্সা চালক নজরুল ইসলাম বয়াতি ও আমেনা বেগম দম্পতির মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। আর্থিক অভাব অনটনের কারণে কিছু দিন আগে মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
ঊর্মি আক্তারের মা আমেনা বেগম (২৬) বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া একটার দিকে মেজো মেয়ে লামিয়াকে নিয়ে প্রকৃতির ডাকে বাইরে যায় ঊর্মি। দীর্ঘক্ষন ধরে দুই বোন ঘরে ফিরে না আসায় বাইরে গিয়ে তিনি লামিয়াকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। কিন্তু ঊর্মিকে না দেখে তিনি চিৎকার শুরু করেন। তিনি আরও বলেন, লামিয়ার ভাষ্যমতে ঝাঁজালো গন্ধে সে অচেতন হয়ে পড়ে। চার-পাঁচজন তার মেয়ে ঊর্মিকে অপহরণের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে খালে ফেলে দিয়েছে। তিনি এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই। বাউফল থানার ওসি মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ঊর্মির খোঁজ না পেয়ে তার মা আমেনা বেগম শুক্রবার দুপুরে বাউফল থানায় আসেন। দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা তখন দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য যান। তাকে (আমেনা বেগম) অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি অপেক্ষা না করে চলে যান।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
পটুয়াখালীর বাউফলে নিখোঁজের ৩১ ঘন্টা পর মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেনির শিক্ষার্থী উর্মি আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে বাউফল থানা পুলিশ। গত শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভুখালী-নায়ায়নপাশা গ্রামের একটি খালের জলাপকাট এলাকায় ওই কিশোরীর লাশ তার পরিচিত একজন দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
ঊর্মি আক্তার উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামের রিক্সা চালক নজরুল ইসলাম বয়াতি ও আমেনা বেগম দম্পতির মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। আর্থিক অভাব অনটনের কারণে কিছু দিন আগে মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
ঊর্মি আক্তারের মা আমেনা বেগম (২৬) বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া একটার দিকে মেজো মেয়ে লামিয়াকে নিয়ে প্রকৃতির ডাকে বাইরে যায় ঊর্মি। দীর্ঘক্ষন ধরে দুই বোন ঘরে ফিরে না আসায় বাইরে গিয়ে তিনি লামিয়াকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। কিন্তু ঊর্মিকে না দেখে তিনি চিৎকার শুরু করেন। তিনি আরও বলেন, লামিয়ার ভাষ্যমতে ঝাঁজালো গন্ধে সে অচেতন হয়ে পড়ে। চার-পাঁচজন তার মেয়ে ঊর্মিকে অপহরণের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে খালে ফেলে দিয়েছে। তিনি এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই। বাউফল থানার ওসি মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ঊর্মির খোঁজ না পেয়ে তার মা আমেনা বেগম শুক্রবার দুপুরে বাউফল থানায় আসেন। দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা তখন দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য যান। তাকে (আমেনা বেগম) অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি অপেক্ষা না করে চলে যান।