খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় যুবদল নেতা এস এম শামীম হোসেন হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ বা তাঁর পরিবার। তদন্তে মাদকসংশ্লিষ্টতা, পারিবারিক বিষয়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, আর্থিক লেনদেন ও পূর্বশত্রুতাসহ একাধিক দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনার দুই দিন পরও থানায় কোনো মামলা হয়নি।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার আঠারোমাইল এলাকায় নিজবাড়ির তিনতলায় গলা কেটে হত্যা করা হয় শামীমকে। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। শনিবার বিকেলে তালার উথালিগ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কোন্দলপুর গ্রামের ইজাজুল ইসলাম ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম সরদারকে আটক করে পুলিশ। তবে শনিবার রাতে তাঁদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শামীমের মা–বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। প্রায় ২৫ বছর আগে তাঁরা তালার উথালিগ্রাম থেকে আঠারোমাইলে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। শামীম একসময় আঠারোমাইল বাজারে মোটরসাইকেল মেকানিকের কাজ করতেন। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। নিচতলা ভাড়া দেওয়া, আর তিনতলায় কোনো সদস্য না থাকলেও সেখানে প্রায়ই বহিরাগত মাদকসেবীদের আড্ডা বসত।
শামীমের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার জানান, প্রতিদিন রাতে বহিরাগতরা সেখানে সাউন্ড বক্স বাজাত ও নেশা করত। পরিবারের কাউকে যেতে দেওয়া হতো না। শরিফুল ও এজাজুল নিয়মিত আসতেন এবং ঘটনার দিন সন্ধ্যাতেও এসেছিলেন। স্বামীকে মাদক সেবন থেকে বিরত থাকতে বললেও তিনি শোনেননি, বরং উল্টো ধমক দিতেন। দেড় বছর আগে তিনি নিজের গ্যারেজ ছেড়ে দেন। সংসার চলত শাশুড়ির পেনশন ও ভাড়ার টাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, শামীমের নামে কোনো মাদক মামলা নেই, তবে তিনি মাদক সেবন করতেন। ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা হয়নি, তবে প্রক্রিয়া চলছে। সন্দেহভাজন দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের আবার ডাকা হবে।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শরিফুল ও এজাজুল শামীমের বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং প্রায় এক ঘণ্টা পর বেরিয়ে যান। এর কিছু পর শামীম ও তাঁর শ্যালক বাইরে যান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁরা ফেরেন। খাবারের পর আবার শামীম বের হন। রাত ১১টার দিকে তাঁর গলাকাটা লাশ তিনতলায় পাওয়া যায়।
ওসি মাসুদ রানা বলেন, মাদকসংশ্লিষ্টতা, পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিষয়, আর্থিক লেনদেন ও পূর্বশত্রুতা—সব দিক মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় যুবদল নেতা এস এম শামীম হোসেন হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ বা তাঁর পরিবার। তদন্তে মাদকসংশ্লিষ্টতা, পারিবারিক বিষয়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, আর্থিক লেনদেন ও পূর্বশত্রুতাসহ একাধিক দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনার দুই দিন পরও থানায় কোনো মামলা হয়নি।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার আঠারোমাইল এলাকায় নিজবাড়ির তিনতলায় গলা কেটে হত্যা করা হয় শামীমকে। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। শনিবার বিকেলে তালার উথালিগ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কোন্দলপুর গ্রামের ইজাজুল ইসলাম ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম সরদারকে আটক করে পুলিশ। তবে শনিবার রাতে তাঁদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শামীমের মা–বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। প্রায় ২৫ বছর আগে তাঁরা তালার উথালিগ্রাম থেকে আঠারোমাইলে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। শামীম একসময় আঠারোমাইল বাজারে মোটরসাইকেল মেকানিকের কাজ করতেন। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। নিচতলা ভাড়া দেওয়া, আর তিনতলায় কোনো সদস্য না থাকলেও সেখানে প্রায়ই বহিরাগত মাদকসেবীদের আড্ডা বসত।
শামীমের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার জানান, প্রতিদিন রাতে বহিরাগতরা সেখানে সাউন্ড বক্স বাজাত ও নেশা করত। পরিবারের কাউকে যেতে দেওয়া হতো না। শরিফুল ও এজাজুল নিয়মিত আসতেন এবং ঘটনার দিন সন্ধ্যাতেও এসেছিলেন। স্বামীকে মাদক সেবন থেকে বিরত থাকতে বললেও তিনি শোনেননি, বরং উল্টো ধমক দিতেন। দেড় বছর আগে তিনি নিজের গ্যারেজ ছেড়ে দেন। সংসার চলত শাশুড়ির পেনশন ও ভাড়ার টাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, শামীমের নামে কোনো মাদক মামলা নেই, তবে তিনি মাদক সেবন করতেন। ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা হয়নি, তবে প্রক্রিয়া চলছে। সন্দেহভাজন দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের আবার ডাকা হবে।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শরিফুল ও এজাজুল শামীমের বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং প্রায় এক ঘণ্টা পর বেরিয়ে যান। এর কিছু পর শামীম ও তাঁর শ্যালক বাইরে যান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁরা ফেরেন। খাবারের পর আবার শামীম বের হন। রাত ১১টার দিকে তাঁর গলাকাটা লাশ তিনতলায় পাওয়া যায়।
ওসি মাসুদ রানা বলেন, মাদকসংশ্লিষ্টতা, পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিষয়, আর্থিক লেনদেন ও পূর্বশত্রুতা—সব দিক মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।