ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোখলেসুর রহমানের মন্তব্যের পর অবশেষে ঘুম ভাঙলো বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)’র। গত শুক্রবার সাদা পাথর পরিদর্শনের পর উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানানো হয় বিজিবির পক্ষ থেকে। গত সপ্তাহখানেক ধরে দেশব্যাপী আলোচিত এক ঘটনায় নিশ্চুপ ছিল বিজিবি। যদিও দুদকের প্রাথমিক প্রতিবেদনে সাদা পাথর লুটপাটে বিজিবি সদস্যদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে জৈন্তাপুরের লালাখাল এলাকায় টহল কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব একথা জানান সিলেট-১৯ বিজিবির সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার।
১৯ বিজিবির সিও দাবি করেন, সাদাপাথর লুটপাটে জড়িয়ে বিজিবি সম্পর্কে অপতথ্য প্রচার হচ্ছে।
সাম্প্রতিক লুটপাটের পর, বিজিবি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে জনবল বৃদ্ধিসহ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া গত ২ মাসে পাথর চুরিতে ব্যবহৃত ৬ শতাধিক বারকি নৌকা জব্দসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিজিবি।
তিনি দাবি করেন, বিজিবি সার্বক্ষণিকভাবে তাদের আওতাধীন এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছে। একারণেই বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন এলাকায় পাথর লুটপাট করতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।
অধিক পরিমানে প্রশাসনের সাথে সমন্বিত টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হলে, সম্প্রতি এত ব্যাপকভাবে লুটপাট সম্ভব হতোনা বলেও মন্তব্য করেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রের পাশেই বিজিবি ক্যাম্প, তবু হয়েছে হরিলুট। আর তাই সিলেটে পাথর লুটপাটের দায় বিজিবি কোনোভাবেই এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোখলেছুর রহমান। পাথর লুটপাটের ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের করা তদন্ত দল নিয়ে শুক্রবার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি। তদন্ত দল আগামী ১০ দিনের মধ্যে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন জমা দেবেন।
এর আগে গত শুক্রবার সকালে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শনকালে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোখলেছুর রহমান জানিয়েছিলেন, সাদাপাথর লুটে বিজিবি কোন অবস্থাতেই তাদের দায় এড়াতে পারে না। তিনি পাথর লুটপাটে প্রভাবশালী রাজনীতিক বা প্রশাসনের বড়কর্তাদের যারা জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান ।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনেও বিজিবি সদস্যদের লুটপাটে জড়ানোর তথ্য আসে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোখলেসুর রহমানের মন্তব্যের পর অবশেষে ঘুম ভাঙলো বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)’র। গত শুক্রবার সাদা পাথর পরিদর্শনের পর উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানানো হয় বিজিবির পক্ষ থেকে। গত সপ্তাহখানেক ধরে দেশব্যাপী আলোচিত এক ঘটনায় নিশ্চুপ ছিল বিজিবি। যদিও দুদকের প্রাথমিক প্রতিবেদনে সাদা পাথর লুটপাটে বিজিবি সদস্যদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে জৈন্তাপুরের লালাখাল এলাকায় টহল কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব একথা জানান সিলেট-১৯ বিজিবির সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার।
১৯ বিজিবির সিও দাবি করেন, সাদাপাথর লুটপাটে জড়িয়ে বিজিবি সম্পর্কে অপতথ্য প্রচার হচ্ছে।
সাম্প্রতিক লুটপাটের পর, বিজিবি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে জনবল বৃদ্ধিসহ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া গত ২ মাসে পাথর চুরিতে ব্যবহৃত ৬ শতাধিক বারকি নৌকা জব্দসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিজিবি।
তিনি দাবি করেন, বিজিবি সার্বক্ষণিকভাবে তাদের আওতাধীন এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছে। একারণেই বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন এলাকায় পাথর লুটপাট করতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।
অধিক পরিমানে প্রশাসনের সাথে সমন্বিত টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হলে, সম্প্রতি এত ব্যাপকভাবে লুটপাট সম্ভব হতোনা বলেও মন্তব্য করেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রের পাশেই বিজিবি ক্যাম্প, তবু হয়েছে হরিলুট। আর তাই সিলেটে পাথর লুটপাটের দায় বিজিবি কোনোভাবেই এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোখলেছুর রহমান। পাথর লুটপাটের ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের করা তদন্ত দল নিয়ে শুক্রবার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি। তদন্ত দল আগামী ১০ দিনের মধ্যে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন জমা দেবেন।
এর আগে গত শুক্রবার সকালে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শনকালে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোখলেছুর রহমান জানিয়েছিলেন, সাদাপাথর লুটে বিজিবি কোন অবস্থাতেই তাদের দায় এড়াতে পারে না। তিনি পাথর লুটপাটে প্রভাবশালী রাজনীতিক বা প্রশাসনের বড়কর্তাদের যারা জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান ।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনেও বিজিবি সদস্যদের লুটপাটে জড়ানোর তথ্য আসে।