২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৩০ জন , মৃত্যু ১
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৩০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার,(২৪ আগস্ট ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৬৩২ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১১৫ জন। এসব তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত।
সেই তথ্য বলেছে, ডেঙ্গুতে এ বছর আক্রান্ত হয়ে শুধু রাজধানীতে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মোট মৃত্যুর ৫৭ শতাংশেরও বেশি। ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫৫ জন। এ পরিসংখ্যান যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তাদের। কিন্তু যারা হাসপাতালে যাননি। তাদের সংখ্যা এখানে নাই। তাই চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট অনেকেরই আশঙ্কা তাদের তথ্য জানা গেলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত : বরিশাল বিভাগে ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৯ জন, ঢাকা বিভাগে ৫৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ৪৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪২ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন।
বয়স ভেদে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ২৭টি, ৬-১০ বছর বয়সের ১১ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ২০ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৫০ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৫৯ জন, ৭৬-৮০ বছর বয়সের ৫ জন,৭১-৭৫ বছর বয়সের ২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এভাবে নানা বয়সের মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। আবার মারাও যাচ্ছে।
যারা এখনও হাসপাতালে:
আক্রান্তদের মধে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৪৩ জন, সোহ্রাওয়ার্দীতে ১৪ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৯ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৫২ জন। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনও ২৯৪ জন ভর্তি আছে। এভাবে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখনও ১২৮১ জন ভর্তি আছে।
মশার কামড়ে তিন রোগ:
এডিস মশার কামড়ে তিন ধরনের ভাইরাস জনিত রোগ ছড়ায়। এর মধ্যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এসব ভাইরাসের উপসর্গের মধ্যে অনেকটা মিলও আছে। ফলে চিকিৎসক ও রোগী উভয়ের জন্যই প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ কঠিন হয়ে পড়ে। এতে যেমন চিকিৎসার বিলম্ব ঘটে। তেমনি রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনাও বাড়ে। এ কারণে রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধে একসঙ্গে তিনটি ভাইরাসের স্ক্রিনিং পরীক্ষা চালু করাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মশাবাহিত রোগ শনাক্ত হলে তা দ্রুত মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে একটি সুসংহত কাঠামো গড়ে তোলা অপরিহার্য। তার জন্য প্রথমে রোগ নজরদারি বা সার্ভিল্যান্স ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে।
দেশের প্রতিটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়মিত রিপোটিং সিস্টেম চালু করতে হবে। সন্দেহভাজন রোগীদের দ্রুত পরীক্ষা ও রিপোটিংয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
আর প্রতিটি জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালে র্যাপিড ডায়াগোনস্টিক কিটের মতো পরীক্ষার সুযোগ থাকতে হবে। যাতে দ্রুত রোগ শনাক্ত করা যায়। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি।
দেশের একটি স্থায়ী জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা সংস্থা, অভিজ্ঞ কীটতত্ত্ব ও ভাইরোলজিস্ট ও চিকিৎসক থাকবেন। নতুন কোনো ভাইরাস শনাক্ত হলে এ কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে পর্যালোচনা করে সুপারিশ করতে পারবে। আর জরুরি অবস্থা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেন।
করোনাভাইরাস: আক্রান্ত ১ জনের মৃত্যু
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের রোববার পর্যন্ত করোনায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত ৭২৭ জন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর থেকে রোববার পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ, ৫২ হাজার ২৭২ জনের। সেই থেকে রোববার পর্যন্ত এই ভাইরাসে মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৫৩১ জনের।
লিঙ্গ বিবেচনায় পুরুষ মারা গেছেন ৬৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ। মহিলা মারা গেছেন ৩৬ দশমিক ২২ শতাংশ।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার দুই মাস পর আক্রান্ত হয়েছিল বাংলাদেশেও। এরপর নানা উদ্যোগ আর আতংকের মধ্যে মাস্ক পরাসহ ধাপে ধাপে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়েছে বেশ কিছুদিন।
সেই সময় লকডাউনে বিভিন্ন অফিস, আদালত, স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। পরে কার্যক্রম চলে অনলাইনে। অনেকেই চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এনবি-১.৮.১ এর সংক্রমণ বাড়ার খবর মিলছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এখন করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে গত ৫ জুন প্রথম একজনের প্রথম মৃত্যুর খবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেড় বছরের মধ্যে এটি প্রথম মৃত্যু বলে জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ: বারবার সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে। নাক, মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে। অপরিষ্কার হাতে, চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না। হাঁচি-কাশির সময় বাহু, টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক, মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
সন্দেহভাজন রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়: অসুস্থ হলে ঘরে থাকা, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। রোগীর নাক, মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। দরকার হলে আইডিডিআর’বির হটলাইনে যোগাযোগ করতে হবে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৩০ জন , মৃত্যু ১
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৩০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার,(২৪ আগস্ট ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৬৩২ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১১৫ জন। এসব তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত।
সেই তথ্য বলেছে, ডেঙ্গুতে এ বছর আক্রান্ত হয়ে শুধু রাজধানীতে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মোট মৃত্যুর ৫৭ শতাংশেরও বেশি। ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫৫ জন। এ পরিসংখ্যান যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তাদের। কিন্তু যারা হাসপাতালে যাননি। তাদের সংখ্যা এখানে নাই। তাই চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট অনেকেরই আশঙ্কা তাদের তথ্য জানা গেলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত : বরিশাল বিভাগে ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৯ জন, ঢাকা বিভাগে ৫৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ৪৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪২ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন।
বয়স ভেদে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ২৭টি, ৬-১০ বছর বয়সের ১১ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ২০ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৫০ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৫৯ জন, ৭৬-৮০ বছর বয়সের ৫ জন,৭১-৭৫ বছর বয়সের ২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এভাবে নানা বয়সের মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। আবার মারাও যাচ্ছে।
যারা এখনও হাসপাতালে:
আক্রান্তদের মধে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৪৩ জন, সোহ্রাওয়ার্দীতে ১৪ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৯ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৫২ জন। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনও ২৯৪ জন ভর্তি আছে। এভাবে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখনও ১২৮১ জন ভর্তি আছে।
মশার কামড়ে তিন রোগ:
এডিস মশার কামড়ে তিন ধরনের ভাইরাস জনিত রোগ ছড়ায়। এর মধ্যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এসব ভাইরাসের উপসর্গের মধ্যে অনেকটা মিলও আছে। ফলে চিকিৎসক ও রোগী উভয়ের জন্যই প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ কঠিন হয়ে পড়ে। এতে যেমন চিকিৎসার বিলম্ব ঘটে। তেমনি রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনাও বাড়ে। এ কারণে রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধে একসঙ্গে তিনটি ভাইরাসের স্ক্রিনিং পরীক্ষা চালু করাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মশাবাহিত রোগ শনাক্ত হলে তা দ্রুত মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে একটি সুসংহত কাঠামো গড়ে তোলা অপরিহার্য। তার জন্য প্রথমে রোগ নজরদারি বা সার্ভিল্যান্স ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে।
দেশের প্রতিটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়মিত রিপোটিং সিস্টেম চালু করতে হবে। সন্দেহভাজন রোগীদের দ্রুত পরীক্ষা ও রিপোটিংয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
আর প্রতিটি জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালে র্যাপিড ডায়াগোনস্টিক কিটের মতো পরীক্ষার সুযোগ থাকতে হবে। যাতে দ্রুত রোগ শনাক্ত করা যায়। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি।
দেশের একটি স্থায়ী জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা সংস্থা, অভিজ্ঞ কীটতত্ত্ব ও ভাইরোলজিস্ট ও চিকিৎসক থাকবেন। নতুন কোনো ভাইরাস শনাক্ত হলে এ কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে পর্যালোচনা করে সুপারিশ করতে পারবে। আর জরুরি অবস্থা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেন।
করোনাভাইরাস: আক্রান্ত ১ জনের মৃত্যু
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের রোববার পর্যন্ত করোনায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত ৭২৭ জন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর থেকে রোববার পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ, ৫২ হাজার ২৭২ জনের। সেই থেকে রোববার পর্যন্ত এই ভাইরাসে মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৫৩১ জনের।
লিঙ্গ বিবেচনায় পুরুষ মারা গেছেন ৬৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ। মহিলা মারা গেছেন ৩৬ দশমিক ২২ শতাংশ।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার দুই মাস পর আক্রান্ত হয়েছিল বাংলাদেশেও। এরপর নানা উদ্যোগ আর আতংকের মধ্যে মাস্ক পরাসহ ধাপে ধাপে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়েছে বেশ কিছুদিন।
সেই সময় লকডাউনে বিভিন্ন অফিস, আদালত, স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। পরে কার্যক্রম চলে অনলাইনে। অনেকেই চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এনবি-১.৮.১ এর সংক্রমণ বাড়ার খবর মিলছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এখন করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে গত ৫ জুন প্রথম একজনের প্রথম মৃত্যুর খবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেড় বছরের মধ্যে এটি প্রথম মৃত্যু বলে জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ: বারবার সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে। নাক, মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে। অপরিষ্কার হাতে, চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না। হাঁচি-কাশির সময় বাহু, টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক, মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
সন্দেহভাজন রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়: অসুস্থ হলে ঘরে থাকা, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। রোগীর নাক, মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। দরকার হলে আইডিডিআর’বির হটলাইনে যোগাযোগ করতে হবে।