ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ও তদন্তের পর রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শহীদুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মো. আশরাফুল ইসলাম।
গত ৮ বছর আগে চাকরিচ্যুত ২৫ জনকে অসাধারণ ছুটি দেখিয়ে নিয়োগদান, গোপনে বাজেট পাস দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা অপব্যায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় বর্তমান প্রশাসক শহীদুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
গত ১৯ আগস্টে দেয়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশ নামায় নয়া প্রশাসক আশরাফুল ইসলামকে আগামীকাল রংপুর সিটি করপোরেশনে যোগদান করার কথা বলা হয়েছে। যুগ্ম সচিব আবুল হায়াত মো. রফিক স্বাক্ষরিত আদেশে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ে যোগ না দিলে তিনি ওইদিন দুপুর থেকে স্ট্যান্ডরিলিজ বলে গণ্য হবেন।
মো. আশরাফুল ইসলাম ময়মনসিংহ বিভাগের সদর দপ্তর স্থাপন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রসিকের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সদ্য অব্যাহতি পাওয়া শহীদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে আট বছর আগে আনীত অভিযোগ তদন্তে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি ওই ২৫ জন কর্মচারীকে নিয়োগ না দেবার লিখিত সুপারিশ করলেও প্রশাসক শহীদুল ইসলাম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়োগ দেন। শুধু তাই নয় ২৫ জনকে করপোরেশনের বিভিন্ন পদে পদায়ন ও বেতন নির্ধারণ করে দুই আদেশনামা জারি করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে রংপুরে তোলপাড় শুরু হয়। খোদ সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এ নিয়োগকে ক্ষমতার চরম অপব্যবহার বলে অভিযোগ করেন।
এ সংক্রান্ত খবর দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত হলে প্রশাসনে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও চলতি অর্থবছরের খসড়া বাজেট উপস্থাপনের সভা আহ্বান করলেও, সেই সভাকে দেখিয়ে গোপনে ৭শ’ কোটি টাকার বাজেট পাস দেখান। বাজেটে রংপুর মহানগরীর উন্নয়নের জন্য এক টাকাও বরাদ্দ না রাখাসহ বিভিন্ন খাতে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় দেখিয়েছেন তিনি। এ সংক্রান্ত খবর সংবাদসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই বাজেট সভায় উপস্থিত সুজনসহ একাধিক সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তীব্র প্রতিবাদ করেন।
এছাড়াও প্রশাসকের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। প্রশাসক হিসেবে সিটি করপোরেশনে না এসে রংপুর সার্কিট হাউজের দু’টি বিলাসবহুল কক্ষ নিয়ে সেখানে অবস্থান করা, দুপুর সাড়ে ৩টার পর দু’ঘণ্টার জন্য ফাইল স্বাক্ষর করাসহ নানান অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও আরও অনেক অভিযোগ দুদকের কাছেও করেছে নগরবাসী।
গত ১২ আগস্ট রংপুরে দুদক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মোনেম রংপুর জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে রংপুর সিটি করপোরেশনের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে দ্রুতই সিটি করপোশেনের অভিযান এ ব্যাপারে দুদকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেশ কিছু লিখিত অভিযোগ এসেছে। প্রধান কার্যালয়ের নির্দ্দেশনা পেলে দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে রোববার,(২৪ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে তার সরকারির মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। সে সময় তিনি জানান, নয়া প্রশাসক যোগদানের ব্যাপারে কোনো কাগজ পাননি। তবে এমন আদেশনামা ওয়েব সাইটে দেখেছেন। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যেমূলক বলেও জানান শহীদুল ইসলাম।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ও তদন্তের পর রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শহীদুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মো. আশরাফুল ইসলাম।
গত ৮ বছর আগে চাকরিচ্যুত ২৫ জনকে অসাধারণ ছুটি দেখিয়ে নিয়োগদান, গোপনে বাজেট পাস দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা অপব্যায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় বর্তমান প্রশাসক শহীদুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
গত ১৯ আগস্টে দেয়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশ নামায় নয়া প্রশাসক আশরাফুল ইসলামকে আগামীকাল রংপুর সিটি করপোরেশনে যোগদান করার কথা বলা হয়েছে। যুগ্ম সচিব আবুল হায়াত মো. রফিক স্বাক্ষরিত আদেশে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ে যোগ না দিলে তিনি ওইদিন দুপুর থেকে স্ট্যান্ডরিলিজ বলে গণ্য হবেন।
মো. আশরাফুল ইসলাম ময়মনসিংহ বিভাগের সদর দপ্তর স্থাপন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রসিকের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সদ্য অব্যাহতি পাওয়া শহীদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে আট বছর আগে আনীত অভিযোগ তদন্তে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি ওই ২৫ জন কর্মচারীকে নিয়োগ না দেবার লিখিত সুপারিশ করলেও প্রশাসক শহীদুল ইসলাম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়োগ দেন। শুধু তাই নয় ২৫ জনকে করপোরেশনের বিভিন্ন পদে পদায়ন ও বেতন নির্ধারণ করে দুই আদেশনামা জারি করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে রংপুরে তোলপাড় শুরু হয়। খোদ সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এ নিয়োগকে ক্ষমতার চরম অপব্যবহার বলে অভিযোগ করেন।
এ সংক্রান্ত খবর দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত হলে প্রশাসনে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও চলতি অর্থবছরের খসড়া বাজেট উপস্থাপনের সভা আহ্বান করলেও, সেই সভাকে দেখিয়ে গোপনে ৭শ’ কোটি টাকার বাজেট পাস দেখান। বাজেটে রংপুর মহানগরীর উন্নয়নের জন্য এক টাকাও বরাদ্দ না রাখাসহ বিভিন্ন খাতে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় দেখিয়েছেন তিনি। এ সংক্রান্ত খবর সংবাদসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই বাজেট সভায় উপস্থিত সুজনসহ একাধিক সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তীব্র প্রতিবাদ করেন।
এছাড়াও প্রশাসকের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। প্রশাসক হিসেবে সিটি করপোরেশনে না এসে রংপুর সার্কিট হাউজের দু’টি বিলাসবহুল কক্ষ নিয়ে সেখানে অবস্থান করা, দুপুর সাড়ে ৩টার পর দু’ঘণ্টার জন্য ফাইল স্বাক্ষর করাসহ নানান অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও আরও অনেক অভিযোগ দুদকের কাছেও করেছে নগরবাসী।
গত ১২ আগস্ট রংপুরে দুদক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মোনেম রংপুর জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে রংপুর সিটি করপোরেশনের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে দ্রুতই সিটি করপোশেনের অভিযান এ ব্যাপারে দুদকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেশ কিছু লিখিত অভিযোগ এসেছে। প্রধান কার্যালয়ের নির্দ্দেশনা পেলে দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে রোববার,(২৪ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে তার সরকারির মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। সে সময় তিনি জানান, নয়া প্রশাসক যোগদানের ব্যাপারে কোনো কাগজ পাননি। তবে এমন আদেশনামা ওয়েব সাইটে দেখেছেন। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যেমূলক বলেও জানান শহীদুল ইসলাম।