ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে হিরাঝিল আবাসিক এলাকায় রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসর বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ এক মাস বয়সী শিশু ইমাম উদ্দিন মারা গেছে।
রোববার,(২৪ আগস্ট ২০২৫) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন দুই পরিবারের ৭ জন
আইসিইউতে ভর্তি দ্ইুজন, পাঁচজন হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি
দগ্ধদের মধ্যে শিশুদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা বেশি সংকটাপন্ন
দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ইমামের বাবা হাসান (৩৫) ও তার স্ত্রীর বড় বোন আসমা (৩০) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন।
বাকি পাঁচজন হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি আছেন। দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় তাদের অবস্থা বেশি সংকটাপন্ন।
চিকিৎসক ও দগ্ধ ব্যক্তিদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবার শরীরের ৩০-৫৫ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া তানজিল ইসলামের মেয়ে তিশা (১৭) ও ছেলে আরাফাত (১৫) ব্যান্ডেজে মোড়া শরীর নিয়ে কাতরাচ্ছে। দগ্ধ হাসানের পরিবারও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার স্ত্রী সালমা (৩২), ৪ বছরের মেয়ে জান্নাত ও ১১ বছরের মুনতাহার শরীরও দগ্ধ।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সার্জন সুলতান মাহমুদ শিকদার বলেন, ‘দগ্ধ আট রোগীর মধ্যে এক মাসের শিশু ইমাম উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। হাসান ও আসমা আইসিইউতে আছেন। বাকিরা হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে চিকিৎসাধীন। একজন বাদে সবার অবস্থা গুরুতর। আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছি।’
দগ্ধ হাসানের ছোট ভাই রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই হাসান ও তার স্ত্রীর বড় বোন আসমা আইসিইউতে ভর্তি আছেন। ভাবী ও ভাতিজিরাও আগুনে পুড়ে গেছেন। আমার ভাই দিনমজুরের কাজ করতেন। প্রতিদিন চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্রিজের কম্প্রেসর থেকে আগুনে দুটি পরিবারের ৯ জন মানুষ দগ্ধ হয়েছেন বিষয়টি আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। ওই বাড়ির নিচ দিয়ে তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন গেছে। ওই পাইপলাইনের ছিদ্র থেকে গ্যাস জমে এ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে আমার ধারণা। ’প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের দাবি জানান তিনি।
দগ্ধ ব্যক্তিদের স্বজনদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আদমজী ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মিরণ মিয়া বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসর বিস্ফোরণে পুরো ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে দুটি পরিবারের সবাই দগ্ধ হন। তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই বাড়ির নিচে দিয়ে তারা তিতাসের কোনো পাইপলাইন পাননি।
এছাড়া সেখানে তিতাসের কোনো গ্যাসের গন্ধও পাওয়া যায়নি বলে মিরণ মিয়া জানান।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে হিরাঝিল আবাসিক এলাকায় রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসর বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ এক মাস বয়সী শিশু ইমাম উদ্দিন মারা গেছে।
রোববার,(২৪ আগস্ট ২০২৫) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন দুই পরিবারের ৭ জন
আইসিইউতে ভর্তি দ্ইুজন, পাঁচজন হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি
দগ্ধদের মধ্যে শিশুদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা বেশি সংকটাপন্ন
দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ইমামের বাবা হাসান (৩৫) ও তার স্ত্রীর বড় বোন আসমা (৩০) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন।
বাকি পাঁচজন হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি আছেন। দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় তাদের অবস্থা বেশি সংকটাপন্ন।
চিকিৎসক ও দগ্ধ ব্যক্তিদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবার শরীরের ৩০-৫৫ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া তানজিল ইসলামের মেয়ে তিশা (১৭) ও ছেলে আরাফাত (১৫) ব্যান্ডেজে মোড়া শরীর নিয়ে কাতরাচ্ছে। দগ্ধ হাসানের পরিবারও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার স্ত্রী সালমা (৩২), ৪ বছরের মেয়ে জান্নাত ও ১১ বছরের মুনতাহার শরীরও দগ্ধ।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সার্জন সুলতান মাহমুদ শিকদার বলেন, ‘দগ্ধ আট রোগীর মধ্যে এক মাসের শিশু ইমাম উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। হাসান ও আসমা আইসিইউতে আছেন। বাকিরা হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে চিকিৎসাধীন। একজন বাদে সবার অবস্থা গুরুতর। আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছি।’
দগ্ধ হাসানের ছোট ভাই রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই হাসান ও তার স্ত্রীর বড় বোন আসমা আইসিইউতে ভর্তি আছেন। ভাবী ও ভাতিজিরাও আগুনে পুড়ে গেছেন। আমার ভাই দিনমজুরের কাজ করতেন। প্রতিদিন চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্রিজের কম্প্রেসর থেকে আগুনে দুটি পরিবারের ৯ জন মানুষ দগ্ধ হয়েছেন বিষয়টি আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। ওই বাড়ির নিচ দিয়ে তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন গেছে। ওই পাইপলাইনের ছিদ্র থেকে গ্যাস জমে এ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে আমার ধারণা। ’প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের দাবি জানান তিনি।
দগ্ধ ব্যক্তিদের স্বজনদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আদমজী ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মিরণ মিয়া বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসর বিস্ফোরণে পুরো ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে দুটি পরিবারের সবাই দগ্ধ হন। তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই বাড়ির নিচে দিয়ে তারা তিতাসের কোনো পাইপলাইন পাননি।
এছাড়া সেখানে তিতাসের কোনো গ্যাসের গন্ধও পাওয়া যায়নি বলে মিরণ মিয়া জানান।