গতকাল শনিবার রাত থেকেই অনেক পাথর ব্যবসায়ী নিজ খরচে ট্রাকযোগে সাদা পাথর ফিরিয়ে দেন -সংবাদ
সিলেটে প্রশাসনের আলটিমেটামের পর নিজ উদ্যোগে সাদা পাথরে পাথর ফিরিয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল শনিবার রাত থেকেই অনেক পাথর ব্যবসায়ী নিজ খরচে ট্রাকযোগে সাদা পাথর এলাকায় পাথর ফিরিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকার স্টোন ক্রাশার মিল ব্যবসায়ী কাজী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি তিন মাস আগে পাথর কিনেছিলাম। এরপর আর কোনো পাথর কিনিনি। তবু জেলা প্রশাসক যেহেতু বলেছেন তার প্রতি সম্মান রেখে আমার মিলে থাকা সব পাথর সাদা পাথরে ফিরিয়ে দিয়েছি।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা ফেরত দেয়ার পাশাপাশি পাথর উদ্ধারে অভিযানও চলছে। এসব পাথর সাদা পাথর পর্যটন স্পটে প্রতিস্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খুশনূর রুবাইয়াত জানান, গতকাল শনিবার রাত ১২টা থেকে রোববার,(২৪ আগস্ট ২০২৫ দুপুর পর্যন্ত অন্তত ১০০ ট্রাক পাথর সাদা পাথর এলাকায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সিলেটের ধোপাগুল এলাকার কয়েকজন ব্যাবসায়ী নিজ উদ্যোগে তাদের সংগ্রহে থাকা সাদা পাথর স্পটে পৌঁছে দিয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা বিষয়টি তদারকি করছেন।
এদিকে, পাথর ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের মাইকিংসহ প্রচারণা কার্যকমও অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গতকাল শনিবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর থেকে লুট হওয়া পাথর আগামীকাল সন্ধ্যার মধ্যে নিজ উদ্যোগে, নিজে খরচে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। এ সময়ের পর কারো কাছে সাদা পাথর পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়।
গতকাল শনিবার এ ব্যাপারে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় মাইকিংও করা হয়।
সিলেটের ডিসি সারওয়ার আলম জানান, এখনও কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলায় কিছু পাথর অনেকে লুকিয়ে রেখেছেন। এসব পাথর উদ্ধারে গতকাল শনিবার এ দুই উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা করা হয়েছে। সভাশেষে তিনটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যার মধ্যে রয়েছে- আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে যাদের কাছে এখনও সাদা পাথর আছে তারা নিজ খরচে, নিজ উদ্যোগে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকায় পৌঁছে দেবেন। যেহেতু জনপ্রতিনিধিরা সরকারের অংশ তাই এ পাথর উদ্ধারে তাদেরও দায় রয়েছে। যার যার এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে পাথর ভোলাগঞ্জে পৌঁছানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন তারা।
ইতোমধ্যে এ দুই উপজেলায় মাইকিং করে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এ সময়ের পর যার কাছে সাদা পাথর পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি নির্ধারিত সময়ের পর যে এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাথর পাওয়া যাবে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সারওয়ার আলম।
গতকাল শনিবার রাত থেকেই অনেক পাথর ব্যবসায়ী নিজ খরচে ট্রাকযোগে সাদা পাথর ফিরিয়ে দেন -সংবাদ
সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
সিলেটে প্রশাসনের আলটিমেটামের পর নিজ উদ্যোগে সাদা পাথরে পাথর ফিরিয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল শনিবার রাত থেকেই অনেক পাথর ব্যবসায়ী নিজ খরচে ট্রাকযোগে সাদা পাথর এলাকায় পাথর ফিরিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকার স্টোন ক্রাশার মিল ব্যবসায়ী কাজী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি তিন মাস আগে পাথর কিনেছিলাম। এরপর আর কোনো পাথর কিনিনি। তবু জেলা প্রশাসক যেহেতু বলেছেন তার প্রতি সম্মান রেখে আমার মিলে থাকা সব পাথর সাদা পাথরে ফিরিয়ে দিয়েছি।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা ফেরত দেয়ার পাশাপাশি পাথর উদ্ধারে অভিযানও চলছে। এসব পাথর সাদা পাথর পর্যটন স্পটে প্রতিস্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খুশনূর রুবাইয়াত জানান, গতকাল শনিবার রাত ১২টা থেকে রোববার,(২৪ আগস্ট ২০২৫ দুপুর পর্যন্ত অন্তত ১০০ ট্রাক পাথর সাদা পাথর এলাকায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সিলেটের ধোপাগুল এলাকার কয়েকজন ব্যাবসায়ী নিজ উদ্যোগে তাদের সংগ্রহে থাকা সাদা পাথর স্পটে পৌঁছে দিয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা বিষয়টি তদারকি করছেন।
এদিকে, পাথর ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের মাইকিংসহ প্রচারণা কার্যকমও অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গতকাল শনিবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর থেকে লুট হওয়া পাথর আগামীকাল সন্ধ্যার মধ্যে নিজ উদ্যোগে, নিজে খরচে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। এ সময়ের পর কারো কাছে সাদা পাথর পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়।
গতকাল শনিবার এ ব্যাপারে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় মাইকিংও করা হয়।
সিলেটের ডিসি সারওয়ার আলম জানান, এখনও কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলায় কিছু পাথর অনেকে লুকিয়ে রেখেছেন। এসব পাথর উদ্ধারে গতকাল শনিবার এ দুই উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা করা হয়েছে। সভাশেষে তিনটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যার মধ্যে রয়েছে- আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে যাদের কাছে এখনও সাদা পাথর আছে তারা নিজ খরচে, নিজ উদ্যোগে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকায় পৌঁছে দেবেন। যেহেতু জনপ্রতিনিধিরা সরকারের অংশ তাই এ পাথর উদ্ধারে তাদেরও দায় রয়েছে। যার যার এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে পাথর ভোলাগঞ্জে পৌঁছানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন তারা।
ইতোমধ্যে এ দুই উপজেলায় মাইকিং করে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এ সময়ের পর যার কাছে সাদা পাথর পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি নির্ধারিত সময়ের পর যে এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাথর পাওয়া যাবে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সারওয়ার আলম।