ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ভৈরবে ঝাড়ুদারের ময়লা শরীরে পড়ায় মধ্যরাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের ১০ জন আহতসহ ঘটনাস্থলে সংঘর্ষকারীরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে ১০টি দোকান। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যদের যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে ফায়ার সার্ভিস টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব।
গতকাল রোববার দিবাগত মধ্যরাতে পৌর শহরের ভৈরবপুর দক্ষিণ পাড়ার কসাই হাঁটি ও উত্তর পাড়া ওমান গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১১টায় ভৈরব বাজারে এশা হোটেল নামে আবাসিক হোটেলের ঝাড়ুদার হোটেল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার সময় ইটের কনাসহ ময়লা পরে উত্তর পাড়া এলাকার এক যুবকের উপর। পড়ে ঝাড়ুদার ও হোটেল ম্যানেজারের সাথে ওই যুবকের বাকবিতন্ডা হয়। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ সংঘর্ষে রূপ নেয়। রাত ১২টায় বাজারের সংঘর্ষটি ভৈরবপুর উত্তর পাড়া ওমান গ্রুপ ও দক্ষিণ পাড়ায় কসাই হাটির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর পাড়ার মনমরা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই সংঘর্ষ। উভয় পক্ষের যুবকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরক্ষণে দুই পক্ষ লাঠি-সোঁটা, দা-বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এসময় এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহতসহ রাস্তার পাশে থাকা প্রায় ১০টি দোকানে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
এশা হোটেল ম্যানেজার মহিউদ্দিন বলেন, হোটেল ঝাড়ু দিতে গিয়ে ময়লা ছিটকে পড়েছে। তবে ওই যুবকের শরীরে পড়েনি। তবু সে দলবল নিয়ে এসে হোটেলে হামলা চালিয়েছে ও হোটেল ভাঙচুর করেছে। আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হয়েছি।
এ বিষয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানি নাঈম মিয়া বলেন, ঝগড়ার সাথে আমরা জড়িত না। রাস্তার পাশে দোকান থাকায় আমাদের অপরাধ। আমাদের নিঃস্ব করে দিল।
এ বিষয়ে ভৈরব নদী ফায়ার স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, মারামারিতে দোকানে আগুন লেগেছে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ১ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে মনমরা এলাকায় মার্কেটে ১০টির মতো দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে দোকান মালিকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভৈরব সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভৈরবপুর উত্তরপাড়া ওমান গ্রুপ ও দক্ষিণ পাড়ার কসাই হাটির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুইপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
ভৈরবে ঝাড়ুদারের ময়লা শরীরে পড়ায় মধ্যরাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের ১০ জন আহতসহ ঘটনাস্থলে সংঘর্ষকারীরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে ১০টি দোকান। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যদের যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে ফায়ার সার্ভিস টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব।
গতকাল রোববার দিবাগত মধ্যরাতে পৌর শহরের ভৈরবপুর দক্ষিণ পাড়ার কসাই হাঁটি ও উত্তর পাড়া ওমান গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১১টায় ভৈরব বাজারে এশা হোটেল নামে আবাসিক হোটেলের ঝাড়ুদার হোটেল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার সময় ইটের কনাসহ ময়লা পরে উত্তর পাড়া এলাকার এক যুবকের উপর। পড়ে ঝাড়ুদার ও হোটেল ম্যানেজারের সাথে ওই যুবকের বাকবিতন্ডা হয়। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ সংঘর্ষে রূপ নেয়। রাত ১২টায় বাজারের সংঘর্ষটি ভৈরবপুর উত্তর পাড়া ওমান গ্রুপ ও দক্ষিণ পাড়ায় কসাই হাটির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর পাড়ার মনমরা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই সংঘর্ষ। উভয় পক্ষের যুবকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরক্ষণে দুই পক্ষ লাঠি-সোঁটা, দা-বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এসময় এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহতসহ রাস্তার পাশে থাকা প্রায় ১০টি দোকানে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
এশা হোটেল ম্যানেজার মহিউদ্দিন বলেন, হোটেল ঝাড়ু দিতে গিয়ে ময়লা ছিটকে পড়েছে। তবে ওই যুবকের শরীরে পড়েনি। তবু সে দলবল নিয়ে এসে হোটেলে হামলা চালিয়েছে ও হোটেল ভাঙচুর করেছে। আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হয়েছি।
এ বিষয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানি নাঈম মিয়া বলেন, ঝগড়ার সাথে আমরা জড়িত না। রাস্তার পাশে দোকান থাকায় আমাদের অপরাধ। আমাদের নিঃস্ব করে দিল।
এ বিষয়ে ভৈরব নদী ফায়ার স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, মারামারিতে দোকানে আগুন লেগেছে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ১ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে মনমরা এলাকায় মার্কেটে ১০টির মতো দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে দোকান মালিকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভৈরব সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভৈরবপুর উত্তরপাড়া ওমান গ্রুপ ও দক্ষিণ পাড়ার কসাই হাটির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুইপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।