ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সরাইল-নাসিরনগর উপজেলার একটি সংযোগ সেতুর কাজ দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রেখে লাপাত্তা ঠিকাদার। ফলে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির কাজ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ বাড়ছে দুই উপজেলার ২০টিরও বেশি গ্রামের বাসিন্দাদের। এরইমধ্যে বাড়ানো হয়েছে সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ। তবে নির্মাণ কাজের আশানুরূপ অগ্রগতি না হলেও বর্ধিত মেয়াদের মধ্যেই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা এলজিইডির। সরাইলের অরুয়াইল ও নাসিরনগরের চাতলপাড় ইউনিয়নকে ভাগ করেছে কান্তারখাল। সেতু না থাকায় বর্ষায় নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটেই খাল পাড় হয় দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এ ব্রীজের কাজ পান হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যা ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে বলে ক্রয় আদেশে উল্লেখ রয়েছে। নাইন ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় কান্তার খালে সেতু নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হাসান এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে চুক্তি করে এলজিইডি। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৮২ লাখ ১৬ হাজার ৫৫৬ টাকা। পিলারে কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিংহ ভাগ বিল তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে কাজের গতি হয়ে পড়ে মন্থর। আর নির্ধারিত সময় চলে যায় দু বছর আগে। এ নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ, ঢিমেতালে অর্ধেক কাজ করেই লাপাত্তা ঠিকাদার। সেতু নির্মাণ বন্ধ থাকায় ক্ষোভ স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ব্রিজের কাজ শুরু করার পর শ্রমিকরা ঠিক সময়ে আসছে না। এখন ব্রিজের কাজ বন্ধ আছে। প্রতিদিন সরাইলের অরুয়াইল, পাকশিমুল এবং নাসিরনগরের চাতলপাড় ইউনিয়নের ২০টিরও বেশি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দারা নৌকায় পার হয় কান্তার খাল। দিনে নৌকা চললেও সন্ধ্যা নামতেই খাল পারাপারে নানা বিপত্তি। তবে, কাজ বন্ধের অভিযোগ ঠিক নয় দাবি করে বর্ধিত মেয়াদের মধ্যেই সেতু নির্মাণের আশ্বাস এলজিইডির।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এমদাদুল হক গন মাধ্যম কে বলেন, ব্রিজটির স্ট্রাকচার অংশের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছুদিন পরই নতুন কাজ শুরু হবে। আমরা আশা করি এ সিজনের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারবো।
সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সরাইল-নাসিরনগর উপজেলার একটি সংযোগ সেতুর কাজ দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রেখে লাপাত্তা ঠিকাদার। ফলে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির কাজ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ বাড়ছে দুই উপজেলার ২০টিরও বেশি গ্রামের বাসিন্দাদের। এরইমধ্যে বাড়ানো হয়েছে সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ। তবে নির্মাণ কাজের আশানুরূপ অগ্রগতি না হলেও বর্ধিত মেয়াদের মধ্যেই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা এলজিইডির। সরাইলের অরুয়াইল ও নাসিরনগরের চাতলপাড় ইউনিয়নকে ভাগ করেছে কান্তারখাল। সেতু না থাকায় বর্ষায় নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটেই খাল পাড় হয় দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এ ব্রীজের কাজ পান হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যা ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে বলে ক্রয় আদেশে উল্লেখ রয়েছে। নাইন ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় কান্তার খালে সেতু নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হাসান এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে চুক্তি করে এলজিইডি। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৮২ লাখ ১৬ হাজার ৫৫৬ টাকা। পিলারে কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিংহ ভাগ বিল তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে কাজের গতি হয়ে পড়ে মন্থর। আর নির্ধারিত সময় চলে যায় দু বছর আগে। এ নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ, ঢিমেতালে অর্ধেক কাজ করেই লাপাত্তা ঠিকাদার। সেতু নির্মাণ বন্ধ থাকায় ক্ষোভ স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ব্রিজের কাজ শুরু করার পর শ্রমিকরা ঠিক সময়ে আসছে না। এখন ব্রিজের কাজ বন্ধ আছে। প্রতিদিন সরাইলের অরুয়াইল, পাকশিমুল এবং নাসিরনগরের চাতলপাড় ইউনিয়নের ২০টিরও বেশি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দারা নৌকায় পার হয় কান্তার খাল। দিনে নৌকা চললেও সন্ধ্যা নামতেই খাল পারাপারে নানা বিপত্তি। তবে, কাজ বন্ধের অভিযোগ ঠিক নয় দাবি করে বর্ধিত মেয়াদের মধ্যেই সেতু নির্মাণের আশ্বাস এলজিইডির।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এমদাদুল হক গন মাধ্যম কে বলেন, ব্রিজটির স্ট্রাকচার অংশের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছুদিন পরই নতুন কাজ শুরু হবে। আমরা আশা করি এ সিজনের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারবো।