ডেঙ্গু আক্রান্ত মা হাসপাতালে ভর্তি, সঙ্গে রয়েছে শিশু -সংবাদ
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৪১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে ২ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মারা গেছেন। একজন ঢাকা উত্তর সিটিতে মারা গেছেন।
এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সোমবার,(২৫ আগস্ট ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১০২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৭ জন, ঢাকা বিভাগে ১১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৬৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫৩ জন, খুলনা বিভাগে ২৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩০ জন।
বয়স ভেদে, ৫ বছর বয়সের ২১ জন, ৬-১০ বছর বয়সের ২২ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৩৩ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৪২ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৬৪ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ৬১ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ৪৪ জন, ৮০ বছর বয়সের ২ জন,৭৬-৮০ বছর বয়সের ৩ জন।
এভাবে প্রতিদিন শিশু থেকে বয়স্কসহ নানা বয়সের মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার মারাও যাচ্ছেন।
হাসপাতালের তথ্য: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৯ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৪৩ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৯ জন, সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৪৮ জন। এভাবে রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে ৩০৬ জন এখনও ভর্তি আছে। ঢাকার বাইরে জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালে ১,৩০৯ জন ভর্তি আছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করেন। ডেঙ্গু আগে রাজধানীতে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন
সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আর হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ সংখ্যা বাড়ছে।
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দিনে ও রাতেও কামড়ায়।
এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার ও জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে। যেমন- ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের পাত্র, ফ্রিজের ট্রে, এসির পানি জমানো স্থান ইত্যাদি।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য অত্যন্ত সহায়ক পরিবেশ তৈরি করছে। ডেঙ্গু উষ্ম আবহাওয়ায় ডিম থেকে পূর্ণবয়স্ক মশা হয়ে উঠতে কম সময় লাগে। ফলে মশার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। আগে বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও এখন গ্রীষ্মকালেও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অনিয়মিত ও অতিবর্ষণের ফলে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। যা মশার জন্মের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
পরিবর্তিত পরিবেশে ভাইরাস খুব দ্রুত অভিযোচিত হয়। ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তনের ফলে এটি আরও সংক্রমক হতে পারে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত মা হাসপাতালে ভর্তি, সঙ্গে রয়েছে শিশু -সংবাদ
সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৪১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে ২ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মারা গেছেন। একজন ঢাকা উত্তর সিটিতে মারা গেছেন।
এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সোমবার,(২৫ আগস্ট ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১০২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৭ জন, ঢাকা বিভাগে ১১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৬৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫৩ জন, খুলনা বিভাগে ২৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩০ জন।
বয়স ভেদে, ৫ বছর বয়সের ২১ জন, ৬-১০ বছর বয়সের ২২ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৩৩ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৪২ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৬৪ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ৬১ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ৪৪ জন, ৮০ বছর বয়সের ২ জন,৭৬-৮০ বছর বয়সের ৩ জন।
এভাবে প্রতিদিন শিশু থেকে বয়স্কসহ নানা বয়সের মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার মারাও যাচ্ছেন।
হাসপাতালের তথ্য: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৯ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৪৩ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৯ জন, সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৪৮ জন। এভাবে রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে ৩০৬ জন এখনও ভর্তি আছে। ঢাকার বাইরে জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালে ১,৩০৯ জন ভর্তি আছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করেন। ডেঙ্গু আগে রাজধানীতে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন
সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আর হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ সংখ্যা বাড়ছে।
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দিনে ও রাতেও কামড়ায়।
এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার ও জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে। যেমন- ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের পাত্র, ফ্রিজের ট্রে, এসির পানি জমানো স্থান ইত্যাদি।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য অত্যন্ত সহায়ক পরিবেশ তৈরি করছে। ডেঙ্গু উষ্ম আবহাওয়ায় ডিম থেকে পূর্ণবয়স্ক মশা হয়ে উঠতে কম সময় লাগে। ফলে মশার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। আগে বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও এখন গ্রীষ্মকালেও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অনিয়মিত ও অতিবর্ষণের ফলে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। যা মশার জন্মের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
পরিবর্তিত পরিবেশে ভাইরাস খুব দ্রুত অভিযোচিত হয়। ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তনের ফলে এটি আরও সংক্রমক হতে পারে।