দেড়শ’ বছরের পুরনো সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ‘আলী আমজাদের’ ঘড়িঘরের পাশেই জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ নির্মাণ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জুলাই শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণের উদ্যোগকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছে। তবে এ কাজ করতে গিয়ে নগরীর ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা আলী আমজাদের ঘড়িঘরের সৌন্দর্য্য আড়াল করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন জেলার সাধারণ মানুষ।
এ পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সিলেটের ল্যান্ডমার্ক খ্যাত এ ঐতিহ্যবাহী আলী আমজাদের ঘড়িঘরের অখণ্ডতা রক্ষার নাগরিক আহ্বান সম্বলিত যৌথ স্মারকলিপি দিয়েছে তিনটি নাগরিক সংগঠন।
সিলেটের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক ও সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তারা এ স্মারকলিপি দিয়েছে।
সোমবার,(২৫ আগস্ট ২০২৫) দুপুর ১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলমের কাছে এবং দুপুর ২টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকারের কাছে পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট সিলেট, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট ও সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সংগঠন তিনটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী, আব্দুল করিম কিম, শামসুল বাসিত শেরো, প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, রেজাউল কিবরিয়া প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সিলেট শহরের প্রাচীনতম ও প্রতীকখ্যাত স্থাপত্য ‘আলী আমজদের ঘড়িঘর। এ কেবল একটি স্থাপনা নয়; আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের প্রতীক।
১৮৭৪ সালে পৃথিমপাশার জমিদার নবাব আলী আমজদ খান এটি নির্মাণ করেন। শতবর্ষ অতিক্রান্ত এ স্থাপনাটি সিলেটকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিত করেছে। সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত এ ঘড়িঘর সিলেটের ল্যান্ডমার্ক। তবে গভীর দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, এ ঐতিহ্যবাহী ঘড়িঘরের সীমানার ভেতরেই নতুন একটি স্থাপনার (জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে “জুলাই স্তম্ভ”) নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। স্মারকলিপিতে উল্ল্যেখ করা হয়, সিলেটের মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামে জুলাই আন্দোলনের গুরুত্ব অস্বীকারযোগ্য নয়। কিন্তু ঐতিহাসিক ‘আলী আমজদের ঘড়িঘর’-এর গায়ে নতুন স্থাপনা চাপিয়ে দেয়া সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও স্থাপত্যরক্ষার মৌলিক নীতির পরিপন্থী।
স্মারকলিপিতে এ স্থাপনা সংরক্ষণের আইনগত ভিত্তি তুলে ধরে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব আইন, ১৯৬৮ (সংশোধিত ১৯৭৬ ও ২০১৬): আইনানুযায়ী প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক স্থাপনার সীমানায় কোনো নতুন স্থাপনা নির্মাণ বা পরিবর্তন আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
জাতীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ নীতি, ২০০৯: ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রতীকের চারপাশের দৃশ্যমানতা, পরিবেশ ও নান্দনিকতা অক্ষুণ্য রাখা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
এছাড়া ইউনেস্কোর হেরিটেজ সংরক্ষণ নীতি অনুযায়ী, শতবর্ষ প্রাচীন স্থাপনার ভৌগোলিক ও স্থাপত্যগত অখণ্ডতা নষ্ট করা যায় না।
স্মারকলিপিতে সংগঠন তিনটি নাগরিকসমাজ, পরিবেশবাদী ও ঐতিহ্য সংরক্ষণকামী মানুষের পক্ষে নিকটবর্তী বিকল্প স্থানে জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি স্মারক নির্মাণ ও সিলেটের প্রতীকখ্যাত ঐতিহ্যের ক্ষতি না করার আহ্বান জানানো হয়।
সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
দেড়শ’ বছরের পুরনো সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ‘আলী আমজাদের’ ঘড়িঘরের পাশেই জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ নির্মাণ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জুলাই শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণের উদ্যোগকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছে। তবে এ কাজ করতে গিয়ে নগরীর ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা আলী আমজাদের ঘড়িঘরের সৌন্দর্য্য আড়াল করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন জেলার সাধারণ মানুষ।
এ পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সিলেটের ল্যান্ডমার্ক খ্যাত এ ঐতিহ্যবাহী আলী আমজাদের ঘড়িঘরের অখণ্ডতা রক্ষার নাগরিক আহ্বান সম্বলিত যৌথ স্মারকলিপি দিয়েছে তিনটি নাগরিক সংগঠন।
সিলেটের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক ও সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তারা এ স্মারকলিপি দিয়েছে।
সোমবার,(২৫ আগস্ট ২০২৫) দুপুর ১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলমের কাছে এবং দুপুর ২টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকারের কাছে পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট সিলেট, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট ও সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সংগঠন তিনটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী, আব্দুল করিম কিম, শামসুল বাসিত শেরো, প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, রেজাউল কিবরিয়া প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সিলেট শহরের প্রাচীনতম ও প্রতীকখ্যাত স্থাপত্য ‘আলী আমজদের ঘড়িঘর। এ কেবল একটি স্থাপনা নয়; আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের প্রতীক।
১৮৭৪ সালে পৃথিমপাশার জমিদার নবাব আলী আমজদ খান এটি নির্মাণ করেন। শতবর্ষ অতিক্রান্ত এ স্থাপনাটি সিলেটকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিত করেছে। সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত এ ঘড়িঘর সিলেটের ল্যান্ডমার্ক। তবে গভীর দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, এ ঐতিহ্যবাহী ঘড়িঘরের সীমানার ভেতরেই নতুন একটি স্থাপনার (জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে “জুলাই স্তম্ভ”) নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। স্মারকলিপিতে উল্ল্যেখ করা হয়, সিলেটের মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামে জুলাই আন্দোলনের গুরুত্ব অস্বীকারযোগ্য নয়। কিন্তু ঐতিহাসিক ‘আলী আমজদের ঘড়িঘর’-এর গায়ে নতুন স্থাপনা চাপিয়ে দেয়া সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও স্থাপত্যরক্ষার মৌলিক নীতির পরিপন্থী।
স্মারকলিপিতে এ স্থাপনা সংরক্ষণের আইনগত ভিত্তি তুলে ধরে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব আইন, ১৯৬৮ (সংশোধিত ১৯৭৬ ও ২০১৬): আইনানুযায়ী প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক স্থাপনার সীমানায় কোনো নতুন স্থাপনা নির্মাণ বা পরিবর্তন আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
জাতীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ নীতি, ২০০৯: ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রতীকের চারপাশের দৃশ্যমানতা, পরিবেশ ও নান্দনিকতা অক্ষুণ্য রাখা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
এছাড়া ইউনেস্কোর হেরিটেজ সংরক্ষণ নীতি অনুযায়ী, শতবর্ষ প্রাচীন স্থাপনার ভৌগোলিক ও স্থাপত্যগত অখণ্ডতা নষ্ট করা যায় না।
স্মারকলিপিতে সংগঠন তিনটি নাগরিকসমাজ, পরিবেশবাদী ও ঐতিহ্য সংরক্ষণকামী মানুষের পক্ষে নিকটবর্তী বিকল্প স্থানে জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি স্মারক নির্মাণ ও সিলেটের প্রতীকখ্যাত ঐতিহ্যের ক্ষতি না করার আহ্বান জানানো হয়।