ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সামান্য ১টি স্টীলের বাটিকে কেন্দ্র করে নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় মর্মান্তিক হত্যাকা- ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের কেতামুন বিবি (৭১) নামের এক বৃদ্ধা এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নিহত কেতামুন ওই গ্রামের মৃত দসির উদ্দীনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেতামুন বিবি ও একই গ্রামের আনারুল ইসলামের স্ত্রী আম্বেরা খাতুন আপন দুই বোন। কেতামুনের ছেলে ও আম্বেরার মেয়ের মধ্যে বিয়ের সূত্রে তাদের আত্মীয়তা গড়ে ওঠে । তবে সম্প্রতি ওই দাম্পত্য সম্পর্কে ভাঙন ধরে এবং কয়েক দিন আগে আম্বেরার মেয়ে কেতামুনের ছেলেকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার বিকেলে গ্রামে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে তালাক-পরবর্তী আসবাবপত্র ফেরত দেওয়ার সময় একটি স্টীলের বাটিকে কেন্দ্র করে দুই বোনের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় আম্বেরা খাতুন, তার মেয়ে আসমা ও ছেলে মেহেদী হাসান মিলে কেতামুন বিবিকে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রবিবার দিবাগত রাতে নিহতের বড় মেয়ে শাহিদা খাতুন (৩৭) বাদী হয়ে সাপাহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের জন্য লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। সাপাহার থ ওসি আব্দুল আজিজ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তেয় জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫
সামান্য ১টি স্টীলের বাটিকে কেন্দ্র করে নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় মর্মান্তিক হত্যাকা- ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের কেতামুন বিবি (৭১) নামের এক বৃদ্ধা এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নিহত কেতামুন ওই গ্রামের মৃত দসির উদ্দীনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেতামুন বিবি ও একই গ্রামের আনারুল ইসলামের স্ত্রী আম্বেরা খাতুন আপন দুই বোন। কেতামুনের ছেলে ও আম্বেরার মেয়ের মধ্যে বিয়ের সূত্রে তাদের আত্মীয়তা গড়ে ওঠে । তবে সম্প্রতি ওই দাম্পত্য সম্পর্কে ভাঙন ধরে এবং কয়েক দিন আগে আম্বেরার মেয়ে কেতামুনের ছেলেকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার বিকেলে গ্রামে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে তালাক-পরবর্তী আসবাবপত্র ফেরত দেওয়ার সময় একটি স্টীলের বাটিকে কেন্দ্র করে দুই বোনের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় আম্বেরা খাতুন, তার মেয়ে আসমা ও ছেলে মেহেদী হাসান মিলে কেতামুন বিবিকে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রবিবার দিবাগত রাতে নিহতের বড় মেয়ে শাহিদা খাতুন (৩৭) বাদী হয়ে সাপাহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের জন্য লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। সাপাহার থ ওসি আব্দুল আজিজ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তেয় জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।