বদলগাছী (নওগাঁ) : ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন -সংবাদ
নওগাঁর বদলগাছীতে আউশ ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। মাঠে মাঠে সোনালী পাকা আউশ ধানের গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক, ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। আউশ ধানের স্বপ্নে যেন বিভোর তারা। ভাদ্র মাসের বাতাসে দোল খাওয়া সোনালী আউশ ধানের ঘ্রাণে মাতোয়ারা কৃষক। গত বছরের তুলনায় চলতি আউশ মৌসুমে ধানের বাম্পর ফলন ও বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় প্রতিটি কৃষক পরিবার খুশি। অসময়ে আউশ চাষে সাফল্য পেয়ে কৃষকের মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দের বন্যা।
বদলগাছী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ে ছিলো ২১৯০ হেক্টর । অর্জিতও হয়েছে ২১৯০ হেক্টর। গড় ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ৫ মেট্রিক টন।
অফিস সুত্রে আরো জানাযায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ব্রি ধান ৪৮, ৮২, ৮৫, ৯৮, বিনাধান-১৭, ১৯ ও ২২ জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলায় মোট ২৭টি প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়েছে। উৎপাদিত ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৯ শত ৫০ মেট্রিক টন।
সরেজমিনে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, মাঠে আউশ ধান পাকতে শুরু করেছে। আবার কেউ কেউ ধান কাটছে। ধানের ভারে নুয়ে পড়েছে শীষগুলো। ঘাম ঝরানো স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে প্রস্তুত আউশ চাষীরা। প্রতিটি খেতে যেন ফুটে উঠেছে ধানের সোনালী রং। সোনাীল রঙে রাঙিয়ে উঠেছে মাঠের পর মাঠ। বদলগাছী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে বদলগাছী সদর, বালুভরা, আধাইপুর, বিলাশবাড়ী, কোলা ও মথুরাপুর ইউনিয়নে আউশ ধান আবাদ বেশি হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নেও বিক্ষিপ্তভাবে আবাদ হয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, মাঠ পর্যায়ে উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ব্যাপক তদারকির কারণে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষকরা। জিধিরপুর গ্রামের কৃষক বাবু, নয়ন, রশিদ সহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, এ বছর আউশ ধান খুবই ভালো হয়েছে, আমরা আশা করছি ধানের বাম্পার ফলন হবে। ভালো ফলন ও বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় আমরা খুব খুশি। কোলা ইউনিয়নের সমাদুল বলেন, এ বছর আমি ৩ একর জমিতে আউশ ধান আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। কিছু জমির ধান কেটেছি আর বাঁকী জমির ধান আগামী সপ্তাহে কাটা শুরু করব।
উপজেলার আরেক কৃষক মতিউর বলেন, আমি এবছর ৪ বিঘা জমিতে আউশ ধান চাষবাদ করেছি। অনেক ভালো ধান হয়েছে। আউশ ধান কেটে রোপা আমন চাষ করব।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাবাব ফারহান বলেন, চলতি মৌসুমে আউশ ধান চাষে এবছর সেচ, সার ও শ্রম খরচ কম হয়েছে। এবার আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই কৃষকরা আউশ ধান চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠছে। বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা অনেক লাভবান হচ্ছেন। ইতিমধ্যে উপজেলার প্রায় ২৫০ হেক্টর জমির আউশ ধান কর্তন হয়েছে। বাঁকী ধান ১/২ সপ্তাহের মধ্যে কর্তন হবে বলে আশা করছি।
বদলগাছী (নওগাঁ) : ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫
নওগাঁর বদলগাছীতে আউশ ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। মাঠে মাঠে সোনালী পাকা আউশ ধানের গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক, ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। আউশ ধানের স্বপ্নে যেন বিভোর তারা। ভাদ্র মাসের বাতাসে দোল খাওয়া সোনালী আউশ ধানের ঘ্রাণে মাতোয়ারা কৃষক। গত বছরের তুলনায় চলতি আউশ মৌসুমে ধানের বাম্পর ফলন ও বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় প্রতিটি কৃষক পরিবার খুশি। অসময়ে আউশ চাষে সাফল্য পেয়ে কৃষকের মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দের বন্যা।
বদলগাছী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ে ছিলো ২১৯০ হেক্টর । অর্জিতও হয়েছে ২১৯০ হেক্টর। গড় ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ৫ মেট্রিক টন।
অফিস সুত্রে আরো জানাযায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ব্রি ধান ৪৮, ৮২, ৮৫, ৯৮, বিনাধান-১৭, ১৯ ও ২২ জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলায় মোট ২৭টি প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়েছে। উৎপাদিত ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৯ শত ৫০ মেট্রিক টন।
সরেজমিনে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, মাঠে আউশ ধান পাকতে শুরু করেছে। আবার কেউ কেউ ধান কাটছে। ধানের ভারে নুয়ে পড়েছে শীষগুলো। ঘাম ঝরানো স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে প্রস্তুত আউশ চাষীরা। প্রতিটি খেতে যেন ফুটে উঠেছে ধানের সোনালী রং। সোনাীল রঙে রাঙিয়ে উঠেছে মাঠের পর মাঠ। বদলগাছী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে বদলগাছী সদর, বালুভরা, আধাইপুর, বিলাশবাড়ী, কোলা ও মথুরাপুর ইউনিয়নে আউশ ধান আবাদ বেশি হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নেও বিক্ষিপ্তভাবে আবাদ হয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, মাঠ পর্যায়ে উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ব্যাপক তদারকির কারণে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষকরা। জিধিরপুর গ্রামের কৃষক বাবু, নয়ন, রশিদ সহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, এ বছর আউশ ধান খুবই ভালো হয়েছে, আমরা আশা করছি ধানের বাম্পার ফলন হবে। ভালো ফলন ও বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় আমরা খুব খুশি। কোলা ইউনিয়নের সমাদুল বলেন, এ বছর আমি ৩ একর জমিতে আউশ ধান আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। কিছু জমির ধান কেটেছি আর বাঁকী জমির ধান আগামী সপ্তাহে কাটা শুরু করব।
উপজেলার আরেক কৃষক মতিউর বলেন, আমি এবছর ৪ বিঘা জমিতে আউশ ধান চাষবাদ করেছি। অনেক ভালো ধান হয়েছে। আউশ ধান কেটে রোপা আমন চাষ করব।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাবাব ফারহান বলেন, চলতি মৌসুমে আউশ ধান চাষে এবছর সেচ, সার ও শ্রম খরচ কম হয়েছে। এবার আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই কৃষকরা আউশ ধান চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠছে। বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা অনেক লাভবান হচ্ছেন। ইতিমধ্যে উপজেলার প্রায় ২৫০ হেক্টর জমির আউশ ধান কর্তন হয়েছে। বাঁকী ধান ১/২ সপ্তাহের মধ্যে কর্তন হবে বলে আশা করছি।