বান্দরবান : নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে ডাক্তারের অপেক্ষায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা -সংবাদ
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসছে না। হাসপাতালে জনবল সংকটতো রয়েছে; তারমাঝে চিকিৎসক, কর্মকর্তা কর্মচারীর অনুপস্থিতি, ঔষুধ সংকটসহ নানা কারনে দিন দিন ভেঙ্গে পড়ছে জেলার সীমান্ত উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা। নামে মাত্র যেকজন চিকিৎসক রয়েছে তারাও নিয়মিত আসেননা কর্মস্থলে। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি বাড়ছে সেবা নিতে আসা রোগীদের। এদিকে কাগজে কলমে ৫০ শয্যা বলা হলেও ৩১ শয্যার জনবলও নেই এই হাসপাতালে। ১৩ জন ডাক্তারের মধ্যে কাগজে আছে মাত্র ৪জন! এর মধ্যে স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা অফিসের ব্যস্ততার অজুহাতে থাকেন অনুপস্থিত, একজন প্রেষনে জেলা সদরে। বাইশারী ইউনিয়ন সাব সেন্টারে কর্মরত একজনসহ হাসপাতালে রয়েছে মাত্র ২জন ডাক্তার।
এছাড়া নার্সিং সুপারভাইজার, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও মিডওয়াইফ মোট ২৩টি পদ থাকলে কর্মরত আছে মাত্র ৭জন। তবে সঙ্কট নিরসনে যুগের পর যুগ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলেও সমাধানে নেই কোন উদ্যোগ। এদিকে বেলা ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা আবুল মনজুর আসেননি হাসপাতালে। টিকিট কাউন্টারে অপেক্ষমান রোগীর ভীড়। অনেকে কোলের বাচ্চা নিয়ে বসে আছেন ডাক্তারের অপেক্ষায়। কেউ আবার দীর্ঘ অপেক্ষার পর চিকিৎসা নামে একটি প্রেসক্রিপশন পেলেও অধিকাংশ ঔষুধ ফার্মেসী থেকে কিনতে বলা হয়েছে। এই চিত্র গত কয়েকদিনের। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পাশর্^বর্তী রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়াসহ কয়েক লাখ মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল। প্রতিদিন এই হাসপাতালের অন্তত ৪-৫ শতাধিকের উপর রোগীরা আসেন। কিন্তু হাসপাতালের পরিকাঠামোর যেন বড্ড অভাব। সেবা প্রার্থীদের মতে, হাসপাতালে এমনিতেই জনবল সংকট তারপর আবার বড় কর্তা সরকারী নীতিমালা লঙ্গন করে নিজেও একটি প্রাইভেট ক্লিনিক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। হাসপাতালটিতে তদারকির অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে হতাশ স্থানীয়রা।
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসছে না। হাসপাতালে জনবল সংকটতো রয়েছে; তারমাঝে চিকিৎসক, কর্মকর্তা কর্মচারীর অনুপস্থিতি, ঔষুধ সংকটসহ নানা কারনে দিন দিন ভেঙ্গে পড়ছে বান্দরবানের সীমান্ত উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এই হাসপাতালের দুরবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তড়িত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান খোদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।
জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসেম, মামুনুর রশিদসহ একাধিক সচেতন নাগরিক এই প্রতিবেদককে জানান, হাসপাতালে নামেমাত্র যেকজন চিকিৎসক রয়েছে তারাও নিয়মিত আসেননা কর্মস্থলে। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি বাড়ছে সেবা নিতে আসা রোগীদের। সঙ্কট নিরসনে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা যুগের পর যুগ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলেও সমাধানে নেই কোন উদ্যোগ।
অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থাকার পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাব এবং বিভিন্ন নেতার স্বজন পরিচয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতি, অফিস ফাঁকিতে জড়িত। যার কারণে অনেক সময় কর্তৃপক্ষও তাদের কাছে নিরুপায় হয়ে পড়ে। এতে করে সাধারণ সেবাপ্রার্থীদেরই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সম্প্রতি কয়েক দফায় সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের মেঝে ও সিঁড়িতে ধুলার স্তর। ময়লা আবর্জনার স্তুপ। গোসলখানা, শৌচাগারগুলো নোংরা। শয্যার চাদরগুলো নেই, মান্দাতা আমলের বেডগুলো থেকে গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কাগজে কলমে ৫০ শয্যা বলা হলেও ৩১ শয্যার জনবলও নেই এই হাসপাতালে। ১৩ জন ডাক্তারের মধ্যে কাগজে আছে মাত্র ৪জন! সেই চারজনের মধ্যেও স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা অফিসের ব্যস্ততার অজুহাতে থাকেন অনুপস্থিত, একজন প্রেষনে জেলা সদরে। বাইশারী ইউনিয়ন সাব সেন্টারে কর্মরত একজনসহ হাসপাতালে রয়েছে মাত্র ২জন ডাক্তার।
এছাড়া নার্সিং সুপারভাইজার, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও মিডওয়াইফ মোট ২৩টি পদ থাকলে কর্মরত আছে মাত্র ৭জন। কথা হয় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: অমিতা দাশ গুপ্তার সঙ্গে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কটের কথা স্বীকার করলেও সাধ্যমতো রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানান। চিকিৎসক সংকট জাতীয় ইস্যু এবং ঔষুধ সংকট কেটে যাবে আশ্বাস দিয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, ডাক্তার সংকট শুধু বান্দরবান বা নাইক্ষ্যংছড়িতে না।
সারাদেশেই সংকট রয়েছে। তবে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ডিসেম্বরের আগে এই সমস্যা সমাধান হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঔষুধ পায় না এটা গতানুগতিক অভিযোগ। হয়তো পর্যাপ্ত পায়না! তবে দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
বান্দরবান : নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে ডাক্তারের অপেক্ষায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসছে না। হাসপাতালে জনবল সংকটতো রয়েছে; তারমাঝে চিকিৎসক, কর্মকর্তা কর্মচারীর অনুপস্থিতি, ঔষুধ সংকটসহ নানা কারনে দিন দিন ভেঙ্গে পড়ছে জেলার সীমান্ত উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা। নামে মাত্র যেকজন চিকিৎসক রয়েছে তারাও নিয়মিত আসেননা কর্মস্থলে। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি বাড়ছে সেবা নিতে আসা রোগীদের। এদিকে কাগজে কলমে ৫০ শয্যা বলা হলেও ৩১ শয্যার জনবলও নেই এই হাসপাতালে। ১৩ জন ডাক্তারের মধ্যে কাগজে আছে মাত্র ৪জন! এর মধ্যে স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা অফিসের ব্যস্ততার অজুহাতে থাকেন অনুপস্থিত, একজন প্রেষনে জেলা সদরে। বাইশারী ইউনিয়ন সাব সেন্টারে কর্মরত একজনসহ হাসপাতালে রয়েছে মাত্র ২জন ডাক্তার।
এছাড়া নার্সিং সুপারভাইজার, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও মিডওয়াইফ মোট ২৩টি পদ থাকলে কর্মরত আছে মাত্র ৭জন। তবে সঙ্কট নিরসনে যুগের পর যুগ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলেও সমাধানে নেই কোন উদ্যোগ। এদিকে বেলা ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা আবুল মনজুর আসেননি হাসপাতালে। টিকিট কাউন্টারে অপেক্ষমান রোগীর ভীড়। অনেকে কোলের বাচ্চা নিয়ে বসে আছেন ডাক্তারের অপেক্ষায়। কেউ আবার দীর্ঘ অপেক্ষার পর চিকিৎসা নামে একটি প্রেসক্রিপশন পেলেও অধিকাংশ ঔষুধ ফার্মেসী থেকে কিনতে বলা হয়েছে। এই চিত্র গত কয়েকদিনের। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পাশর্^বর্তী রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়াসহ কয়েক লাখ মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল। প্রতিদিন এই হাসপাতালের অন্তত ৪-৫ শতাধিকের উপর রোগীরা আসেন। কিন্তু হাসপাতালের পরিকাঠামোর যেন বড্ড অভাব। সেবা প্রার্থীদের মতে, হাসপাতালে এমনিতেই জনবল সংকট তারপর আবার বড় কর্তা সরকারী নীতিমালা লঙ্গন করে নিজেও একটি প্রাইভেট ক্লিনিক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। হাসপাতালটিতে তদারকির অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে হতাশ স্থানীয়রা।
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসছে না। হাসপাতালে জনবল সংকটতো রয়েছে; তারমাঝে চিকিৎসক, কর্মকর্তা কর্মচারীর অনুপস্থিতি, ঔষুধ সংকটসহ নানা কারনে দিন দিন ভেঙ্গে পড়ছে বান্দরবানের সীমান্ত উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এই হাসপাতালের দুরবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তড়িত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান খোদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।
জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসেম, মামুনুর রশিদসহ একাধিক সচেতন নাগরিক এই প্রতিবেদককে জানান, হাসপাতালে নামেমাত্র যেকজন চিকিৎসক রয়েছে তারাও নিয়মিত আসেননা কর্মস্থলে। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি বাড়ছে সেবা নিতে আসা রোগীদের। সঙ্কট নিরসনে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা যুগের পর যুগ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলেও সমাধানে নেই কোন উদ্যোগ।
অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থাকার পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাব এবং বিভিন্ন নেতার স্বজন পরিচয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতি, অফিস ফাঁকিতে জড়িত। যার কারণে অনেক সময় কর্তৃপক্ষও তাদের কাছে নিরুপায় হয়ে পড়ে। এতে করে সাধারণ সেবাপ্রার্থীদেরই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সম্প্রতি কয়েক দফায় সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের মেঝে ও সিঁড়িতে ধুলার স্তর। ময়লা আবর্জনার স্তুপ। গোসলখানা, শৌচাগারগুলো নোংরা। শয্যার চাদরগুলো নেই, মান্দাতা আমলের বেডগুলো থেকে গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কাগজে কলমে ৫০ শয্যা বলা হলেও ৩১ শয্যার জনবলও নেই এই হাসপাতালে। ১৩ জন ডাক্তারের মধ্যে কাগজে আছে মাত্র ৪জন! সেই চারজনের মধ্যেও স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা অফিসের ব্যস্ততার অজুহাতে থাকেন অনুপস্থিত, একজন প্রেষনে জেলা সদরে। বাইশারী ইউনিয়ন সাব সেন্টারে কর্মরত একজনসহ হাসপাতালে রয়েছে মাত্র ২জন ডাক্তার।
এছাড়া নার্সিং সুপারভাইজার, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও মিডওয়াইফ মোট ২৩টি পদ থাকলে কর্মরত আছে মাত্র ৭জন। কথা হয় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: অমিতা দাশ গুপ্তার সঙ্গে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কটের কথা স্বীকার করলেও সাধ্যমতো রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানান। চিকিৎসক সংকট জাতীয় ইস্যু এবং ঔষুধ সংকট কেটে যাবে আশ্বাস দিয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, ডাক্তার সংকট শুধু বান্দরবান বা নাইক্ষ্যংছড়িতে না।
সারাদেশেই সংকট রয়েছে। তবে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ডিসেম্বরের আগে এই সমস্যা সমাধান হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঔষুধ পায় না এটা গতানুগতিক অভিযোগ। হয়তো পর্যাপ্ত পায়না! তবে দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।