ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়ায় লক্ষ্মীপুরে কমলনগরে মো. জসিম নামের এক জেলেকে রাতভর অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও স্যোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনা পুলিশের নজরে আসলে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে কমলনগর থানা পুলিশ অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের শফি উল্লাহ মাঝির ছেলে মো. লাদেন (১৯), দুলার মাঝির ছেলে রাকিব ও ফিরোজ মিকারের ছেলে বিক্রম (১৫)।
এর আগে গত রোববার রাতে উপজেলার মাতাব্বর হাট এলাকায় মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের পাশে লাদেন, ফিরোজ ও বিক্রমসহ ৮-১০ জন যুবক মিলে এ নির্যাতন চালায়। ওই সময় তারা চুরির অভিযোগ এনে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ভিডিওতে দেখা যায় অভিযুক্তরা ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির ব্লকের চিপায় ফেলে জেলে জসিমকে হাত-পা বেধে গোপন অঙ্গসহ শরিরের বিভিন্ন যায়গায় আঘাত করছে। আবার মাথা ব্লকের নিচে ফেলে পা উপরের দিকে তুলে এলোপাতাড়ি পিটানো হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাকছুদ মাঝির নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়া তার নির্দেশে গভীর রাতে আপেল মাঝি নৌকা থেকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ওই সময় ভোর রাত পর্যন্ত নির্যাতন চালায় তারা। পরে এলাকাবাসী সকালে জসিমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিত মো.জসিম জানান, মাকছুদ মাঝির নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়ায় তাকে গভীর রাতে সোহেল, সিরাজ, রাকিব ও বিক্রম তার হাত-পা বেঁধে মাকছুদের নৌকার পাঠাতানের কাঠ দিয়ে মারধর করেন। এছাড়াও তার গোপন অঙ্গে ইট বেঁধে রাখেন এবং মুখে সিগারেটের আগুন দেন। এভাবে সারা রাত নির্যাতন করে সকালে আবারও হাত-পা বেঁধে ব্লকের নিচে রেখে কাঠ দিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেন। তিনি অনেক কাকুতি-মিনতি এবং চিৎকার দিলেও তারা নির্যাতন বন্ধ করেননি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কমলনগর ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫
নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়ায় লক্ষ্মীপুরে কমলনগরে মো. জসিম নামের এক জেলেকে রাতভর অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও স্যোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনা পুলিশের নজরে আসলে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে কমলনগর থানা পুলিশ অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের শফি উল্লাহ মাঝির ছেলে মো. লাদেন (১৯), দুলার মাঝির ছেলে রাকিব ও ফিরোজ মিকারের ছেলে বিক্রম (১৫)।
এর আগে গত রোববার রাতে উপজেলার মাতাব্বর হাট এলাকায় মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের পাশে লাদেন, ফিরোজ ও বিক্রমসহ ৮-১০ জন যুবক মিলে এ নির্যাতন চালায়। ওই সময় তারা চুরির অভিযোগ এনে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ভিডিওতে দেখা যায় অভিযুক্তরা ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির ব্লকের চিপায় ফেলে জেলে জসিমকে হাত-পা বেধে গোপন অঙ্গসহ শরিরের বিভিন্ন যায়গায় আঘাত করছে। আবার মাথা ব্লকের নিচে ফেলে পা উপরের দিকে তুলে এলোপাতাড়ি পিটানো হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাকছুদ মাঝির নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়া তার নির্দেশে গভীর রাতে আপেল মাঝি নৌকা থেকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ওই সময় ভোর রাত পর্যন্ত নির্যাতন চালায় তারা। পরে এলাকাবাসী সকালে জসিমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিত মো.জসিম জানান, মাকছুদ মাঝির নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়ায় তাকে গভীর রাতে সোহেল, সিরাজ, রাকিব ও বিক্রম তার হাত-পা বেঁধে মাকছুদের নৌকার পাঠাতানের কাঠ দিয়ে মারধর করেন। এছাড়াও তার গোপন অঙ্গে ইট বেঁধে রাখেন এবং মুখে সিগারেটের আগুন দেন। এভাবে সারা রাত নির্যাতন করে সকালে আবারও হাত-পা বেঁধে ব্লকের নিচে রেখে কাঠ দিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেন। তিনি অনেক কাকুতি-মিনতি এবং চিৎকার দিলেও তারা নির্যাতন বন্ধ করেননি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কমলনগর ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।