পটুয়াখালীর দুমকির বগা ফেরিঘাটের ইজারাদার শিবু লাল দাস সরকারি টোলের কয়েক গুণ বেশি ভাড়া আদায় করায় তার ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন চেম্বার জজ আদালত। ফলে ফেরিঘাট এখন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং যাত্রী ও যানবাহন সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় পারাপারের সুযোগ পাবেন। ২০২৩ সালের ২৬ জুন শিবু লাল দাস ফেরিঘাটের ইজারা নেন। তবে বাস ও মিনি ট্রাক পারাপারের জন্য সরকারি ভাড়া ৪০-৪৫ টাকা হলেও তিনি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করতেন। এ ঘটনায় এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তিথর কেন্দ্রীয় সংগঠক মুহাম্মাদ জাকির হোসেন অভিযোগ করলে তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ মেলে।
পরে চলতি বছরের ১৭ জুলাই ইজারা বাতিল এবং ২৪ জুলাই ফেরিঘাটটি সওজের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর শিবু লাল দাস হাইকোর্টে রিট করলে আদালত রুল জারি করেন এবং তিন মাসের জন্য ইজারা বাতিলের আদেশ স্থগিত করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে রোববার চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করেন। এসময় রাষ্ট্র পক্ষে শুনানিতে ছিলেন পটুয়াখালীর বাউফলের সন্তান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। অন্যদিকে ইজারাদারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ও এনসিপি নেতা এ্যাড. মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, জনস্বার্থে আমরা আদালতে জোরালোভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছি।
ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন উপকৃত হবেন। ভবিষ্যতেও জনগণের স্বার্থরক্ষায় আইনিভাবে লড়াই চালিয়ে যাব। আদালতের আদেশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকায় এখন থেকে দুমকী, বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপাসহ আশপাশের এলাকার মানুষ সরকার নির্ধারিত ন্যায্য ভাড়ায় ফেরি পারাপারের সুযোগ পাবেন।
বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকির বগা ফেরিঘাটের ইজারাদার শিবু লাল দাস সরকারি টোলের কয়েক গুণ বেশি ভাড়া আদায় করায় তার ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন চেম্বার জজ আদালত। ফলে ফেরিঘাট এখন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং যাত্রী ও যানবাহন সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় পারাপারের সুযোগ পাবেন। ২০২৩ সালের ২৬ জুন শিবু লাল দাস ফেরিঘাটের ইজারা নেন। তবে বাস ও মিনি ট্রাক পারাপারের জন্য সরকারি ভাড়া ৪০-৪৫ টাকা হলেও তিনি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করতেন। এ ঘটনায় এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তিথর কেন্দ্রীয় সংগঠক মুহাম্মাদ জাকির হোসেন অভিযোগ করলে তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ মেলে।
পরে চলতি বছরের ১৭ জুলাই ইজারা বাতিল এবং ২৪ জুলাই ফেরিঘাটটি সওজের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর শিবু লাল দাস হাইকোর্টে রিট করলে আদালত রুল জারি করেন এবং তিন মাসের জন্য ইজারা বাতিলের আদেশ স্থগিত করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে রোববার চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করেন। এসময় রাষ্ট্র পক্ষে শুনানিতে ছিলেন পটুয়াখালীর বাউফলের সন্তান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। অন্যদিকে ইজারাদারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ও এনসিপি নেতা এ্যাড. মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, জনস্বার্থে আমরা আদালতে জোরালোভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছি।
ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন উপকৃত হবেন। ভবিষ্যতেও জনগণের স্বার্থরক্ষায় আইনিভাবে লড়াই চালিয়ে যাব। আদালতের আদেশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকায় এখন থেকে দুমকী, বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপাসহ আশপাশের এলাকার মানুষ সরকার নির্ধারিত ন্যায্য ভাড়ায় ফেরি পারাপারের সুযোগ পাবেন।